চকরিয়ায় যৌতুকের দাবিতে কুপিয়ে মারাত্মক জখম
এম.আর.মিনার
কক্সবাজারের চকরিয়ায় যৌতুকের জন্য ৫ মাসের কন্যা শিশুকে জিম্মি করে স্ত্রীকে মারধর, টাকা দিতে দেরি করায় শাশুড়ী ও শ্যালককে কুপিয়ে মারাত্মক ভাবে জখম করেছে।
২৫ জুলাই মঙ্গলবার বিকেলে চকরিয়া পৌরসভার ৫নং ওয়ার্ডের পশ্চিম কাহারিয়া ঘোনা এলাকায় ঘটনাটি ঘটে।
ভিক্টিমের মা খদিজা বেগম বলেন, বিগত ২০২১ সালের ফেব্রুয়ারী মাসে স্থানীয় নুরুল হোছাইনের ছেলে মিনহাজ উদ্দিনের সাথে ইসলামী শরিয়ত মোতাবেক তাদের কন্যা কুলছুমা খানমের বিবাহ হয়। তাদের ঘরে ৫ মাস বয়সের একটি কন্যা সন্তান রয়েছে। বিবাহের পর থেকে মেয়ের জামাই বিভিন্ন অজুহাতে আমার কাছ থেকে যৌতুক দাবি করে এবং নির্দিষ্ট সময়ে টাকা না দিলে আমার মেয়েকে মারধর করে। মেয়ের সুখের কথা চিন্তা করে ক্রমান্বয়ে ধাপে ধাপে তাকে প্রায় এক লক্ষ টাকা দিয়েছি।সর্বশেষ গত ২৫ জুলাই আবারও যৌতুকের জন্য আমার মেয়েকে পিটিয়ে তার ৫ মাস বয়সের শিশুকে মায়ের কোল থেকে কেড়ে নিয়ে তাকে জিম্মি করে টাকার জন্য আমার বাড়িতে পাঠিয়ে দেয়। টাকা নিয়ে যেতে দেরি হওয়ায় সে তার ভাই-বোন সহ বেশকিছু লোকজন নিয়ে আমার বাড়িতে এসে আমার মেয়েকে মারধর করে। আমরা প্রাণের ভয়ে প্রতিবেশী আবুল হাসেমের বাড়িতে আশ্রয় নিই। কিন্তু সেখানেও আমরা রক্ষা পাইনি। তারা সেখানে গিয়ে আমাদের উপর হামলা চালিয়ে আমাকে এবং আমার ছেলে ও মেয়েকে ধারালো ক্রিজ দিয়ে কুপিয়ে মারাত্মক ভাবে জখম করে। পরবর্তীতে স্থানীয়দের সহযোগীতায় চকরিয়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করে।
গত দুইদিন ধরে মায়ের দুধ না পেয়ে বাচ্চাটি কোন পরিস্থিতিতে আছে তা নিয়ে কান্নাকাটি করছেন শিশুটির মা কুলছুমা খানম।
এ ঘটনায় ভিক্টিমের মা অর্থাৎ মৃত জাফর আলমের স্ত্রী মোছাম্মৎ খদিজা বেগম বাদী হয়ে
একই এলাকার নুরুল হোসাইনের পুত্র মিনহাজ উদ্দিন, তার ভাই মিজবাহ উদ্দীন, বোন জেসমিন আকতার, মোহাম্মদ কালুর ছেলে জিয়াবুল করিমসহ ৬ জনের নামে থানায় এজাহার দায়ের করেছেন।
এ বিষয়ে চকরিয়া থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) জাবেদ মাহমুদ বলেন, মারধর করে ৫ মাসের শিশুকে রেখে দেওয়ার ঘটনায় অভিযোগ পেয়েছি। শিশুটিকে উদ্ধারের জন্য টিম পাঠানো হয়েছে। এ বিষয়ে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।