গত ২৯/১০/২০২৪ ইং তারিখে কুমিল্লা থেকে কক্সবাজারে ঘুরতে আসেন হাসান মাহমুদ (১৮) ও তার বন্ধুরা। ঘুরতে এসে তারা ওই দিন বিকালে একটি অটো রিজার্ভ করে যান ইনানী। ইনানীর বীচে নামার সময় হাসান মাহমুদ তার ব্যাগটি ভাড়া করা অটোতে রেখে যান। তারা বীচে সময় কাটিয়ে ফিরে এসে দেখেন তাদের রিজার্ভ করা ভাড়া অটো সেখানে নেই। ফোন দিলেও অটো ড্রাইভার রিসিভ করে না। তখন হাসান মাহমুদ ও তার বন্ধুরা সাহায্যর জন্য দারস্থ হন ইনানী বীচে দায়িত্বরত ট্যুরিস্ট পুলিশ সদস্যদের নিকট।
ট্যুরিস্ট পুলিশ সদস্যরা তৎক্ষণাৎ পর্যটক হাসান মাহমুদের অভিযোগ গ্রহণ করে উক্ত অটো ড্রাইভারের সন্ধানে কাজ করা শুরু করেন।
প্রযুক্তিগত উৎকর্ষতার সহায়তায় অটো ড্রাইভারের সাথে দুই দিনের মধ্যে তার বাসায় যোগাযোগ করতে সমর্থ হন এসআই সামাদ। পরবর্তীতে সেই অটো ড্রাইভার ব্যাগসহ সকল মালামাল নিয়ে হাজির হন ইনানী বিচে ট্যুরিস্ট পুলিশের অফিসে। তখন ট্যুরিস্ট পুলিশের এসআই সামাদ যোগাযোগ করে ব্যাগ নিয়ে যেতে বলেন ব্যাগের মালিক হাসান মাহমুদকে। হাসান মাহমুদ তখন কুমিল্লা চলে যাওয়ায় আবার ব্যাগ নিতে আসা তার জন্য কষ্টকর হবে বিধায় তার মনোনীত ও পরিচিত বীচ কর্মী বিল্লালের নিকট অদ্য ৩১/১০/২০২৪ তারিখে মালামাল হস্তান্তর করেন এসআই সামাদ। ব্যাগ পেয়ে হাসান মাহমুদ অত্যন্ত খুশি ও আনন্দিত হন। তিনি ট্যুরিস্ট পুলিশ কক্সবাজারের প্রতি অত্যন্ত কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন।
এ সংক্রান্তে কক্সবাজার রিজিয়নের ট্যুরিস্ট পুলিশের মিডিয়া মুখপাত্র সিনিয়র সহকারী পুলিশ সুপার আবুল কালাম জানান যে, ট্যুরিস্ট পুলিশ হিসেবে আমরা হাসান মাহমুদের মালামাল উদ্ধার করে ফেরত দিতে পেরে আমরাও অত্যন্ত আনন্দিত। পর্যটকরা ভ্রমণে এসে যাতে আনন্দ উপভোগ করে চলে যেতে পারেন সেলক্ষ্যে ট্যুরিস্ট পুলিশ কক্সবাজার রাত-দিন পরিশ্রম করে। প্রত্যেক পর্যটকের নিরাপত্তা নিশ্চিত করাই আমাদের লক্ষ্য