• শুক্রবার, ১৪ মার্চ ২০২৫, ১১:২১ পূর্বাহ্ন
সর্বশেষ খবর
ভুলন্ঠিত মানবতা,বিচারের বাণী নিভৃতে কাঁদেজাতিসংঘ মহাসচিব ও প্রধান উপদেষ্টার শিক্ষার্থীদের ১১ দফা দাবিইয়াবা মামলায় চার্জশিটভুক্ত আসামি পেলো হ্নীলা বাজারের ইজারাকুতুবদিয়া থানা পুলিশের অভিযানে ওয়ার্ড আওয়ামীলীগ নেতা গ্রেফতারদুই রিসোর্টে স্বামীর সহায়তায় স্ত্রীকে সংঘবদ্ধ ধর্ষণপাওনা টাকা চাইতে গিয়ে হত্যার হুমকি মারধর এর শিকার যুবকসহ-দপ্তর সম্পাদক সোহেল রানা। সভায় মোনাজাত ও দোয়া মাহফিল পরিচালনা করেন সংগঠনের সাংস্কৃতিক সম্পাদক মুহাম্মদ জুবাইরমাদকের (এডি)এ.কে.এম দিদারুল আলমের বিরুদ্ধে সাংবাদিক শাহীন মাহমুদ রাসেলকে ইয়াবা মামলায় ফাঁসানোর অপচেষ্টার অভিযোগের সত্যতা পেয়েছে তদন্ত কমিটিরোহিঙ্গাদের সঙ্গে ইফতার করবেন প্রধান উপদেষ্টা ও জাতিসংঘ মহাসচিবমানুষের উপকার করেন যাঁরা আমৃত্যু নীরোগ এবং শারীরিক মানসিক প্রশান্তিতে থাকেন তারা

কক্সবাজারে খুলনার কাউন্সিলর টিপু হত্যা নারীসহ আটক ৩, হত্যায় ব্যবহৃত অস্ত্র উদ্ধার

শওকত আলম:
আপডেট : বুধবার, ১৫ জানুয়ারী, ২০২৫

চাচার খুনের প্রতিশোধ নিতেই ভাতিজা শেখ শাহরিয়ার ইসলাম পাপ্পু (২৭) গুলি করে হত্যা করেন খুলনা সিটি কর্পোরেশনের সাবেক কাউন্সিলর গোলাম রব্বানী টিপুকে। এ হত্যাকাণ্ডে টোপ হিসেবে ব্যবহার করা হয় ঋতু (২৪) নামের এক নারীকে।

৯ জানুয়ারি কক্সবাজার সমুদ্র সৈকতের সি-গাল পয়েন্টে গোলাম রব্বানী টিপু হত্যার ঘটনায় মঙ্গলবার মৌলভীবাজার থেকে তিনজনকে গ্রেফতারের পর খুনের কারন হিসেবে এসব তথ্য জানায় পুলিশ।

গ্রেফতার তিনজন হলেন, খুলনার দেওয়ান মোল্লাপাড়ার মো. সেলিম আকন্দ এর কন্যা ঋতু (২৪), একই এলাকার জামাল শেখ এর পুত্র শেখ শাহরিয়ার ইসলাম পাপ্পু (২৭) ও মধ্য কারিগর পাড়ার মো. হায়দার সরদার অদুদের পুত্র গোলাম রসুল (২৫)।

বুধবার (১৫ জানুয়ারি) সকালে কক্সবাজার পুলিশ সুপার কার্যালয়ে অনুষ্ঠিত সংবাদ সম্মেলনে পুলিশ সুপার রহমত উল্লাহ বলেন, চরমপন্থী সংগঠন পূর্ব বাংলা কমিউনিস্ট পার্টি খুলনার নেতা ছিলেন হুজি শহীদুল। ২০১৩ সালে যাকে হত্যার সাথে জড়িত ছিলেন কাউন্সিলর টিপু এবং এ হত্যা মামলায় ৪ আসামীর মধ্যে আরো এক আসামীকে একই ভাবে ২০২২ সালে হত্যা করা হয়। আর হুজি শহীদের ভাতিজা হলেন পুলিশের হাতে আটক শেখ শাহরিয়ার পাপ্পু। যেখান থেকে শত্রুতা ও ক্ষোভ তৈরি হয়।

রহমত উল্লাহ বলেন, স্থানীয় আধিপত্য ও প্রভাব বিস্তারের বিষয়ও রয়েছে এ হত্যার পেছনে।

“খুব সুকৌশলে পূর্ব পরিকল্পিত ভাবে এ হত্যাকাণ্ড করার জন্য আসামীরা কক্সবাজারকে সুইটেবল প্লেস মনে করেছে” বলেন পুলিশ সুপার।

ঘটনার বর্ণনা দিতে গিয়ে এ পুলিশ কর্মকর্তা বলেন, এই তিন জনই হত্যার সময় কক্সবাজার অবস্থান করেছেন। সাথে থাকা নারী, কাউন্সিলর টিপুর গতিবিধি জানিয়েছেন খুনে জড়িত পাপ্পুকে। সহযোগী গোলাম রসুলসহ পাপ্পু উঠেছিলেন কক্সবাজার শহরের কক্স কুইন রিসোর্টে। খুনের পর তারা ব্যবহৃত অস্ত্রটি ওই রিসোর্টের ২০৮ নং কক্ষের চিলেকোঠায় রেখে পালিয়ে যান। পরে অস্ত্রটি পুলিশ উদ্ধার করে।

অস্ত্রের যোগানদাতা কে বা কারা তাও তদন্ত করছে পুলিশ। এছাড়া এঘটনার পরপর আটক হয়ে কারাগারে থাকা খুলনার আরেক সাবেক কাউন্সিলর শেখ হাসান ইফতেখার চালুর কক্সবাজারে আসার কারন ও কক্সবাজারে টিপুর বন্ধু মেজবাহ উদ্দিন ভুট্টোর বিষয়েও খতিয়ে দেখছে পুলিশ।

৯ জানুয়ারি কক্সবাজার সমুদ্র সৈকতের সি গাল পয়েন্টে গুলি করে হত্যা করা হয় খুলনা সিটি কর্পোরেশনের সাবেক কাউন্সিলর ও স্বেচ্ছাসেবক লীগ নেতা গোলাম রব্বানী টিপুকে। এরপর ১০ জানুয়ারি কক্সবাজার সদর মডেল থানায় হত্যার ঘটনায় অজ্ঞাত পরিচয় আসামীদের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করেন টিপুর ভগ্নিপতি মো. ইউনুস আলী শেখ।


আরো বিভন্ন নিউজ দেখুন