• শনিবার, ০৮ ফেব্রুয়ারী ২০২৫, ০২:২৪ পূর্বাহ্ন
সর্বশেষ খবর
ঐতিহ্যবাহী বাঁকখালী নদীতে দখলবাজদের রামরাজত্বকক্সবাজারের টেকনাফের সীমান্তে ৪ লাখ ইয়াবা জব্দঅভিশপ্ত মানুষের ঠিকানা শারীরিক মানসিক যন্ত্রণাদায়ক জাহান্নামআহত সাংবাদিকের চিকিৎসা সহায়তায় এগিয়ে আসুনটেকনাফে বিজিবির অভিযানে ২লাখ ২০হাজার ইয়াবা ও বিদেশী মদ উদ্ধারটেকনাফে ইউপি চেয়ারম্যান গ্রেফতারমোনাফেকরা দেশ মাটি মানুষ ও সৃষ্টিকর্তার সবচেয়ে বড় শত্রুচকরিয়া ঢ়েমুশিয়া মুছারপাড়ার জা জমি জবর দখলকারীদের সন্ত্রাসী হামলায় তিন নারী আহতপৌরসভা ১নং ওয়ার্ড পশ্চিম শাখা শ্রমিক দলের পূর্ণাঙ্গ কমিটি গঠিতভোটার হালনাগাদ নিয়ে কাউয়ারখোপ পরিষদ চেয়ারম্যান শামসুল আলমের দুর্নীতি,টাকা না দিলে ফাইল মিলে না ২০ দিনেও

র‌্যাব ১৫’র অভিযানে ৩০হাজার পিস ইয়াবা ও ৬০হাজার কিয়াট সহ মাদক কারবারি আটক

মোহাম্মদ ফয়সাল:
আপডেট : মঙ্গলবার, ২৪ অক্টোবর, ২০২৩


মোহাম্মদ ফয়সাল :


কক্সবাজার টেকনাফের রইক্ষ্যংপাড়া এলাকায় অভিযান পরিচালনা করে ৩০,০০০ পিস ইয়াবা ও মিয়ানমারের ৬০,০০০ ক্যত বা কিয়াট’সহ মাদক কারবারী র‌্যাব-১৫ কর্তৃক গ্রেফতার

র‌্যাপিড এ্যাকশন ব্যাটালিয়নের প্রতিষ্ঠালগ্ন থেকে বাংলাদেশে অপরাধ নির্মূলে প্রতিনিয়ত অবদান রেখে চলেছে। ‘‘বাংলাদেশ আমার অহংকার’’ এই স্লোগান নিয়ে র‌্যাব-১৫, কক্সবাজার এর দায়িত্বপূর্ণ এলাকায় হত্যা, ধর্ষণ, অপহরণ, জঙ্গী দমন, অবৈধ অস্ত্র উদ্ধার, জলদস্যু, ডাকাত, চুরি-ছিনতাই, সন্ত্রাসী, চাঁদাবাজ, ও মাদকসহ দেশে বিরাজমান নানাবিধ অপরাধ নির্মূলে বিশেষ ভূমিকা পালন করে যাচ্ছে। এ সকল অপরাধ দমনে প্রতিনিয়ত অত্যন্ত অগ্রণী ভূমিকা পালন এবং অপারেশনাল কার্যক্রম পরিচালনাসহ আন্তরিকতার সহিত নিরলসভাবে কাজ করছে।

এরই ধারাবাহিকতায় র‌্যাব-১৫, আভিযানিক দলের গোয়েন্দা তৎপরতা ও নজরদারীর প্রেক্ষিতে গোপন সংবাদের ভিত্তিতে জানতে পারে, কক্সবাজার জেলার টেকনাফ থানাধীন হোয়াইক্যং ইউনিয়নের রইক্ষ্যংপাড়া এলাকায় কতিপয় মাদক কারবারী অবৈধ মাদকদ্রব্য ইয়াবা ট্যাবলেট ক্রয়-বিক্রয় অথবা অন্যত্র চালানের উদ্দেশ্যে অবস্থান করছে। উক্ত সংবাদের ভিত্তিতে ২৩ অক্টোবর ২০২৩ তারিখ অনুমান ০৫.১০ ঘটিকায় র‌্যাব-১৫, সিপিসি-২, হোয়াইক্যং ক্যাম্পের একটি চৌকস আভিযানিক দল বর্ণিত স্থানে মাদক বিরোধী বিশেষ অভিযান পরিচালনা করে। আভিযানিক দল বর্ণিত এলাকার শাহ আলম এর বসত ঘরের সামনে পৌঁছালে র‌্যাবের উপস্থিতি টের পেয়ে কৌশলে পালানোর চেষ্টাকালে একজন মাদক কারবারীকে গ্রেফতার করতে সক্ষম হয়। পরবর্তীতে উপস্থিত সাক্ষীদের সম্মুখে আটককৃত ব্যক্তিকে তল্লাশী করে তার হেফাজত হতে সর্বমোট ৩০,০০০ (ত্রিশ হাজার) পিস ইয়াবা ট্যাবলেট, মিয়ানমারের ৬০,০০০ (ষাট হাজার) ক্যত বা কিয়াট এবং ০১টি বাটন মোবাইল ফোন উদ্ধার করা হয়।

 

র‌্যাব জানাই, গ্রেফতারকৃত মাদক কারবারী হলেন মোঃ শাহ আলম (৩৮), পিতা-আবুল কাশেম, মাতা-খুরশিদা বেগম, সাং-মধ্য হিল্লা রইক্ষ্যং, ০৩নং ওয়ার্ড, ইউনিয়ন-হোয়াইক্যং, থানা-টেকনাফ, জেলা-কক্সবাজার বলে জানা যায়। এছাড়াও ধৃত ব্যক্তি তার সাথে থাকা অপর তিনজন সহযোগীর নাম ও ঠিকানা প্রকাশ করে এবং তারা র‌্যাবের উপস্থিতি বুঝতে পেরে কৌশলে পালিয়ে যায় মর্মে স্বীকার করে। প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে জানা যায়, গ্রেফতারকৃত ও পলাতক মাদক কারবারীরা বিভিন্ন পন্থা অবলম্বন করে দীর্ঘদিন ধরে ইয়াবার কারবার করে আসছিল। তারা আর্থিকভাবে লাভবান হওয়ার জন্য পাশ্ববর্তী সীমান্তবর্তী এলাকা থেকে ইয়াবা সংগ্রহ করে নিজেদের হেফাজতে মজুদ এবং পরবর্তীতে তা স্থানীয় এলাকা ও কক্সবাজারের বিভিন্ন পয়েন্টে তাদের নির্ধারিত এজেন্টদের মাধ্যমে বিক্রয় করে মাদক সেবনকারীদের নিকট পৌঁছে দিতো। একই সাথে তারা এই মাদক পাচারে অবলম্বন করতো নিত্য নতুন অভিনব পদ্ধতি।

র‌্যাব ১৫ জানান,উদ্ধারকৃত মাদকদ্রব্য ইয়াবাসহ ধৃত ও পলাতক মাদক কারবারীদের বিরুদ্ধে প্রয়োজনীয় আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণার্থে কক্সবাজার জেলার টেকনাফ মডেল থানায় লিখিত এজাহার দাখিল করা হয়েছে।


আরো বিভন্ন নিউজ দেখুন