• শনিবার, ১৪ জুন ২০২৫, ০১:৪৮ পূর্বাহ্ন
সর্বশেষ খবর
কক্সবাজারে রামুর শীর্ষ ডাকাত শাহীন গ্রেফতার: সীমান্তে চাঁদাবাজি ও সন্ত্রাসের অবসানআশরাফ অর্জনে আলো ঝলমল এক পরিবার: ১৮তম NTRCA পরীক্ষায় “আরবি প্রভাষক পদে সুপারিশপ্রাপ্তমহেশখালীতে আধুনিকতার ছোঁয়ায় বদলে গেছে হাসপাতালে স্বাস্থ্য সেবাঅবশেষে কক্সবাজার থানায় সংবাদকর্মীর উপর হামলার ঘটনায় আদালতে মামলাঅফিস বন্ধের আগে প্রিপেইড মিটারে রির্চাজ করা ও জুনের মধ্যে বকেয়া বিল আদায়ের আহবান কক্সবাজার বিদ্যুৎ অফিসেরবাল্যবিবাহ প্রতিরোধে সচেতনতামূলক নাটক অনুষ্ঠিতযুবদের নিয়ে নাগরিক সাংবাদিকতা ও প্রচারণা বিষয়ক প্রশিক্ষণ সম্পন্নঅপরাধ দমনে কক্সবাজারের শ্রেষ্ঠ ওসি ইমন কান্তি চৌধুরীফরিদুল মোস্তফার ৬ মিথ্যা মামলা প্রত্যাহার চাই বিএমএসএফভুলন্ঠিত মানবতা বিচারের বাণী নিভৃতে কাঁদে ৬ বছরেরও প্রত্যাহার হয়নি নির্যাতিত সাংবাদিক ফরিদুলের ৬ মিথ্যা মামলা, পুলিশী ষড়যন্ত্রে আটকে আছে পাসপোর্ট

নাফ নদীর তীরে শিশুসহ ৩ জনের লাশ উদ্ধার

হাফেজ মুহাম্মদ কাশেম
আপডেট : শনিবার, ১২ জুন, ২০২১

টেকনাফের নাফনদীতে ভাসমান অবস্থায় নারী—শিশুর ৩টি লাশ উদ্ধার করা হয়েছে। এরমধ্যে ১জন নারী এবং ২ জন শিশুকন্যা। শনিবার (১২ জুন) দুপুর ১টায় টেকনাফ উপজেলার হ্নীলা ইউনিয়নের মৌলভীবাজার এলাকার পুর্বে নাফনদী সীমান্ত থেকে বিজিবি ও স্থানীদের সহয়তায় হ্নীলা ইউপি চেয়ারম্যানের উপস্থিতিতে লাশগুলো উদ্ধার করে টেকনাফ মডেল থানা পুলিশ।
হ্নীলা ইউপি চেয়ারম্যান রাশেদ মাহমুদ আলী জানান, শনিবার সকালের দিকে নাফনদীর মৌলভী বাজার সীমান্তে ৩ নারী—শিশুর লাশ দেখে স্থানীয়রা ইউপি চেয়ারম্যান ও পুলিশকে খবর দেয়। পরে বেলা সাড়ে ১২টায় টেকনাফ মডেল থানার এসআই মাহমুদুল হাসান, আবদুর রব, মজিবুর রহমানের নেতৃত্বে একদল পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছে বেড়িবাঁধের কিনারায় পানিতে ভাসমান অবস্থায় নারী—শিশুর ৩টি লাশ উদ্ধার করে সুরতহাল তৈরি করে ময়না তদন্তের জন্য কক্সবাজার সদর হাসপাতালে প্রেরণ করে। তারা রোহিঙ্গা বলে শনাক্ত করা হয়েছে। হয়তো মিয়ানমার থেকে ভেলায় করে বাংলাদেশে প্রবেশের সময় দুর্ঘটনায় তাদের মৃত্যু হয়েছে। উদ্ধার হওয়া ৩ জনের শরীরে আঘাতের কোন ক্ষত নেই। তাছাড়া কুতুপালং ক্যাম্পের রোহিঙ্গা কেন বা কি উদ্দেশ্যে টেকনাফ উপজেলার হ্নীলা ইউনিয়নের মৌলভীবাজার এলাকার পুর্বে নাফনদীতে গিয়েছিল বা নৌকা ডুবির ঘটনা হয়ে থাকলে নৌকায় তারা কতজন ছিল এবং বাকিদের কি পরিণতি হয়েছে তা বিস্তারিত তাৎক্ষণিকভাবে জানা যাচ্ছেনা। মৃত দেহের সাথে রোহিঙ্গা ক্যাম্পের নিবন্ধন কার্ড মতে মৃতদেহ সমুহ রোহিঙ্গা বলে ধারণা করা হচ্ছে। তারা হলেন কুতুপালং ক্যাম্পের আব্দুস সালামের মেয়ে সমজিদা (৩৫), ৬ বছর এবং ২ বছরের দুই শিশু। দু’জনই মেয়েশিশু।
এদিকে ঝাঁকি জাল নিয়ে মাছ শিকারী নবী হোসেন নামে এক জেলে বলেন, আমি নাফনদীতে মাছ শিকারের সময় মিনাবাজারের পূর্বে নাফনদীতে ভাসমান অবস্থায় ২ জন বয়স্ক মহিলার মৃত দেহ দেখতে পেয়েছি। তখন আমি ভয়ে চলে আসি। এখন দেখছি পুলিশ এসে এখান থেকেও ৩টি মৃতদেহ উদ্ধার করছে’।
টেকনাফ থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) হাফিজুর রহমান বলেন, ‘স্থানীয় চেয়ারম্যান ও এলাকাবাসী থেকে খবর পেয়ে পুলিশ গিয়ে তাদের মরদেহ উদ্ধার করে হাসপাতালে নিয়ে আসে। স্থানীয়দের ধারণা তারা রোহিঙ্গা। হয়তো মিয়ানমার থেকে ভেলায় করে বাংলাদেশে প্রবেশের বা মিয়ানমারে যাওয়ার সময় দুর্ঘটনায় তাদের মৃত্যু হয়েছে। বিষয়টি নিয়ে আমরা তদন্ত করছি। নারী—শিশুর ৩টি লাশ উদ্ধার করে সুরতহাল তৈরির পর ময়না তদন্তের জন্য কক্সবাজার সদর হাসপাতালের মর্গে প্রেরণ করা হয়েছে’।


আরো বিভন্ন নিউজ দেখুন