তথ্যমন্ত্রী ও আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ড. হাছান মাহমুদ বিএনপি মহাসচিবের সাম্প্রতিক এক মন্তব্যের জবাবে বলেছেন, ‘মির্জা ফখরুল বলেছেন, এই বছরে নাকি সরকারকে উৎখাত করবে। গত ১২ বছর ধরে তারা সরকারকে উৎখাত করতে গিয়ে নিজেরাই জনগণের কাছ থেকে উৎখাত হয়ে গেছেন। প্রতিনিয়ত সরকার উৎখাতের যে আন্দোলনের কথা আপনারা বলছেন, এতে জনগণের কাছে আগের মতোই এখনও হাস্যকর হচ্ছেন।’
সৈয়দ আশরাফুল ইসলামের দ্বিতীয় মৃত্যু বার্ষিকী উপলক্ষে রোববার রাজধানীতে জাতীয় প্রেসক্লাবে আয়োজিত সভায় প্রধান অতিথির বক্তৃতায় মন্ত্রী এ কথা বলেন।
ড. হাছান আরো বলেন, ‘আশা করেছিলাম নতুন বছরের প্রথমে মির্জা ফখরুল সাহেবের কথাবার্তায় কিছুটা পরিবর্তন আসবে। আমি তার প্রতি যথাযথ সম্মান রেখেই বলতে চাই, দু:খজনক হলেও সত্য, কোনো পরিবর্তন আসে নাই। অনুরোধ জানাই, আপনারা ইতিবাচক রাজনীতির ধারায় ফিরে আসুন। এতোদিন মানুষকে জিম্মি ও পুড়িয়ে হত্যার যে ধ্বংসাত্মক রাজনীতি করেছেন, সেজন্য নতুন বছরে জনগণের কাছে ক্ষমা চান এবং জনগণের কাছাকাছি যাওয়ার চেষ্টা করুন।’
নতুন বছরে দু’টি প্রত্যাশার কথা উল্লেখ করে তথ্যমন্ত্রী বলেন, ‘বাংলাদেশসহ সমগ্র বিশ্বের করোনা থেকে মুক্তি এবং মানুষ জিম্মি করার রাজনীতি পরিহার করে ইতিবাচক রাজনীতির ধারায় বিএনপি’র ফেরত আসা।’
বঙ্গবন্ধু সাংস্কৃতিক জোট আয়োজিত সংগঠনের উপদেষ্টা চিত্ত রঞ্জন দাসের সভাপতিত্বে ও সম্পাদক অরুণ সরকার রানার পরিচালনায় পানিসম্পদ উপমন্ত্রী এনামুল হক শামীম সভায় প্রধান বক্তা এবং আওয়ামী লীগ নেতা এডভোকেট বলরাম পোদ্দার বিশেষ অতিথির বক্তব্য রাখেন। আওয়ামী লীগ নেতা এম এ করিম, স্বাধীনতা পরিষদের সাধারণ সম্পাদক শাহাদত হোসেন টয়েল, সাংবাদিক মানিক লাল ঘোষ, সমীরণ রায় প্রমুখ আমন্ত্রিত বক্তা হিসাবে বক্তব্য রাখেন।
তথ্যমন্ত্রী বলেন, ‘বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের প্রয়াত সাধারণ সম্পাদক সৈয়দ আশরাফুল ইসলাম নেতৃত্বের প্রতি অবিচল থেকে রাজনীতিকে ব্রত হিসেবে নিয়েছিলেন। দেশের ইতিহাসে সজ্জন, স্বচ্ছ রাজনীতিবিদ এবং একজন ভালো মানুষ হিসেবে তার নাম ইতিহাসের পাতায় লেখা থাকবে।’
সৈয়দ আশরাফকে অত্যন্ত সজ্জন, মিতভাষী, প্রচারবিমুখ একজন আপাদমস্তক ভদ্র মানুষ হিসেবে বর্ণনা করে ড. হাছান বলেন, ‘তিনি তার পিতা দেশের প্রথম সরকারের উপরাষ্ট্রপতি সৈয়দ নজরুল ইসলামের মতোই দল ও দলের মূল নেতৃত্বের প্রতি অবিচল বিশ্বস্ত থেকে কাজ করেছেন। পিতার মতোই রাজনীতিকে দেশ সেবা, জনসেবা, প্রয়োজনে সমাজ পরিবর্তন ও মানবকল্যাণের ব্রত হিসেবে নিয়েছিলেন তিনি। ২০০৭ সালে দলের সভাপতি শেখ হাসিনাকে অন্যায়ভাবে বন্দি করা হলে সৈয়দ আশরাফ যেভাবে নেত্রীর পক্ষে অবস্থান নিয়েছিলেন, সেটি নেত্রীকে এবং শিকল ও বাক্সবন্দী গণতন্ত্রকে মুক্ত করার ক্ষেত্রে যে ভূমিকা রেখেছে তা বাংলাদেশ ও আওয়ামী লীগের ইতিহাসে চির লিপিবদ্ধ থাকবে।’
সূত্র : বাসস