মোঃ আলমগির হোসেন:
মানব সেবা একটি মহৎ কাজ। দুনিয়া ও আখিরাতের কথা চিন্তা করে এলাকার দুঃস্থ অসহায় এতিম শিশুদের প্রতি পালন চিকিৎসা এবং শিক্ষা প্রদানের মাধ্যমে মানব সম্পদে পরিনত করার লক্ষ্যে কুড়িগ্রাম জেলার চিলমারী উপজেলায় রমনা নামক গ্রামে জনাব গোলাম হাবিব সাহেব তার নিজ উদ্যোগে গোলাম হাবিব শিশু সদন হাফেজিয়া মাদ্রাসা ও এতিমখানা নামে ১৯৮৯ সালে একটি মাদ্রাসা ও এতিমখানা প্রতিষ্ঠা করে। প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি গোলাম হাবিব বন বিভাগের সাবেক প্রধান এবং ২০০১ সালে জাতিয় পার্টি থেকে কুড়িগ্রাম ৪ আসন থেকে সংসদ সদস্য ছিলেন।
এখানে নুরানি হেবজো ও কিতাব খানা শিক্ষা প্রদান করা হয়। বর্তমানে এখানে ৪৫ জন শিক্ষার্থী আছে। এর মধ্যে প্রায় ২০ জন ছাত্র রয়েছে অত্যন্ত গরীব অসহায় ও এতিম। খোজ নিয়ে জানা যায় ওই মাদ্রাসার বর্তমান সভাপতি জনাব মোঃ গোলাম আশেক (আকা) এর সুদক্ষ নেতৃত্বে উক্ত এতিমখানা ও মাদ্রাসাটি সার্বিক বিবেচনায় এলাকায় ব্যাপক সুনাম অর্জন করেছে। এই প্রতিষ্ঠান হতে শতশত অসহায় এতিম শিশু সু-শিক্ষা অর্জন করেছে।
আরও জানা যায় উক্ত মাদ্রাসার মােহতামিম কারি মোজাহার সাহেব ও সহকারী শিক্ষক হাফেজ এরশাদুল হক প্রতিষ্ঠানটির কল্যাণে নিঃস্বার্থভাবে দিন রাত শ্রম দিয়ে যাচ্ছেন। তাদের দ্বায়িত্ব ভার গ্রহণের পরে মাদ্রাসা কর্তৃপক্ষের সমন্বয়ে অক্লান্ত শ্রমের বিনিময়ে এবং বিভিন্ন আর্থিক সহায়তার মাধ্যমে প্রতিষ্ঠানটি আজ অত্যন্ত সুন্দর ভাবে পরিচালিত হচ্ছে। দৈনিক সোনার বাংল সংবাদ পত্রিকার বিশেষ প্রতিনিধি সরজমিনে পরিদর্শন করলে দেখা যায় এখানে সমাজসেবা অধিদপ্তর হতে সরকারী ক্যাপিটেশন গ্রান্ট সহায়তা পায় মাত্র ২০ জন। কিন্তু অসহায় গরীব ছাত্র রয়েছে প্রায় ৪৫। যার ভরন পােষন সহ সকল প্রকার দায়িত্ব বহন করছে মাদ্রাসা কর্তৃকক্ষ। এই স্বল্প টাকা অসহায় এতিম ছাত্রদের খরচ চালতে হিমশিম খেতে হচ্ছে বলে জানিয়েছেন এতিমখানা কর্তৃপক্ষ। তারা ক্যাপিটেশন গ্রান্ট সহায়তা প্রদান বৃদ্ধির লক্ষ্যে সমাজসেবা অধিদপ্তর এর সু-দৃষ্টি কামনা করেছেন। উক্ত এতিমখানার মোঃ গোলাম আশেক (আকা) দৈনিক সোনার বাংলা সংবাদ এর বিশেষ প্রতিনিধিকে বলেন এখানে দুনিয়ার শান্তি ও আখেররাতের মুক্তির জন্য পবিত্র কুরআন হেফজো ও পবিত্র কুরআন ও হাদিসের সঠিক শিক্ষা প্রদান করা হয়। আমাদের এই প্রতিষ্ঠান এলাকায় দুঃস্থ অসহায় এতিম শিশুদের প্রতিপালন এবং পবিত্র কুরআন ও হাদীস শিক্ষা প্রদানের মাধ্যমে মানব সম্পদে পরিনত করে এলাকায় ব্যাপক সুনাম অর্জন করেছে।