সাইদুর রহমান রিমনঃ-
পিরোজপুরের দুর্বৃত্ত সাংবাদিকরা এ কেমন কাণ্ড ঘটালেন? দুর্নীতিপরায়ন এলজিইডি কর্মকর্তার লাঠিয়াল বাহিনীর ভূমিকায় মাঠে নামলেন তারা, পেশাদার সাংবাদিক ইমনকে সন্ত্রাসী কায়দায় প্রেসক্লাবে নিয়ে গেলেন এবং কয়েকজন সাংবাদিক তার উপর অমানুষিক নির্যাতন চালালেন। এ ঘৃণা ও লজ্জাজনক ঘটনার ক্ষোভে, দুঃখে অসুস্থ ইমন নিজ বাসায় ফিরেই আত্মহননের চেষ্টা চালান। তাকে ফাঁসি দেয়া অবস্থায় দরজা ভেঙ্গে উদ্ধার করেন আশপাশের মানুষ। বর্তমানে ইমন পিরোজপুরের হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছেন।
ইমনের স্ত্রী সুমাইয়া ইসলাম বলেন, বুধবার রাত আটটার দিকে কিছু লোক দরজায় ধাক্কা দেন। দরজা খুললে তারা ঘরে ঢুকে ইমনকে জোর করে নিয়ে যান। এরপর ইমন বাসায় ফিরে তার কক্ষের দরজা বন্ধ করে দেন। তিনি ফ্যানের সঙ্গে ঝুলে আত্মহত্যার চেষ্টা করেন। ফেসবুক লাইভ দেখে কিছু মানুষ দরজা ভেঙে তাকে উদ্ধার করেন।
ইমনের স্ত্রী সুমাইয়া ইসলাম আরো বলেন, বুধবার রাত আটটার দিকে কিছু লোক দরজায় ধাক্কা দেন। দরজা খুললে তারা ঘরে ঢুকে ইমনকে জোর করে নিয়ে যান। এরপর ইমন বাসায় ফিরে তার কক্ষের দরজা বন্ধ করে দেন। তিনি ফ্যানের সঙ্গে ঝুলে আত্মহত্যার চেষ্টা করেন। ফেসবুক লাইভ দেখে কিছু মানুষ দরজা ভেঙে তাকে উদ্ধার করেন।
‘এখন টিভি’র প্রতিনিধি ইমনের কী দোষ ছিল? পিরোজপুর এলজিইডির এক অফিস স্টাফের স্ত্রীর নামে কোটি টাকার টেন্ডার বেআইনিভাবে হাতিয়ে নেয়া সংক্রান্ত একটি অনুসন্ধানী প্রতিবেদন প্রকাশ করেছিলেন তিনি। এতেই এলজিইডির মাসোয়ারা পাওয়া সাংবাদিকদের গাত্রদাহ শুরু হয়ে যায়। তারা এ সংবাদকে কেন্দ্র করে বুধবার বিকেল থেকেই ইমনকে মোবাইল ফোনে প্রেসক্লাবে যেতে বারবার নির্দেশ দিতে থাকেন। ইমন তখন কম্পিউটারে সংবাদ লেখার কাজে ব্যস্ত থাকায় পরে যাবে বললেও রাক্ষুসে সাংবাদিকদের তর সহয়নি। তারা মোটর সাইকেলযোগে ইমনের বাসায় চড়াও হয় এবং তাকে ঘর থেকে টেনে হিঁচড়ে প্রেসক্লাবে নিয়ে বেদম মারধর করে।
তবে ঘৃণিত এ ঘটনার ব্যাখ্যা দাঁড় করিয়েছে দুর্বৃত্ত সাংবাদিকরা। পিরোজপুর প্রেসক্লাবের সভাপতি শফিউল হক বলেছেন, ইমন স্থানীয় সরকার প্রকৌশল অধিদপ্তরের এক কর্মচারীর কাছে চাঁদা দাবি করেন। এ বিষয়ে প্রেসক্লাবে অভিযোগ এলে তাকে ডেকে সতর্ক করে দেওয়া হয়। আর সেই কথিত সতর্ক করা হলো, বেশ কয়েকজন মিলে তার উপর হামলে পড়া? ছিঃ ছিঃ ছিঃ। ধিক্ এ সাংবাদিকতা, ধিক্ এ নেতৃত্ব।
সাংবাদিকদের সমিতি, প্রেসক্লাব, সংগঠন, এসোসিয়েশন যে আসলেই প্রকৃত সাংবাদিকদের স্বার্থে গড়ে ওঠে না, সাংগঠনিক সাইনবোর্ডের আড়ালে তারা কেবলই যে অপরাধীদের রক্ষা কবচে পরিনত হয়- তার ক্লেদাক্ত দৃষ্টান্ত হয়ে থাকলো পিরোজপুর প্রেসক্লাব। এসব সংগঠনকে ঘৃণা জানান, ধিক্কার দিন, থুথু মারুন।