প্রধান বিচারপতি হিসেবে শপথ নিয়েছেন সৈয়দ রেফাত আহমেদ। ছাত্র আন্দোলনের পরিপ্রেক্ষিতে সরকার প্রধান পদত্যাগের পর ২৪তম প্রধান বিচারপতি ওবায়দুল হাসানও পদত্যাগ করেন। তারই স্থলাভিষিক্ত হলেন সৈয়দ রেফাত আহমেদ।
বঙ্গভবনে প্রধান বিচারপতি সৈয়দ রেফাত আহমেদকে শপথবাক্য পাঠ করান রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিন।
রোববার (১১ আগস্ট) দুপুরে বঙ্গভবনে ২৫তম প্রধান বিচারপতি হিসেবে শপথ নেন তিনি।
এর আগে শনিবার সৈয়দ রেফাত আহমেদকে দেশের ২৫তম প্রধান বিচারপতি হিসেবে নিয়োগ দেন রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিন। আইন ও বিচার শাখার উপসচিব মো. গোলাম সারওয়ার স্বাক্ষরিত প্রজ্ঞাপনে বিষয়টি জানানো হয়।
প্রজ্ঞাপনে বলা হয়, মহামান্য রাষ্ট্রপতি গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশের ৯৫(১) অনুচ্ছেদে প্রদত্ত ক্ষমতাবলে বাংলাদেশ সুপ্রিম কোর্টের হাইকোর্ট বিভাগের বিচারক বিচারপতি সৈয়দ রেফাত আহমেদকে প্রধান বিচারপতি হিসেবে নিয়োগ দিয়েছেন। এই নিয়োগ শপথ গ্রহণের তারিখ থেকে কার্যকর হবে।
সৈয়দ রেফাত আহমেদের জন্ম ১৯৫৮ সালের ২৮ ডিসেম্বর। দেশের ২৫তম এই প্রধান বিচারপতির বাবা সাবেক অ্যাটর্নি জেনারেলের ব্যারিস্টার ইশতিয়াক আহমেদ। তিনি দুই টার্মে সাবেক তত্ত্বাবধায়ক সরকারের উপদেষ্টা হিসেবে দায়িত্ব পালন করেছেন।
প্রধান বিচারপতির মায়ের নাম ড. সুফিয়া আহমেদ। ভাষা সৈনিক ও একুশে পদকপ্রাপ্ত ড. সুফিয়া আহমেদ বাংলাদেশের প্রথম নারী জাতীয় অধ্যাপক ছিলেন। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ইসলামের ইতিহাস ও সংস্কৃতি বিভাগের চেয়ারম্যানেরও দায়িত্ব পালন করেছেন তিনি।
সৈয়দ রেফাত আহমেদের একজন বোন আছেন। তিনি ডাক্তার রায়না আহমেদ। বর্তমানে ইংল্যান্ডে বসবাস করেন।
আর প্রধান বিচারপতির মেয়ে রোশনাক আহমেদ যুক্তরাষ্ট্রের একটি বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়াশোনা করছেন।
প্রধান বিচারপতি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের আইন বিভাগ থেকে প্রথম শ্রেণিতে প্রথম হয়ে এএলবি (অনার্স) উত্তীর্ণ হন। যুক্তরাজ্যের অক্সফোর্ড ইউনিভার্সিটি থেকে এমএ পাস করার পর যুক্তরাষ্ট্রের টাফট ইউনিভার্সিটির ফ্লেচার স্কুল অব ল অ্যান্ড ডিপ্লোমেসি থেকে ডক্টরেট ডিগ্রি লাভ করেন। পরে ২০০৩ সালের ২৭ এপ্রিল হাইকোর্ট বিভাগের অতিরিক্ত বিচারপতি হিসেবে নিয়োগ পেয়ে ২০০৫ সালে স্থায়ী হন সৈয়দ রেফাত আহমেদ। এর আগে ১৯৮৪ সালে জেলা জজ আদালত, ১৯৮৬ সালে সুপ্রিম কোর্টের হাইকোর্ট বিভাগ এবং ২০০২ সালে সুপ্রিম কোর্টের সিনিয়র আইনজীবী ছিলেন।