• বুধবার, ১২ মার্চ ২০২৫, ০৫:১৭ অপরাহ্ন
সর্বশেষ খবর
রোহিঙ্গাদের সঙ্গে ইফতার করবেন প্রধান উপদেষ্টা ও জাতিসংঘ মহাসচিবমানুষের উপকার করেন যাঁরা আমৃত্যু নীরোগ এবং শারীরিক মানসিক প্রশান্তিতে থাকেন তারানাইক্ষ্যংছড়ি থানা পুলিশের অভিযানে দেশীয় তৈরি বন্দুকসহ সন্ত্রাসী আটকসাবেক এমপি লুৎফর রহমান কাজল বিএফআরআই পরিচালনা বোর্ডের সদস্য মনোনীতসাংবাদিকতা সবচেয়ে ঝুঁকিপূর্ণ পেশা : বিচারহীনতার কারণে সাংবাদিক হয়রানি ও নির্যাতন বাড়ছেআজ শিল্পপতি আলহাজ্ব মোস্তাফিজুর রহমানের ৯ম মৃত্যুবার্ষিকী”কক্সবাজারে জুলাই-আগস্ট অভ্যুত্থানে হতাহতদের মাঝে লাখ টাকার চেক বিতরণমুসলিম সমাজের আগাছা মোনাফেক মারা গেলে যারা জানাযা পড়ে এবং জানাযা পড়ায় তারা সকলেই মোনাফেকউখিয়ার গয়ালমারার এনজিওকর্মী আলমগীর হত্যাচেষ্টার ঘটনায় মামলাবিবাদ বিশৃঙ্খলা ও হত্যাকাণ্ড মহাপাপ

দলীয় নয়, অপরাধ বিবেচনায় ব্যবস্থা নেবে প্রশাসন

নিজস্ব প্রতিবেদক :
আপডেট : শনিবার, ১ মার্চ, ২০২৫

দলীয় নয়, অপরাধ বিবেচনায় প্রশাসন ব্যবস্থা নেবে জানিয়ে স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা লে. জেনারেল (অব.) জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী বলেছেন, ‘আমরা কোনো দলের বদান্যতায় কাজ করছি না। দেশের কল্যাণে যা যা করণীয় তাই করা হচ্ছে। প্রশাসনের কাউকে কোনো দপ্তর থেকে বলে দেওয়া হয়নি, অমুখ দলের লোকজনকে সহানুভূতি দেখাতে। কোনো দলের নেতাকর্মীরা দখল বা অন্য কোনো অপরাধে জড়ালে প্রমাণ সাপেক্ষে তাদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নিতে সংশ্লিষ্টদের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।’

শনিবার কক্সবাজার জেলা প্রশাসকের সম্মেলন কক্ষে স্বরাষ্ট্র ও কৃষি মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তাদের সঙ্গে মতবিনিময় শেষে সাংবাদিকদের ব্রিফিং কালে তিনি এই মন্তব্য করেন।

দলীয় পরিচয়ে পর্যটন এলাকায় দখল-বেদখল, মারামারি ও ছিনতাই বাড়ছে সাংবাদিকে এমন প্রশ্নে জাহাঙ্গীর আলম বিষয়টি স্বীকার করেন। তিনি বলেন, ‘কক্সবাজারে অপহরণ ও মাদকের বিস্তার বেড়েছে। প্রায়শ গণমাধ্যমে বিষয়টি আসছে। আপনারা (সাংবাদিকরা) ও স্থানীয় সচেতনমহল জানেন কারা এসব করছে।’

স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা বলেন, ‘আমাদের প্রশাসনের একটি রোগ জারি হয়ে আছে। তা হলো ক্ষমতায় কে আসতে পারে সেই সম্ভাব্যতা থেকে সে দলের নেতাকর্মীদের আগাম তেল দেওয়া। এখানে ঊর্ধ্বতন বা মন্ত্রণালয়ের কোনো নির্দেশনা থাকে না।’

রোহিঙ্গা ইস্যু নিয়ে স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা বলেন, ‘মানবিক কারণে আমরা রোহিঙ্গাদের আশ্রয় দিয়েছি। কাগজে কলমে ১২ লাখ বলা হলেও প্রকৃত সংখ্যা আরও বেশি। এরা আমাদের গলার কাঁটা হয়ে দেখা দিয়েছে। এদের প্রত্যাবাসন ছাড়া সীমান্ত এলাকার অপরাধ কর্মকাণ্ড থামানো মুশকিল। আবার তাদের দ্রুত প্রত্যাবাসনও সম্ভব নয়। বলতে গেলে রোহিঙ্গা নিয়ে আমরা শাঁখের করাতে রয়েছি।

তিনি আরও বলেন, ‘মিয়ানমারের সঙ্গে আমাদের আমদানি-রপ্তানি বাণিজ্য রয়েছে। কিন্তু আরাকান আর্মি রাখাইন রাজ্য দখলে নেওয়ার পর থেকে বাণিজ্যে প্রতিবন্ধকতা হচ্ছে। আরাকান আর্মি অনেক জাহাজ আটকে রেখেছিল। ধরে নিয়ে গিয়েছিল বাংলাদেশি অনেক জেলেকে। এ কারণে দেশের সীমান্ত সুরক্ষা ও রোহিঙ্গাদের প্রত্যাবাসনের স্বার্থে আরাকান আর্মির সঙ্গে যোগাযোগ রাখা হচ্ছে।


আরো বিভন্ন নিউজ দেখুন