আন্তর্জাতিক মানবাধিকার সংগঠন অ্যামনেস্টি ইন্টারন্যাশনাল ছাত্রদল নেতা মমিনুল ইসলাম জিসানকে পুলিশ হেফাজতে নির্যাতনের অভিযোগ প্রসঙ্গে গভীর উদ্বেগ প্রকাশ করেছে।
সোমবার (২১ আগস্ট) রাতে সংস্থাটির দক্ষিণ এশিয়া আঞ্চলিক কার্যালয়ের ফেসবুক পেজ থেকে এ সংক্রান্ত একটি বিবৃতি পোস্ট করা হয়।
মমিনুল ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় (ঢাবি) শাখা ছাত্রদলের জ্যেষ্ঠ যুগ্ম সম্পাদক
অ্যামনেস্টির বিবৃতিতে বলা হয়, বিরোধী দলের নেতা মমিনুল ইসলাম জিসানকে পুলিশ হেফাজতে নির্যাতন করা হয়েছে বলে অভিযোগ উঠেছে। এতে অ্যামনেস্টি গভীরভাবে উদ্বিগ্ন।
ছাত্রদল নেতাকে পুলিশ হেফাজতে নির্যাতনের অভিযোগে উদ্বিগ্ন অ্যামনেস্টি
ছাত্রদলের ‘নিখোঁজ’ ৬ নেতার অবস্থান জানতে চেয়েছে অ্যামনেস্টি
আরও বলা হয়, বিশেষ ক্ষমতা আইন ও অস্ত্র আইনে জিসানকে শনিবার গ্রেপ্তার দেখায় পুলিশ। অথচ ছয় ছাত্রদল নেতা নিখোঁজের পর তাদের অবস্থান প্রকাশ করতে অনুরোধ করেছিল অ্যামনেস্টি।
জিসানের পরিবারের সদস্য ও আইনজীবীর বরাতে সংস্থাটি বলে, স্বজনরা তাদের জানিয়েছে, জিসানকে নির্যাতনের কারণে তিনি অভিযোগের স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিয়ে থাকতে পারেন। তাকে আরও নির্যাতন করারও আশঙ্কা করেছেন পরিবারের সদস্যরা।
বর্তমানে ছাত্রদল নেতা জিসান দুই দিনের রিমান্ডে রয়েছেন। রোববার আদালতে তোলার সময় তার দেহে আঘাতের চিহ্ন দেখা গেছে বলে দাবি করে সংস্থাটি।
বিবৃতিতে জিসানসহ বন্দিদের ওপর নির্যাতনের অভিযোগ তদন্তে বাংলাদেশ সরকারের প্রতি দ্রুত পদক্ষেপ নেওয়ার আহ্বান জানানো হয়। এ জন্য জাতিসংঘের বন্দি নির্যাতনবিরোধী কনভেনশন যেন বাংলাদেশ লঙ্ঘন না করে, এ ব্যাপারেও দৃষ্টি আকর্ষণ করা হয়।
এর আগে শনিবার রাতে জিসানসহ ছাত্রদলের নিখোঁজ ছয় নেতা নিখোঁজ হন। সে সময় সাদা পোশাকে পুলিশ তাদের তুলে নিয়ে গেছে বলে অভিযোগ করে বিএনপি।
দলটি এক বিবৃতিতে জানায়, শুক্রবার বেলা ১১টার দিকে রাজধানীর আজিমপুরের বাসা থেকে বের হওয়ার পর ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রদলের জ্যেষ্ঠ যুগ্ম সম্পাদক মমিনুল ইসলাম জিসানকে পাওয়া যাচ্ছে না।
এ বিষয়ে খোঁজ নেওয়ার জন্য ছাত্রদলের কেন্দ্রীয় সহ-সাধারণ সম্পাদক শাহাদত হোসেন, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রদলের সহ-সভাপতি হাসানুর রহমান, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক আব্দুল্লাহ আল রিয়াদ, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের এফ রহমান হল ছাত্রদলের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক শরিফুল ইসলাম ও জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক জহির উদ্দীন মোহাম্মদ জিসানের বাসার সামনে গেলে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর লোকেরা তাদের তুলে নিয়ে যায়।
ওই সময় ছাত্রদলের ছয় নেতার অবস্থান প্রকাশের আহ্বান জানায় আন্তর্জাতিক মানবাধিকারবিষয়ক সংগঠন অ্যামনেস্টি ইন্টারন্যাশনাল। শনিবার (১৯ আগস্ট) রাতে এক টুইট বার্তায় এ তাগিদ দিয়েছিল সংস্থাটি।