• শুক্রবার, ১৪ মার্চ ২০২৫, ১১:৫৪ অপরাহ্ন
সর্বশেষ খবর

রক্তে ভেজা শোকও জঘন্যতম নিষ্ঠুরতার দিন,টেকনাফের কাঙ্গালি ভোজ নিয়ে বিতর্ক

ফরিদুল মোস্তফা খান :
আপডেট : সোমবার, ১৪ আগস্ট, ২০২৩


রাত পোহালেই রক্তে ভেজা শোক ও ইতিহাসের জঘন্যতম নিষ্ঠুরতার দিন ১৫ই আগস্ট।১৯৭৫ সালের এই দিনে স্ব-পরিবারে নির্মমভাবে পৃথিবী থেকে তাড়িয়ে দেওয়া হয় বাংলার অবিস্ংবাদিত নেতা ইতিহাসের মুসলিম বীর সিপাহসালার যার জন্ম না হলে স্বাধীন সার্বভৌম লাল সবুজের এই বাংলাদেশ হত কি না সন্দেহ,সেই বাঙালি জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান সহ তার নিকটতম স্বজনরা।বিপদগামী খুনিরা এই দিন বাদ দেননি নিষ্পাপ শিশু শেখ রাসেলকে ও।ইতিহাস পরে জানা গেছে, “যতকাল রবে পদ্মা যমুনা গৌরী মেঘনা বহমান/ ততকাল রবে কীর্তি তোমার শেখ মুজিবুর রহমান।/ দিকে দিকে আজ অশ্রুগঙ্গা রক্তগঙ্গা বহমান/ তবু নাহি ভয়, হবে হবে জয়, জয় মুজিবুর রহমান।” “কী বীভৎসতা! রক্ত, মগজ ও হাড়ের গুঁড়ো ছড়িয়ে-ছিটিয়ে ছিল প্রতিটি তলার দেয়াল, জানালার কাঁচ, মেঝে ও ছাদে। রীতিমতো রক্তগঙ্গা বইছে যেন ওই বাড়িতে। গুলির আঘাতে দেয়ালগুলোও ঝাঁঝরা হয়ে গেছে। চারপাশে রক্তের সাগরের মধ্যে ছড়িয়ে-ছিটিয়ে ছিল ঘরের জিনিসপত্র। প্রথম তলার সিঁড়ির মাঝখানে নিথর পড়ে আছেন ঘাতকের বুলেটে ঝাঁঝরা হওয়া চেক লুঙ্গি ও সাদা পাঞ্জাবি পরা স্বাধীনতার মহানায়ক বঙ্গবন্ধুর লাশ। তলপেট ও বুক ছিল বুলেটে ঝাঁঝরা। নিথর দেহের পাশেই তাঁর ভাঙ্গা চশমা ও অতিপ্রিয় তামাকের পাইপটি। অভ্যর্থনা কক্ষে শেখ কামাল, টেলিফোন অপারেটর, মূল বেডরুমের সামনে বেগম মুজিব, বেডরুমে সুলতানা কামাল, শেখ জামাল, রোজী জামাল, নিচতলার সিঁড়িসংলগ্ন বাথরুমে শেখ নাসের এবং মূল বেডরুমে দুই ভাবীর ঠিক মাঝখানে বুলেটে ক্ষতবিক্ষত রক্তাক্ত অবস্থায় পড়েছিল ছোট্টশিশু শেখ রাসেলের লাশ।

” ১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্ট ধানমন্ডি ৩২ নম্বর বঙ্গবন্ধুর বাসভবনসহ তিনটি বাড়িতে সংঘটিত খুনীদের নারকীয়-পৈশাচিক হত্যাযজ্ঞের এমন ভয়াল বীভৎসতার হৃদয়স্পর্শী বর্ণনা দিয়েছিলেন সেনাবাহিনীর তৎকালীন মেজর আলাউদ্দিন আহমেদ পিএসসি। তিনি ইতিহাসের জঘন্যতম এই হত্যাযজ্ঞের পর বঙ্গবন্ধুসহ ১৮ জনের লাশ তিনটি বাড়ি ও হাসপাতালের মর্গ থেকে সংগ্রহ করে তা দাফন করার এক ভয়াবহ অভিজ্ঞতার মুখোমুখি হয়েছিলেন। সেদিনের সেই ভয়াল-বীভৎস স্মৃতিতে আনলে পৃথিবীর সবচেয়ে নিকৃষ্ট খুনীও বোধ হয় আঁতকে উঠবে। আজ সেই দিন, বাংলার ইতিহাসে অবিরল অশ্রুঝরা দিন। এই জাতি এই দেশের স্বপ্নমূলে নির্মম কুঠার হেনে বাংলা ও বাঙালীর চিরবিরোধীরা পিতাকে ছেদন করে পঁচাত্তরের পনেরোই আগস্ট এই দিনটিতে। বাঙালী পিতৃহারা হয় এই দিনটিতে। বৃষ্টিঝরা শ্রাবণের অন্তিম দিনে সেদিন বৃষ্টি নয় ঝরেছিল রক্ত। বাংলার ছাপান্ন হাজার বর্গমাইলের মতো বিশাল তাঁর বুক থেকে রক্তগোলাপের মতো লাল রক্ত ঝরেছিল ঘাতকের বুলেটে। সেদিন আমাদের জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান তাঁর বাসগৃহে, বত্রিশ নম্বরের সেই বাড়িতে, আমাদের ইতিহাস তীর্থে, পতিত হয়েছিলেন কেবল তাঁর নশ্বর শরীর নিয়ে, কিন্তু তাঁর অবিনশ্বর চেতনা ও আদর্শ ছিল মৃত্যুঞ্জয়ী। ঘাতকের সাধ্য ছিল না ইতিহাসের সেই মহানায়কের অস্তিত্বকে বিনাশ করে। বঙ্গবন্ধু আর বাংলাদেশ সমনাম। বঙ্গবন্ধুকে হত্যা করে ঘাতকরা বাংলাদেশকেই হত্যা করতে চেয়েছিল, মুছে দিতে চেয়েছিল মুক্তিযুদ্ধজাত এই দেশটিকে পৃথিবীর মানচিত্র থেকে। কিন্তু এত সহজেই কি মোছা যায় জনকের নাম আর জনকের স্বপ্নজাত দেশটিকে? দক্ষিণ এশিয়ার প্রায় পাঁচ হাজার বছরের ইতিহাসে এই আমরাই তো একমাত্র জাতি যারা সশস্ত্র সংগ্রাম করে, প্রত্যক্ষ যুদ্ধ করে স্বাধীনতা অর্জন করেছি একটি মানুষের ডাকে, একটিমাত্র রণমন্ত্র কণ্ঠে ধারণ করে। সেই মানুষটি বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান আর সেই রণমন্ত্র জয় বাংলা। কার সাধ্য এ জাতির গতিরোধ করে, যখন এ জাতির উদ্গাতা বঙ্গবন্ধুর মতো হাজার বছরের শ্রেষ্ঠ বাঙালীর এক সন্তান আর যখন তাঁর বা আজ সেই অন্তিম শোকার্দ্র বাণী পাঠের দিন। আজ রক্তঝরা ১৫ আগস্ট। বেদনাবিধূর ও কলঙ্কের কালিমায় কলুষিত বিভীষিকাময় ইতিহাসের এক ভয়ঙ্কর দিন। বিভিন্ন কবির অসংখ্য কবিতার পঙক্তিতে উঠে আসা সেই ধন্য পুরুষ স্বাধীন বাংলার স্থপতি, সর্বকালের সর্বশ্রেষ্ঠ বাঙালী জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের শাহাদাতবার্ষিকী। বাংলাদেশ ও বাঙালীর জন্য গভীর মর্মস্পর্শী শোকের দিন, জাতীয় শোক দিবস। কলঙ্কমুক্ত বাঙালী জাতি আজ গভীর শোক ও শ্রদ্ধায় তাঁর শ্রেষ্ঠ সন্তানকে স্মরণ করবে। সত্যিই আজ কাঁদার দিন। আজ যে সেই ভয়াল-বীভৎস্য ১৫ আগস্ট। সেদিন শ্রাবণের বৃষ্টি নয়, আকাশের চোখে ছিল জল। গাছের পাতারা শোকে সেদিন ঝরেছে অবিরল। এসেছিল সেই ভয়াবহ দিন! চারদিকে ঘাতকের উদ্ধত সঙ্গিন। মুছে দিতে চেয়েছিল রক্তের চিহ্নসহ জনকের লাশ। ভয়ার্ত বাংলায় ছিল ঘরে ঘরে চাপা দীর্ঘশ্বাস…সেই শোক জেগে আছে রক্তরাঙা ওই পতাকায়, সেই শোক অনির্বাণ এখনও বাংলায়। নদীর স্রোতের মতো চিরবহমান কাল থেকে কালান্তরে জ্বলবে এ শোকের আগুন। বাঙালীর হাজার বছরের ইতিহাসে শ্রেষ্ঠতম সেই পুরুষ তিনি, একটি স্বাধীন জাতিরাষ্ট্র হিসেবে অসাম্প্রদায়িক বাংলাদেশের জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব। বাংলার মানুষের অবিসংবাদিত নেতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান মাত্র ৫৫ বছরের জীবনে (১৯২০-১৯৭৫) স্বদেশের মাটি আর মানুষকে এমন গভীর ভালবাসার বন্ধনে বেঁধেছিলেন, যে বন্ধন কোনদিন ছিন্ন হবার নয়। আজীবন ঔপনিবেশিক শোষণ-বঞ্চনার বিরুদ্ধে, দরিদ্র-নিপীড়িত-বঞ্চিত মানুষের মুক্তির সংগ্রামে এমন এক অনন্য ভূমিকা রেখেছিলেন, যার তুলনা বিরল। একজন প্রকৃত নেতার যেসব গুণাবলী থাকা প্রয়োজন, তার সব গুণ নিয়েই জন্মেছিলেন ক্ষণজন্মা এই মহাপুরুষ। যাঁর রাজনৈতিক জীবন ছিল বহুবর্ণিল, যাঁর কণ্ঠে ছিল জাদু। যিনি রচনা করেছিলেন বাংলাদেশ রাষ্ট্রের বিজয় ইতিহাস। এতকিছুর পরও শেষ পর্যন্ত তাঁকে জীবন দিতে হয়েছে ঘাতকের হাতে।১৯৭৫ সালের এই কালিমাময় দিনে জাতি হারিয়েছে তার গর্ব, ইতিহাসের মহানায়ক, হাজার বছরের শ্রেষ্ঠতম বাঙালী শেখ মুজিবুর রহমানকে। একাত্তরের পরাজিত শক্তির ঘৃণ্য-সর্বনাশা চক্রান্তে একদল ঘাতকের পৈশাচিকতার বলি হয়েছিলেন বঙ্গবন্ধু ও তাঁর পরিবার-পরিজন। রচিত হয় ইতিহাসের কলঙ্কিত অধ্যায়। কিন্তু তাতে তো এমন একজন রাষ্ট্রনায়ককে একটি জাতির হৃদয় থেকে চিরতরে মুছে ফেলা সম্ভব নয়। বঙ্গবন্ধু ফিরে আসেন প্রতিটি উৎসবে, আনন্দ-বেদনায়। তিনি যে মৃত্যুঞ্জয়ী। কবিতার ভাষায়- “এই ইতিহাস ভুলে যাব আজ, আমি কি তেমন সন্তান? যখন আমার পিতার নাম শেখ মুজিবুর রহমান।” রাজনীতির সঙ্গে সামান্যতম সম্পৃক্ততা না থাকা সত্ত্বেও নারী-শিশুরাও সেদিন রেহাই পায়নি ঘৃণ্য-কাপুরুষ এই ঘাতকচক্রের হাত থেকে। বিদেশে থাকার জন্য প্রাণে বেঁচে যান কেবল বঙ্গবন্ধুর দুই কন্যা বর্তমান প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও শেখ রেহানা। দিনটি তাই বাঙালীর ইতিহাসে সবচেয়ে কলঙ্কিত। আজ সেই শোকের দিন, কান্নার দিন। জাতীয় শোক দিবসে আজ বাঙালী গভীর শোক ও শ্রদ্ধায় স্মরণ করবে বাংলাদেশ নামক ভূখন্ডের স্থপতি জাতির জনক বঙ্গবন্ধুকে। সম্পূর্ণ রাষ্ট্রীয় যথাযোগ্য মর্যাদায় আজ পালিত হচ্ছে বঙ্গবন্ধুর শাহাদাতবার্ষিকী। বাংলাদেশের স্থপতির নির্মম-নৃশংস হত্যাযজ্ঞের বিচার পেতে বাঙালী জাতিকে ৩৫টি বছর অপেক্ষা করতে হয়েছে। পদে পদে খুনীদের দোসর ও মদদদানকারী সরকারের ষড়যন্ত্র-চক্রান্তের বেড়াজালে আটকে থেকেছে ইতিহাসের নিষ্ঠুরতম এই হত্যাযজ্ঞের বিচার। সকল ষড়যন্ত্র-চক্রান্তের বেড়াজাল ছিন্ন করে ২০১০ সালের শুরুতেই ২৮ জানুয়ারি মধ্যরাতে মানবতার শত্রু, নরপিশাচ বঙ্গবন্ধুর আত্মস্বীকৃত পাঁচ খুনীর মৃত্যুদন্ড- কার্যকর হয়েছে।এ বছর অন্যরকম পরিবেশে শোক দিবস পালনে এবারের প্রস্তুতিও ব্যাপক। হাজার হাজার শোকের তোরণ, কালো ব্যানার, পতাকা, ফেস্টুন, পোস্টারে ছেয়ে গেছে দেশের পথ-প্রান্তর। শুধু আওয়ামী লীগই নয়, সারাদেশের স্কুল, কলেজ, বিশ্ববিদ্যালয়, সরকারী-বেসরকারী প্রতিষ্ঠানসহ স্বাধীনতায় বিশ্বাসী প্রতিটি মানুষ, সংগঠন এবার বিস্তারিত কর্মসূচীর মাধ্যমে স্মরণ করছেন স্বাধীনতার এই মহান স্থপতিকে। কী ঘটেছিল সেই সর্বনাশা এই দিনে বঙ্গবন্ধুর ঐতিহাসিক নেতৃত্বে এই জনপদের মানুষ হাজার বছরের পরাধীনতার শৃঙ্খল ছিঁড়ে ছিনিয়ে এনেছিল স্বাধীনতার রক্তিম সূর্য। আমরা পেয়েছিলাম নিজস্ব জাতিরাষ্ট্র, গর্বিত আত্মপরিচয়। মুক্তিযুদ্ধকালীন ৯ মাস কারাগারে বন্দী রেখেও পাকিস্তানী জল্লাদরা বঙ্গবন্ধুর কেশাগ্র পর্যন্ত স্পর্শ করার সাহস দেখাতে পারেনি। বঙ্গবন্ধুর দৃঢ়বিশ্বাস ছিল স্বাধীন দেশে কোন বাঙালী তাঁর নিরাপত্তার জন্য হুমকি হতে পারে না। সে জন্যই বঙ্গবন্ধু বঙ্গভবনের পরিবর্তে থাকতেন তাঁর প্রিয় ঐতিহাসিক ৩২ নম্বর ধানমন্ডি অপরিসর নিজ বাসভবনেই। বাঙালীর স্বাধিকার-স্বাধীনতা আন্দোলনের সূতিকাগার এই বাড়িটি অসম্ভব প্রিয় ছিল বঙ্গবন্ধুর। এখান থেকেই বঙ্গবন্ধু সর্বশক্তি নিয়ে ব্রতী ছিলেন যুদ্ধবিধ্বস্ত দেশ গড়ার কাজে। কিন্তু একাত্তরের পরাজিত শত্রুরা বাঙালীর প্রতি বঙ্গবন্ধুর অসীম ও গভীর ভালবাসা ও বিশ্বাসকেই সুযোগ হিসেবে গ্রহণ করে। রাতের অন্ধকারে হামলায় চালায় স্বাধীনতার স্থপতির বাসভবনে। কাপুরুষোচিত আক্রমণ চালিয়ে পৈশাচিক পন্থায় ঘাতক দল বঙ্গবন্ধুকে নিষ্ঠুর ও নির্মমভাবে হত্যা করে বাঙালীকে পিছিয়ে দেয় প্রগতি-সমৃদ্ধির অগ্রমিছিল থেকে। দেশীয় ও আন্তর্জাতিক ষড়যন্ত্রে নরপিশাচ ঘাতকের দল শুধু বঙ্গবন্ধুকেই নির্মমভাবে হত্যা করেনি, মেতে উঠেছিল অদম্য রক্তপিপাসায়। কিছু বিশ্বাসঘাতক মীরজাফর একদল বিপথগামী উচ্চাভিলাষী সদস্যরা পৈশাচিক কায়দায় গুলি করে সেদিন বঙ্গবন্ধুকেই হত্যা করেনি, একসঙ্গে তিন বাড়িতে হামলা করে মেতে উঠেছিল ইতিহাসের এক নিষ্ঠুর হত্যাযজ্ঞে। নিষ্ঠুর কায়দায় একে একে হত্যা করে বঙ্গবন্ধুর সহধর্মিণী শেখ ফজিলাতুন্নেছা মুজিব, তিন ছেলে মুক্তিযোদ্ধা শেখ কামাল, শেখ জামাল ও শিশুপুত্র শেখ রাসেল, দুই পুত্রবধূ সুলতানা কামাল ও রোজি জামাল, বঙ্গবন্ধুর অনুজ পঙ্গু মুক্তিযোদ্ধা শেখ নাসের, ভগ্নিপতি পানি সম্পদমন্ত্রী আবদুর রব সেরনিয়াবাত, তাঁর ছেলে আরিফ ও শিশুপৌত্র সুকান্ত বাবু, ভাগ্নে যুবনেতা শেখ ফজলুল হক মনি, তাঁর অন্তঃসত্ত্বা স্ত্রী আরজু মনি, সেরনিয়াবাতের কন্যা বেবি সেরনিয়াবাত, আবদুর নঈম খান রিন্টু, বঙ্গবন্ধুর জীবন বাঁচাতে ছুটে আসা রাষ্ট্রপতির ব্যক্তিগত নিরাপত্তা কর্মকর্তা কর্নেল জামিলসহ কয়েক নিরাপত্তা কর্মকর্তা ও কর্মচারী। লুঙ্গিতে জড়ানো শিশু রাসেলের রক্তভেজা লাশ দেখে খুনীদের প্রতি চরম ঘৃণা-ধিক্কার জানানোর ভাষা পায় না মানবতাবাদী বিশ্বের কোন মানুষ। রাজনৈতিক হত্যা পৃথিবীর বিভিন্ন দেশে সংঘটিত হয়েছে বিভিন্ন কাল পরিসরে। কিন্তু প্রতিটি হত্যার বিচার হয়েছে? কিন্তু বাংলাদেশে এখানে ইতিহাস যেন উল্টো পথযাত্রী! । বিশ্বের ইতিহাসে একসঙ্গে এত নৃশংস রাজনৈতিক হত্যাকান্ডের নজির নেই বললেই চলে। তবুও কী আশ্চর্য, এই ভয়ঙ্কর হত্যাকান্ডের সঙ্গে জড়িত আত্মস্বীকৃত খুনীদের চূড়ান্ত শাস্তি পেতে কেটে যায় একে একে ৩৫ বছর। সেই বাধার প্রাচীর ডিঙ্গিয়ে অবশেষে বিচারের বাণীর নিভৃত কান্নার অবসান ঘটে ২০১০ সালের ২৭ জানুয়ারি মধ্যরাতের পর। ঢাকা কেন্দ্রীয় কারাগারে ফাঁসির রায় কার্যকর হয় পাঁচ আত্মস্বীকৃত খুনীর। কলঙ্কমুক্তির আনন্দে উদ্বেল হয় গোটাদেশ। তবুও জাতির খুনীদের প্রতি ঘৃণা এতটুকুও কমেনি। অনেকেরই জিজ্ঞাসা ফাঁসিতে ঝুলিয়ে মৃত্যুদন্ড- কার্যকর হলেও এসব ঘৃণ্য নরপশুদের প্রতি বাঙালীর ঘৃণা-ধিক্কার এতটুকুও কমবে না। বরং দেশ যতদিন থাকবে, ততদিন এসব ঘাতকদের কবরে প্রজন্মের পর প্রজন্মের সন্তানরা তাদের হৃদয়ের ঘৃণা জানাতে এতটুকুও ভুলবে না। সপরিবারে জাতির জনক বঙ্গবন্ধুকে হত্যার পর গোটা বিশ্বে নেমে আসে তীব্র শোকের ছায়া এবং ছড়িয়ে পড়ে হত্যাকারীদের প্রতি ঘৃণা বিষবাষ্প। বঙ্গবন্ধুকে হত্যার পর নোবেলজয়ী পশ্চিম জার্মানির নেতা উইলি ব্রান্ট বলেন, মুজিবকে হত্যার পর বাঙালীদের আর বিশ্বাস করা যায় না। যে বাঙালী শেখ মুজিবকে হত্যা করতে পারে তারা যে কোন জঘন্য কাজ করতে পারে। দ্য টাইমস অব লন্ডনের ১৯৭৫ সালের ১৬ আগস্টের সংখ্যায় বলা হয়, ‘সবকিছু সত্ত্বেও বঙ্গবন্ধুকে সব সময় স্মরণ করা হবে।সারা ন্যায় আজ কক্সবাজার জেলা আওয়ামীলীগ সহ বিভিন্ন সংঘঠন নানা কর্মসূচি পালন করছে।তবে টেকনাফে অতি আবেগি বিতর্কিত এক মাফিয়া ইয়াবা ব্যাবসায়ীদের বাবা মাদক ব্যবসায়ীদের কাছ থেকে গণহারে গোপন চাদায় নিজের নামে বঙ্গবন্ধুর কাঙ্গালি ভোজের আয়োজন দেখিয়ে ক্ষান্ত হচ্ছেন না,তিনি নিজ ফেসবুক সহ বিভিন্ন স্থানীয় গণমাধ্যমে নগদ টাকার বিনিময়ে নিজের বিশালতা জাহির করে আগামী নির্বাচনে মনোনয়ন
এবং বরাবরের মত নিজের দম্ভ অহংকারে বিভোর রয়েছেন বলে অভিযোগ ওঠেছে।
স্থানীয় কয়েকজন আওয়ামিলীগ নেতা নাম প্রকাশ না করার শর্তে কক্সবাজারবানীকে জানিয়েছেন,সামনে নির্বাচন না হলে ওই নেতার বৈদ্দগীরি অতিত বছরের মত কেউ চোখে দেখত না।
কক্সবাজার জেলা দায়রা জজ আদালতের পিপি
ফরিদুল আলম জানিয়েছেন জাতীয় শোক দিবস উপলক্ষে জেলা আইনজীবী সমিতি এই বছরও কাঙ্গালি ভোজ সহ নানা কর্মসূচি হাতে নিয়েছে।


আরো বিভন্ন নিউজ দেখুন