• শনিবার, ০৮ ফেব্রুয়ারী ২০২৫, ০৩:৪৯ পূর্বাহ্ন
সর্বশেষ খবর
ঐতিহ্যবাহী বাঁকখালী নদীতে দখলবাজদের রামরাজত্বকক্সবাজারের টেকনাফের সীমান্তে ৪ লাখ ইয়াবা জব্দঅভিশপ্ত মানুষের ঠিকানা শারীরিক মানসিক যন্ত্রণাদায়ক জাহান্নামআহত সাংবাদিকের চিকিৎসা সহায়তায় এগিয়ে আসুনটেকনাফে বিজিবির অভিযানে ২লাখ ২০হাজার ইয়াবা ও বিদেশী মদ উদ্ধারটেকনাফে ইউপি চেয়ারম্যান গ্রেফতারমোনাফেকরা দেশ মাটি মানুষ ও সৃষ্টিকর্তার সবচেয়ে বড় শত্রুচকরিয়া ঢ়েমুশিয়া মুছারপাড়ার জা জমি জবর দখলকারীদের সন্ত্রাসী হামলায় তিন নারী আহতপৌরসভা ১নং ওয়ার্ড পশ্চিম শাখা শ্রমিক দলের পূর্ণাঙ্গ কমিটি গঠিতভোটার হালনাগাদ নিয়ে কাউয়ারখোপ পরিষদ চেয়ারম্যান শামসুল আলমের দুর্নীতি,টাকা না দিলে ফাইল মিলে না ২০ দিনেও

কক্সবাজার সৈকতে এখনো পর্যটকদের উচ্ছ্বাস, করোনা সংক্রমন ঠেকাতে জেলা প্রশাসনের কঠোর পদক্ষেপ

কক্সবাজারবানী’র সাথে থাকুন
আপডেট : রবিবার, ২১ মার্চ, ২০২১

ফরিদুল মোস্তফা খান :
এখনো দেশী বিদেশি হাজারো পর্যটকে মুখরিত কক্সবাজার সৈকত সহ জেলার পর্যটন স্পট গুলো।
কিন্তু ভয়াবহ করোনা ঝুঁকির মধ্যেও কেউ মানছেননা স্বাস্থ্য সচেতনতা। ফলে মুখে মাস্ক কিংবা শারীরিক দুরত্বের বালাই নেই কক্সবাজার সৈকত সহ জেলার কোথাও।
তাই এবার করোনা সংক্রমণ ঠেকাতে কোমর বেঁধে মাঠে নেমেছে কক্সবাজার জেলা প্রশাসন।
জেলা প্রশাসক মো. মামুনুর রশীদের নেতৃত্বে গত এক সপ্তাহ ধরে স্বাস্থ্যবিধি বাস্তবায়নে শহরজুড়ে ব্যাপক কর্মতৎপরতা চালাচ্ছেন ভ্রাম্যমাণ আদালত। জেলা প্রশাসনের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেটগণ ভ্রাম্যমাণ আদালতের মাধ্যমে অভিযান পরিচালনা করছেন।
অভিযানে স্বাস্থ্যবিধি মানা, মাস্ক ব্যবহারে উদ্বুদ্ধকরণ ও পরিত্যক্ত মাস্ক ফেলার ক্ষেত্রে ব্যাপক জনসচেতনতা বৃদ্ধি করা হচ্ছে। পাশাপাশি স্বাস্থ্যবিধি সম্পর্কে উদাসীনতার অভিযোগে করা হচ্ছে মামলা ও জরিমানা।
রবিবার (২১ মার্চ) দিনব্যাপী হোটেল মোটেল জোনের কলাতলী, সুগন্ধা ও লাবনী পয়েন্টে মোবাইল কোর্ট পরিচালনা করা হয়। অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট মো. আমিন আল পারভেজের নেতৃত্বে সদর সহকারী কমিশনার (ভূমি) নু—এমং মারমা মং, সহকারী কমিশনার ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট সাদিয়া সুলতানা, সৈয়দ মুরাদ ইসলাম, ইমরান জাহিদ, কাজী মাহমুদুর রহমান এবং মো. রাহাত উজ জামান মোবাইল কোর্ট পরিচালনা করেন। অভিযানে জেলা পুলিশ, ট্যুরিস্ট পুলিশ এবং ৩৯ আনসার ব্যাটালিয়নের সদস্যরা আইনী সহায়তা প্রদান করেন। জেলা শহরের বাইরে প্রতিটি উপজেলাতেও স্বাস্থ্যবিধি প্রতিপালনে উপজেলা নির্বাহী অফিসার ও সহকারী কমিশনার (ভূমি) ব্যাপকহারে সচেতনতামূলক অভিযান পরিচালনা করেছেন।

অভিযান শেষে সহকারী কমিশনার ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট সাদিয়া সুলতানা জানান, প্রতিদিন এখানে লক্ষ লক্ষ পর্যটন আসছে। পর্যটক আসায় কক্সবাজারে করোনা সংক্রমণ বৃদ্ধির আশংকা বেশি। তাই গত একসপ্তাহ ধরে স্বাস্থ্যবিধি বাস্তবায়নে শহরব্যাপী সচেতনতামূলক অভিযান চলছে। বিশেষ করে সমুদ্র সৈকত ও হোটেল মোটেল জোনে পর্যটনসহ সবাইকে সামাজিক দুরত্ব, কাপড়ের মাস্ক বিতরণ, পরিত্যাক্ত মাস্ক যত্রতত্র না ফেলতে উদ্বুদ্ধ করা হচ্ছে। সৈকতে মাস্ক ছাড়া চলাফেরা না করতে পর্যটকদের মাইকিং করে বলা হচ্ছে।

নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট সাদিয়া সুলতানা আরও জানান, অভিযানে জরিমানা করাই আমাদের মূল্য উদ্দেশ্য না। জনসচেতনতা বাড়ানোই অভিযানের আসল লক্ষ্য। স্বাস্থ্যবিধি না মানায় এ পর্যন্ত প্রায় শতাধিক মামলায় জরিমানা করা হয়েছে প্রায় ৩০ হাজার টাকা। তারমধ্যে শনিবার অভিযানে ৩৫টি মামলা বিভিন্ন ব্যক্তি—প্রতিষ্ঠানকে ১৫ হাজার ৫০ টাকা জরিমানা করা হয়। তাছাড়া রবিবার সকালে সকালে অভিযানে ২০টি মামলায় ২টি প্রতিষ্ঠান ও ১৮ জন ব্যক্তিকে ৯ হাজার ৫৫০ টাকা জরিমানা করা হয়।

অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট (এডিএম) মো. আমিন আল পারভেজ সাংবাদিকদের বলেন, দেশব্যাপী করোনা সংক্রমণের হার বৃদ্ধি পাচ্ছে। এ জন্য কক্সবাজারে বাড়তি সতর্কতা অবলম্বন করা হচ্ছে। এখানে আসা পর্যটকদের স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলার পরামর্শ দেয়া হচ্ছে। এ জন্য জেলা পুলিশ, ট্যুরিস্ট পুলিশ, স্বাস্থ্যবিভাগসহ স্বেচ্ছাসেবী সংগঠনের সদস্যদের নিয়েই কক্সবাজার জেলা প্রশাসন প্রতিদিন মাইকিং করে সকলকে মাস্ক পরিধান ও স্বাস্থ্যবিধি প্রতিপালনে উদ্বুদ্ধ করা হচ্ছে। ক্ষেত্র বিশেষে স্বাস্থ্যবিধি না মানার দায়ে বিভিন্ন প্রতিষ্ঠান এবং ব্যক্তিকে মামলা ও জরিমানা করা হচ্ছে।


আরো বিভন্ন নিউজ দেখুন