• শনিবার, ১৪ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ০৪:২০ অপরাহ্ন
সর্বশেষ খবর
কক্সবাজারে পাহাড় ধস : পৃথক ঘটনায় মা-শিশুসহ ৬ জনের মৃত্যু বৃষ্টি বিপর্যস্ত কক্সবাজার,হোটেল কক্ষে বন্দি পর্যটকরা; পাহাড় ধসে দুই পরিবারের ছয়জনের মৃত্যু এখন থেকে কক্সবাজারে কোনো পুলিশকে ঘুষ দিতে হবে না: নবনিযুক্ত এসপি কুতুবদিয়ার শীর্ষ ডাকাত শাহরিয়া অস্ত্র সহ আটক ১০ম গ্রেডে বেতনের দাবীতে কক্সবাজার সার্ভে ডিপ্লোমা ইঞ্জিনিয়ারদের স্মারকলিপি প্রদান হুইপ কমলের বিরুদ্ধে মিথ্যা তথ্য প্রচার না করার দাবী অনুসন্ধানী সাংবাদিকতায় স্বর্ণপদকসহ চার সাংবাদিককে সম্মাননা দিবে বনেক ত্রিশালে অন্তঃসত্ত্বা নারীর ওপর হামলা কক্সবাজারের নতুন ডিসি সালাউদ্দিন আহমেদ বন্যার্তদের সেবায় নিঃস্বার্থ পেশাগত দায়িত্ব ও মানবিকতার দৃষ্টান্ত স্থাপনকারী দুই সেনা  সদস্যের সাথে সাক্ষাৎ করলেন সেনাবাহিনী প্রধান

চাকরিতে পুনর্বহালের আবেদন আলোচিত দুদক কর্মকর্তা শরীফের

নিজস্ব প্রতিবেদকঃ
আপডেট : বুধবার, ৭ আগস্ট, ২০২৪
Oplus_131072

নিজস্ব প্রতিবেদক :


দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) আলোচিত চাকরিচ্যুত উপসহকারী পরিচালক শরীফ উদ্দিন চাকরি ফেরত চেয়ে আবেদন করেছেন। বুধবার দুদক চেয়ারম্যান বরাবর তিনি এ আবেদন করেন।

শরীফ উদ্দিন দীর্ঘ সময় দুদকের সমন্বিত জেলা কার্যালয় চট্টগ্রাম-২ এ কর্মরত ছিলেন। তিনি কক্সবাজারে ৭২টি প্রকল্পে সাড়ে ৩ লাখ কোটি টাকার ভূমি অধিগ্রহণে দুর্নীতি, রোহিঙ্গাদের এনআইডি ও পাসপোর্ট জালিয়াতি, চট্টগ্রাম কর্ণফুলী গ্যাসক্ষেত্রে অনিয়মসহ বেশ কিছু দুর্নীতিবিরোধী অভিযান পরিচালনার পাশাপাশি মামলা করেন। এতে তিনি অনেকের চক্ষুশূল হয়ে উঠেছিলেন। তাঁকে ২০২১ সালে পটুয়াখালীতে বদলি এবং পরের বছর ১৬ ফেব্রুয়ারি চাকরিচ্যুত করা হয়।

জানা যায়, কক্সবাজারে সাড়ে তিন লাখ কোটি টাকার ৭২টি মেগা প্রকল্পের কাজ চলছে। এর মধ্যে তিনটি প্রকল্পের শুরুতেই ভূমি অধিগ্রহণে বড় দুর্নীতির অভিযোগ আছে। জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক মুজিবুর রহমান এবং দলটির স্থানীয় কয়েকজন নেতা এ দুর্নীতির সঙ্গে যুক্ত বলে তথ্য পাওয়া যায়। সাবেক জেলা প্রশাসকসহ স্থানীয় প্রশাসনের শীর্ষস্থানীয় কিছু কর্মকর্তার নামও এ চক্রে আছে। উপসহকারী পরিচালক শরীফ উদ্দিনের নেতৃত্বে তিনটি প্রকল্পে দুর্নীতির প্রতিবেদন ২০২১ সালের ৩০ জুন দুদকের চট্টগ্রাম জেলা কার্যালয়ে জমা দেওয়া হয়। দুদক থেকে ওই তদন্তের পর অভিযুক্ত ব্যক্তিদের বিরুদ্ধে কোনো ব্যবস্থা নেওয়া হয়নি। উল্টো তিনটি তদন্ত বাতিল করে পুনর্তদন্তের নির্দেশ দেওয়া হয়।

দুদকের প্রতিবেদনে, ভূমি অধিগ্রহণে দুর্নীতির সঙ্গে ১৫৫ জনের সম্পৃক্ততার তথ্য উল্লেখ করা হয়েছে। সাবেক জেলা প্রশাসক কামাল হোসেনও ওই দুর্নীতির সঙ্গে সরাসরি যুক্ত ছিলেন বলে প্রতিবেদনে জানানো হয়েছিল।

চাকরিতে পুনর্বহালের আবেদনের বিষয়টি নিশ্চিত করে শরীফ উদ্দিন বলেন, ‘কক্সবাজারের কয়েকটি মেগা প্রকল্পের দুর্নীতি অনুসন্ধানে আমি সরকারি কর্মকর্তা, প্রভাবশালী রাজনৈতিক দলের নেতা ও একটি দালাল চক্রের রোষানলে পড়ি। তারা আমাকে তাদের নাম তদন্তে না দিতে চাপ দেয়। কিন্তু দুর্নীতির প্রমাণ থাকায় আমি তাতে সম্মত হইনি। তাদের হত্যার হুমকিতে আমি জীবনের নিরাপত্তা নিয়ে শঙ্কিত ছিলাম এতদিন।


আরো বিভন্ন নিউজ দেখুন

ই-পেপার