কক্সবাজারের উখিয়ার বালুখালী ক্যাম্পে ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ডের পর রোহিঙ্গারা লোকালয়ে ছড়িয়ে পড়তে পারে। ইতোমধ্যে ক্যাম্পের বাইরে ছড়িয়ে যাওয়া রোহিঙ্গারা জড়িয়েছে খুন খারাবি সহ নানা অপরাধমূলক কর্মকাণ্ডে।
স্থানীয় রাজনৈতিক দূবৃৃওরা স্বল্প টাকায় এদের ভাড়াটিয়া হিসেবে ব্যাবহার করে নানা অপরাধমুল মুলক কর্মকান্ডে।
আসন্ন ইউনিয়ন পরিষদ ও পৌর নির্বাচনে রোহিঙ্গা সন্ত্রাসীদের ব্যাবহারের সম্ভাবনা ও বাড়ছে।
জানাগেছে,ক্যাম্পের উশৃংখল রোহিঙ্গা যুবকদের নিয়ে টেকনাফের হোয়াইক্যাং খারাংখালী বাহারুল উলুম মাদ্রাসার কথিত অধ্যক্ষ স্থানীয় জামায়াত নেতা মৌলভি মফিজ আহমেদ, হ্নীলার সিডি ব্যাবসায়ী আলম সহ টেকনাফ – কক্সবাজার স্থানীয় একটি চক্র দীর্ঘ দিন ধরে মাদক ব্যাবসা,চুরি,ছিনতাই, খুন, রাহাজানি সহ বিভিন্ন অপকর্ম চালিয়ে আসছে।
এদের সাথে সখ্যতা রয়েছে নিষিদ্ধ সংগঠন আরএসও সহ কয়েকটি উগ্র মৌলবাদী সংগঠনের।
বাংলাদেশের অভ্যন্তরে সরকার বিরোধী হরেক অরাজকতায় লিপ্ত উক্ত চক্রটির সাথে ক্ষমতাসীন রাজনৈতিক দলের কিছু বিপদগামী নেতার দহরম মহরম সম্পর্ক রয়েছে।
কক্সবাজারের স্থানীয়রা বলছেন, আশ্রয় শিবিরে কোনো ঘটনা ঘটলেই ক্যাম্প ছেড়ে রোহিঙ্গারা মিশে যায় লোকালয়ে। তবে অগ্নিকাণ্ডের পর ভাসমান হয়ে পড়া রোহিঙ্গারা কোনোভাবেই যাতে লোকালয়ে মিশে যেতে না পারে সে বিষয়ে সজাগ থাকার কথা জানিয়েছে পুলিশ এবং শরণার্থী ত্রাণ ও প্রত্যাবাসন কমিশনার।
ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ডের কারণে প্রাণ বাঁচাতে ঝুপড়িঘর ছাড়ে কক্সবাজারের উখিয়ার বালুখালী আশ্রয় শিবিরের হাজার হাজার রোহিঙ্গা। এরপর অনেক রোহিঙ্গা চলে যায় কুতুপালং ক্যাম্পে অবস্থান করা স্বজনদের কাছে। আবার অনেকেই যায় লোকালয়ে। তবে আগুন নিভে যাওয়ার পর ক্যাম্পে ফিরেছে অনেক রোহিঙ্গা। স্থানীয়দের দাবি, আশ্রয় শিবিরে সংঘর্ষ, সংঘাত বা সম্প্রতি আগুন লাগার মতো ঘটনা সংঘটিত হলেই ক্যাম্প ছেড়ে লোকালয়ে পালিয়ে যায় রোহিঙ্গারা।
ভাসমান হয়ে পড়ার সুযোগ নিয়ে রোহিঙ্গারা যেন কোনোভাবেই লোকালয়ে মিশে যেতে না পারে সে বিষয়ে সজাগ থাকার কথা জানালেন পুলিশের চট্টগ্রাম রেঞ্জের ডিআইজি মো. আনোয়ার হোসেন।
আর শরণার্থী ত্রাণ ও প্রত্যাবাসন কমিশনার শাহ্ নেজওয়ান হায়াত জানালেন, রোহিঙ্গা ক্যাম্প ছেড়ে বাইরে ছড়িয়ে পড়ার বিষয়টি কঠোরভাবে নজরদারিতে রাখা হয়েছে।
গত ২ বছরে দেশের নানা স্থান থেকে ৫০ হাজারের অধিক রোহিঙ্গাকে উদ্ধার করে ক্যাম্পে পাঠানো হয়।
এদিকে আগুনপুড়া রোহিঙ্গাদের অনেকেই আগের অবস্থানে ফিরতে বসতঘর নির্মান কাজ চালিয়ে যাচ্ছে।
স্থানীয় প্রশাসন, রেডক্রিসেন্ট ও বিভিন্ন এনজিও সংস্থা তাদের সাহায্য সহযোগীতায় এগিয়ে এসেছে।
তবে অগ্নকান্ডে ক্ষতিগ্রস্থ কয়েকশ বাংলাদেশী পরিবার এখনো কোন সাহায্য সহযোগী পাননি বলে অভিযোগ উঠেছে।
তারা বলেন,রোহিঙ্গাদের এনজিওরা সাহায্য করে,আমাদের তো কেউ করেনা।