মাদক সিন্ডিকেটদের ও পেশি শক্তির বিরুদ্ধে একাই লড়াই করে চলেছেন একজন নারী। বৃহত কয়েকটি শক্তির সাথে লড়াই করে সফলতার শীর্ষে পৌছেও নিজের জীবনের ও বাবা মা স্বামী পরিবারের জীবন নিয়ে শঙ্কিত! জীবনের নিরাপত্বা চেয়ে দু বার থানায় জিডি করেছেন। গৌরনদী মডেল থানা পুলিশ দুজনকে গ্রেফতার করে আদালতে প্রেরন করেছে। জেলে বসে ই দিচ্ছে হুমকি! ওই নারী মহিয়ুশী নারী হিসাবে খেতাব পাওয়ার যোগ্যতা রাখেন।
সুত্র জানায়, উপজেলার তারাকুপি কটকস্থল গ্রামের বাসিন্দা মো: হারুন অর রশিদ বেপারী ২০১৫ সালে পৈত্বিক ও নিজ রেকর্ডিয় সম্পত্বিতে মেসার্স আরিফ ফিলিং স্টেশন নামে পাম্প করার উদ্যোগ নিয়ে ১ কোটি ১০ লাক ৯০ হাজার টাকা খরচ করেন নির্মান কাজ ধিরগতি এলে স্থানীয় সুদ ব্যবসায়ী ছলেমান হাওলাদারের কাছ থেকে ১০ লক্ষ টাকা মুনাফায় নেন।ব্ল্যাঙ্ক চেক ও স্ট্যাম্প নেন ছলেমান! একটি কিস্তি পরিশোধে দেরি হওয়ায় ২৫ লাক টাকার মিথ্যা অভিযোগ ছলেমান গৌরনদী মডেল থানায় দায়ের করলে দারোগা ছগির হোসেন তদন্তে এসে ১০ লাক টাকার সত্যতা পান। বাদি বিবাদীর সাথে মিট করে দারোগা বের হলে পথিমধ্যে ওই পথে উপজেলা পরিষদের ভাইস চেয়ারম্যান ও উপজেলা আওয়ামীলীগের যুগ্ন সাধারন সম্পাদক ফরহাদ হোসেন মুন্সি যাচ্ছিলেন। দারোগা ছগিরের কাছে (ফরহাদ মুন্সি)কে শেয়ার প্রস্তাব করেন। পাম্পের মালিক হারুন বেপারীর বাড়িতে গিয়ে ফরহাদ মুন্সি ,দারোগা ছগির, হারুন বেপারীর মেয়ে পপি,জামাই আজমল আলম সিদ্দিকী সোহাগ,হারুন বেপারীর স্ত্রী মঞ্জু বেগম উপস্থিত থেকে একটি ডায়েরীতে চুক্তিপত্র লিখে স্বাক্ষর করেন । পাম্প মালিক হারুন বেপারী ৩৪,আজমল আলম সিদ্দিকী সোহাগ ৩৩,ও ফরহাদ মুন্সি ৩৩ করে শেয়ার নেয়ার স্বাক্ষর করা হয় । পরবর্তীতে পম্পের ডেকারেশন আর রাস্তার জন্য ফরহাদ মুন্সি তার ইচ্ছে মাফিক ১ কোটি ৭০ লাক টাকা খরচা দেখান( যার কোনো বিল ভাউচার নেই)! এবং স্ট্যাম্পে যা ইচ্ছা তা লিখে জোড় পূর্বক হারুন রেপারী ও তার জামাতার স্বাক্ষর নেন! স্ট্যাম্পে লেখাটাও পড়তে দেন নি ফরহাদ মুন্সি ! এভাবেই চার বছর পেষি শক্তির ক্ষমতাবলে পাম্প পরিচালনা করেন ! পরবর্তীতে ৩য় পক্ষ শেয়ার ফরহাদ মুন্সি মজিবর রহমান মাঝি নামক একজনকে ৩য় পক্ষ শেয়ার নেন, প্রথম স্ট্যাম্পের ২য় পক্ষ শেয়ার সোহাগকে বাদ রেখে ২য় পক্ষ শেযার হয়ে যান ফরহাদ মুন্সি !
২য় পক্ষ শেয়ার আজমল আলম সিদ্দিকী সোহাগ অভিযোগ করে বলেন, আমি ছিলাম প্রথম স্ট্যাম্পর ২য় শেয়ার ,আমাকে বাদ দেয়া হয় যার কোনো প্রকার রেজুলেশন বা আলাপ চারিতা না করেই ! যা সম্পূর্ন বে আইনীভাবে করা হয়েছে। এ বিষয়ে আমার শশুর ১ পক্ষ পাম্প মালিক হারুন অর রশিদ ৩য় শেয়ার ফরহাদ মুন্সির কাছে জানতে চাইলে অকথ্য ভাষায় গালাগাল ও মারধর করার জন্য তেড়ে আসেন এবং হুমকি প্রদান করেন। এরপরই আমার শশুর ব্রেন্ড স্ট্রক করেন এবং তিন মাস নিউরো সাইন্স হাসপাতালে ভর্তি থাকেন ।
পাম্প মালিক হারুন বেপারীর মেয়ে পপি বিভিন্ন দফতরে দরখাস্ত দিয়ে পাম্প বন্ধ রাখেন।
পরবর্তীতে পাম্পের একাউন্টে ৫০ লাক টাকা জমা করার অঙ্গিকার করে তা রক্ষা করেন নি । এছাড়া
ফরহাদ মুন্সির কাছে পাম্পের তেল বিক্রির ৬৬ লাক টাকা পাওনা ও বিভিন্ন জায়গায় বাকিতে তেল বিক্রি করে সে টাকা পাম্পের একাউন্টে জমা করেন নি। পরবর্তীতে মানিক মাঝি ও হিরা মাঝি (দক্ষিন বঙ্গের মাদক সম্রাট) পাম্প ফরহাদ মুন্সির থেকে শেয়ার ক্রয়ের কথা বলে জবর দখলে নেন। অনেক দেন দরবারে পরে স্থানীয় আমাদের বৈষম্য করে একটি সমাধান করেন যা আমরা মৌখিক মানতে বাধ্য হই এবং পাম্প পরিচালনা করি ।
পপি জানান, গত ৫ আগস্ট ২৪ ফরহাদ মুন্সি পালিয়ে গেলে আমরা আমাদের অধিকার ও আমাদের সম্পদ রক্ষায় গৌরনদী মডেল থানায় লিখিত অভিযোগ দেই,সেখানে হিরা মাঝি হাজির হন নি, মানিক মাঝি,তার বাবা মজিবর মাঝি,ও তাদের নিকটত্বীয়রা উপস্থিত হন। জাহানারা বেগমের জমির বিষয়টি চুল চেড়া বিশ্লেষন করে সমাধান করা । একটি স্ট্যাম্প চুক্তি করা আছে।
পাম্পের বিষয়ে গৌরনদী উপজেলা নির্বাহী অফিসারের কাছে ফরহাদ মুন্সি,মজিবর মাঝি,মানিক মাঝি ও হিরা মাঝিকে বিবাদী করে লিখিত অভিযোগ দায়ের করি । এ কারনে দু বার জীবন নাশের হুমকি দেয়, সে বিষয়ে থানায় সাধারন ডায়েরী করি।
উপজেলা নির্বাহী অফিসার বিবাদীদের নোটিশ করেন, প্রথম ৮ জানুয়ারী ২৪ শুনানীর দিন ধার্য্য করেন ।
ওই দিন শুনানী শেষে পরবর্তী তারিখ ১৬ জানুয়ারী ২৪ ধার্য্য করে দু দফায় শুনানী করেন। সেখানে বাদি পক্ষের সম্মানীত গন্যমান্য ও চারজন সাংবাদিক উপস্থিত ছিলেন এবং বিবাদী ফরহাদ মুন্সি ও হিরা মাঝি বাদে তার বাবা মজিবর মাঝি,মানিক মাঝিসহ তাদের ভাই ব্রাদার চাচার উপস্থিতীতে মৌখি আদেশ দেন, পাম্পের মালিক হারুন অর রশিদ বেপারী, আপনারা বিবাদিরা পাম্পের মালিকানা নিয়ে যাবেন না।
নির্বাহী কর্মকর্তার মৌখিক আদেশ পাওয়ার পর ২৫ জানুয়ারী হিরা মাঝি স্ব_শরীরে, মানিক মাঝি সিফাত মাঝি দলবদ্ধ ভাবে পাম্পে অনাধিকার প্রবেশ করে অস্রের মুখে জিম্মি করে সটাফদের থেকে ও পাম্পের ক্যাশ থেকে দু দফায় ১১ লাক ৯০ হাজার টাকা লুট করে নিয়ে । ওই দিন ই থানায় উস্থিত হয়ে এজাহার দায়ের করা হয়। ২ নং আসামী মানিক মাঝি ও ৩ নং আসামী সিফাত মাঝিকে গ্রেফতার করে পরের দিন আদালতে সেপোর্দ করা হয়। ২৭ জানুয়ারী মাননীয় আদালত জামিন না মঞ্জুর করে জেল হাজতে প্রেরন করেন।
গৌরনদী মডেল থানার অফিসার ইন চার্জ মো: ইউনুস মিয়া ঘটনার সত্যতা স্বীকার করে বলেন, হিরা মাঝি গং মাদক সম্রাট, মামলা হয়েছে, আমি নিজে ধাওয়া করে ২নং আসামী মানিক মাঝি ও ৩ নং আসামী সিফাত মাঝিকে গ্রেফতার করি, হিরা মাঝি ও অন্যান্ন আসামীদের গ্রেফতারে জোড় চেস্টা চলছে।
এসব বিষয়ে উপজেলা নির্বাহী অফিসার মো: আবু আব্দুল্লাহ খান সত্যতা স্বীকার করে বলেন, হারুন অর রশিদকে মালিক স্বীকার করে ফরহাদ মুন্সি শেয়ার নিয়েছেন পরবর্তীতে হারুন বেপারীর স্বাক্ষর ভুয়া করে একটি স্ট্যাম্প করেন যেখানে ২য় শেয়ার আজমল আলম সিদ্দিকী সোহাগ নেই,মজিবর রহমান মাঝি নামে একজনকে শেয়ার নেয়া, তা আইন সম্মত নয়,নেই কোনো রেজুলেশন বা ব্যবসায়ীক নিয়নম নীতিতে পড়েনা । পরবর্তীতে যারা ফৌজদারি অপরাধ করেছে তাদের আইনানুগ ব্যবস্থা নেয়ার জন্য ওসিকে অনুরোধ করেছি।
উপজেলা নির্বাহী অফিসার মো: আবু আব্দুল্লাহ খান আরও বলেন,দক্ষিন বঙ্গের মাদক সম্রাট হিরা মাঝি , মানিক মাঝি গংদের বিরুদ্ধে ও নিজের প্রতিষ্ঠান সম্পদ রক্ষার লড়াইয়ে একাই লড়াই করে যাচ্ছেন একটি নারী ( পপি), যেখানে অনেক মানুষ মাদকের সাথে সম্পৃক্ত বা সুবিধাভোগী সেখানে নি:সন্দেহে প্রসংশার দাবিদার , তিনি একজন মহিয়ুশী নারী ।