ফরিদুল মোস্তফা খান:
ঐতিহাসিক ৭ই মার্চ উপলক্ষে আয়োজিত ও বাংলাদেশ এলডিসি থেকে উন্নয়নশীল দেশে উত্তরণে জাতিসংঘের চূড়ান্ত সুপারিশ প্রাপ্তিতে বর্ণাঢ্য আয়োজনে আনন্দ উদযাপন করেছে র্যাব-১৫।
রবিবার (০৭ মার্চ) বিকালে র্যাব-১৫ কার্যালয়ে অনুষ্ঠিত অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন র্যাব-১৫ এর সিইও উইং কমান্ডার আজিম আহমেদ।
অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখেন জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি এড. ফরিদুল ইসলাম চৌধুরী, সাধারণ সম্পাদক পৌর মেয়র মুজিবুর রহমান, তথ্য মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত স্থায়ী কমিটির সদস্য আলহাজ্ব সাইমুম সরওয়ার কমল এমপি, আশেক উল্লাহ রফিক এমপি, কক্সবাজার উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের চেয়ারম্যান লে. কর্নেল (অব.) ফোরকান আহমদ।
অনুষ্ঠানে বক্তারা বলেন, বঙ্গবন্ধুর ৭ মার্চের ভাষণ পৃথিবীর কালজয়ী ভাষণগুলোর অন্যতম। পরাধীনতার শৃঙ্খল ভেঙে মুক্তিকামী জনগণকে যুদ্ধে ঝাঁপিয়ে পড়তে সেই ভাষণ ছিল এক মহামন্ত্র। একটি ভাষণ কীভাবে গোটা জাতিকে জাগিয়ে তোলে, স্বাধীনতার জন্য মুক্তিযুদ্ধে ঝাঁপিয়ে পড়তে উৎসাহিত করে বঙ্গবন্ধুর ৭ মার্চের ভাষণ তার অনন্য উদাহরণ।
বক্তারা বলেন, স্বাধীন-সার্বভৌম বাংলাদেশকে একটি সুখী-সমৃদ্ধ সোনার বাংলায় পরিণত করাই ছিল বঙ্গবন্ধুর আজীবনের লালিত স্বপ্ন। মহান এ নেতার সে স্বপ্ন পূরণে আমাদের অব্যাহত প্রচেষ্টা চালিয়ে যেতে হবে।
বাংলাদেশকে ২০৪১ সালে উন্নত-সমৃদ্ধ দেশে পরিণত করতে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ‘রূপকল্প-২০২১’ ও ‘রূপকল্প-২০৪১’ ঘোষণা করেছেন। বঙ্গবন্ধুর জন্মশতবার্ষিকী ও স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তীর সন্ধিক্ষণে এসব কর্মসূচি বাস্তবায়নে দলমত-নির্বিশেষে সকলকে নিজ-নিজ অবস্থান থেকে অবদান রাখতে হবে।
এসময় উপস্থিত ছিলেন
সামরিক গোয়েন্দা সংস্থা ডিজিএফআইয়ের অধিনায়ক কর্নেল হাসনাত আহমেদ, পিএসসি,
বাংলাদেশ বেতারের আন্সলিক পরিচালক
মোঃ আমানুর রহমান,
র্যাব-১৫ এর উপ-অধিনায়ক মেহেদী হাসান, কক্সবাজার মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তরের সহকারী পরিচালক সোমেন মন্ডল, দৈনিক জনতারবানী ও কক্সবাজারবানী সম্পাদক ও প্রকাশক ফরিদুল মোস্তফা খান, জেলা আওয়ামী লীগের উপ-প্রচার সম্পাদক এম.এ মনজুর, সদস্য মিজানুর রহমান। অনুষ্ঠান সঞ্চালনা করেন কর্পোরাল মো. কাইয়ুম। এর আগে উন্নয়নের অগ্রযাত্রায় বাংলাদেশ, বঙ্গবন্ধুর ৭ই মার্চের ভাষণ ও ইউনেস্কো কর্তৃক স্বীকৃতির ভিডিও দেখানো হয়।
এছাড়া ৭ই মার্চ উপলক্ষে গণভবনে সংস্কৃতি বিষয়ক মন্ত্রণালয় আয়োজিত প্রধানমন্ত্রীর অনুষ্ঠান প্রচারিত হয়। পরে কেক কেটে আনন্দ উদযাপনের আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন করেন অতিথিরা। এরপর পরিবেশিত হয় মনোজ্ঞ সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান।