টেকনাফের হোয়াইক্যংয়ের খারাংখালী বাহারুল উলুম মাদ্রাসার অধ্যক্ষ পরিচয়ে স্থানীয় জামায়াত – শিবির নেতা কথিত মৌলভী মফিজ আহমেদ ইকবাল প্রকাশ গুটি মফিজ ওরফে নারীলোভী মফিজ নামের এক ব্যাক্তির বিরুদ্ধে সাবেক ওসি প্রদীপের দালালী,মাদক ব্যাবসা,অবৈধ সম্পদ,নারী কেলেঙ্কারি ও রাষ্ট্রদ্রোহীতা সহ হরেক অপকর্মের গুরুতর অভিযোগ পাওয়া যাচ্ছে।
বিত্তহীন থেকে কোটিপতি বনে যাওয়া এই ব্যাক্তির বিরুদ্বে স্থানীয় গনমাধ্যমে ইতোপুর্বে বহু লেখালেখি হলেও রহস্যজনক কারনে তিনি এখনো বহাল তবিয়তে রয়ে গেছেন বলে অভিযোগ উঠেছে।
জানাগেছ,নিজের সব অবৈধ কর্মকান্ড অনায়েশে পরিচালনার জন্য তিনি বর্তমানে কক্সবাজার শহরের আলীর জাহাল সুর্যের হাসি ক্লিনিক এলাকায় স্ব পরিবারে বসবাস করছেন।
তার কর্মস্থল হোয়াইক্যাং বাহারুল উলুম মাদ্রাসা দাবী করলেও কথিত এই অধ্যক্ষ মাসের বেশির ভাগ সময় মাদ্রাসায় উপস্থিত থাকেননা বলে এলাকাবাসী অভিযোগ করেছেন।
তারা বলেন,স্থানীয় পশ্চিম সাত ঘড়িয়া পাড়া এলাকার মৃত জনৈক চাউল বেপারী কাছিমের ছেলে মফিজ মাদ্রসা ছাত্র জীবন থেকে অতিলোভী ও দুঃচরিত্রবান ছিলে।
গত বিএনপি জামায়াত সরকার আমলে আওয়ামীবিধ্বঃসী হরেক অপকর্মে লিপ্ত হয়ে ক্ষান্ত ছিলেন না, তিনি একের পর এক নারী কেলেংকারীর ঘটনা জন্ম দিয়ে এলাকায় গুটি মফিজ ও জালেম হিসেবে খ্যাতি নিয়েছেন।
একারনে নয়াবাজার ও সাতঘড়িয়া পাড়া এলাকার অধিকাংশ মানুষ তাকে গুটি ( ইয়াবা) মফিজ বলে ডাকেন ও চিনেন।
সুত্রমতে, উক্ত ব্যাক্তির দৃশ্যমান ও যৌক্তিক কোন আয় না থাকলেও বিগত অল্প সময়ের ব্যাবধানে প্রচুর গাড়ি বাড়ী ও সহায় সম্পদের পাহাড় গড়েছেন বলে গুন্জন উঠেছে।
অতএব এ ব্যাপারে প্রয়োজনীয় তদন্ত পুর্বক তাকে দ্রুত আইনের আওতায় আনতে সরকারের সংশ্লিষ্ট মহলের জরুরি হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন সচেতন মহল।
উল্লেখ্য নিজের বিরুদ্ধে উত্থাপিত সব অভিযোগ অস্বীকার করে মফিজ নিজেকে নির্দোষ দাবী করে লেখালেখি
না করার অনুরোধ জানান প্রতিবেদককে।
তবে এলাকার সাধার লোকজন মফিজের হঠাৎ বিত্তশালী ও সহায় সম্পদের খোজ নিতে দুর্নীতি দমন কমিশন দুদক ও প্রশাসনের দৃষ্টি আকর্ষণ করেছেন।