• রবিবার, ১৩ জুলাই ২০২৫, ১১:১৯ অপরাহ্ন
সর্বশেষ খবর
মহেশখালীতে ‘ফয়সাল ডাইন’ রেস্টুরেন্টের আনুষ্ঠানিক যাত্রা শুরু” কিডনি পাথর রোগীর খাদ্যাভ্যাস কেমন হওয়া উচিত ? “” কিডনি বিকলাঙ্গ রোগীর খাদ্য ব্যবস্থাপনা “কিডনি সুরক্ষায় করণীয়অবসর প্রাপ্ত সেনা সদস্যেকে জমি বিরোধের জেরে মারধর,, এএসইউ কর্তৃক ওয়ারেন্ট ভুক্ত এক আসামী গ্রেফতারকক্সবাজারে রামুর শীর্ষ ডাকাত শাহীন গ্রেফতার: সীমান্তে চাঁদাবাজি ও সন্ত্রাসের অবসানআশরাফ অর্জনে আলো ঝলমল এক পরিবার: ১৮তম NTRCA পরীক্ষায় “আরবি প্রভাষক পদে সুপারিশপ্রাপ্তমহেশখালীতে আধুনিকতার ছোঁয়ায় বদলে গেছে হাসপাতালে স্বাস্থ্য সেবাঅবশেষে কক্সবাজার থানায় সংবাদকর্মীর উপর হামলার ঘটনায় আদালতে মামলাঅফিস বন্ধের আগে প্রিপেইড মিটারে রির্চাজ করা ও জুনের মধ্যে বকেয়া বিল আদায়ের আহবান কক্সবাজার বিদ্যুৎ অফিসের

কক্সবাজারে রামুর শীর্ষ ডাকাত শাহীন গ্রেফতার: সীমান্তে চাঁদাবাজি ও সন্ত্রাসের অবসান

কক্সবাজারবানী’র সাথে থাকুন
আপডেট : বৃহস্পতিবার, ৫ জুন, ২০২৫

শওকত আলম : ককসবাজার


কক্সবাজারের রামু উপজেলার কুখ্যাত ডাকাত শাহীনুর রহমান ওরফে শাহীনকে যৌথবাহিনী গ্রেফতার করেছে।
বৃহস্পতিবার, ৫ জুন ২০২৫ সকালে রামুর গর্জনিয়া ইউনিয়নের জাউচপাড়া এলাকায় অভিযান চালিয়ে যৌথবাহিনীর একটি দল তাকে আটক করে।

সেনাবাহিনীর ঝিলংজা ক্যাম্পের কর্মকর্তারা জানান, গোপন সংবাদের ভিত্তিতে শাকের মেম্বারের বাড়িতে অভিযান চালিয়ে শাহীনকে গ্রেফতার করা হয়।

শাহীনুর রহমানের বিরুদ্ধে বিভিন্ন থানায় অন্তত ২০টি মামলা রয়েছে। এর মধ্যে ৯টি ডাকাতি, ৪টি হত্যা, ২টি অস্ত্র, ২টি মাদক মামলা ছাড়াও একাধিক সাধারণ ডায়েরি রয়েছে।

স্থানীয়দের ভাষ্য অনুযায়ী, শাহীন ও তার বাহিনী সীমান্ত দিয়ে আসা গরু এবং চোরাচালান পণ্যের ওপর নিয়ন্ত্রণ চালাত। প্রতিদিন ৫০০ থেকে ১ হাজার গরুর প্রতিটি থেকে ৩ হাজার টাকা করে চাঁদা আদায় করত তারা। ইয়াবা, আইস, বিদেশি সিগারেটসহ বিভিন্ন চোরাচালান পণ্যের করিডোরও ছিল তার নিয়ন্ত্রণে।

রামুর গর্জনিয়া, কচ্ছপিয়া ও নাইক্ষ্যংছড়ি সীমান্ত এলাকায় শাহীনের একচ্ছত্র আধিপত্য ছিল।

স্থানীয়রা জানান, শাহীন নিজেকে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সোর্স হিসেবেও জাহির করতেন। কেউ তার ইচ্ছার বিরুদ্ধে গেলে অনেক সময় অস্ত্র দিয়ে ফাঁসিয়ে দিতেন। তার বাহিনীর সদস্যরা রাতে দলবলসহ সশস্ত্র মহড়া চালিয়ে জনমনে আতঙ্ক সৃষ্টি করত।

শাহীন ও তার সহযোগী তারেক জিয়ার গ্রেফতারের খবর ছড়িয়ে পড়লে রামু ও নাইক্ষ্যংছড়ি এলাকায় উৎসব শুরু হয়। বিভিন্ন এলাকায় মিষ্টি বিতরণ করা হয়। এলাকাবাসীর দাবি, শাহীনের ২০-২৫ জন সশস্ত্র সহযোগী এখনও সক্রিয়। তাদেরও দ্রুত গ্রেফতারের আহ্বান জানিয়েছেন স্থানীয়রা।

এই গ্রেফতারের মাধ্যমে দীর্ঘদিন ধরে সীমান্ত এলাকায় সন্ত্রাস ও চাঁদাবাজির মাধ্যমে আতঙ্ক সৃষ্টি করা শাহীন ডাকাতের অপরাধ সাম্রাজ্যের অবসান ঘটেছে বলে মনে করছেন স্থানীয়রা।


আরো বিভন্ন নিউজ দেখুন