নিজস্ব প্রতিবেদক :
কক্সবাজারবাণী সহকারী সম্পাদক মোহাম্মদ ফয়সাল কে অপহরণ করে গহীন অরণ্যে নিয়ে গিয়ে মুক্তিপণ দাবি ও অস্ত্রের মূখে জিম্মি করে শারীরিক মানসিক নির্যাতনের ঘটনায় কক্সবাজার সদর মডেল থানা পুলিশ ১০ চিহ্নিত অপহরণ কারীর বিরুদ্ধে মামলা রেকর্ড করেছেন।
পহেলা জুলাই কক্সবাজার সদর মডেল থানার অপরাধ নিয়ন্ত্রণে আপোষহীন ওসি মো: রকিবুজ্জামান উক্ত মামলাটি রেকর্ড করেন।
এতে অজ্ঞাতনামা আসামি রয়েছে আরো ৫/৬ জন।
এর আগে গত শুক্রোবার কক্সবাজারবাণী সহকারী সম্পাদক মো:ফয়সাল নিজ ব্যবহৃত মোটর সাইকেল যোগে রামু যাওয়ার পথে দুপুর ১ টার দিকে কক্সবাজার সদর উপজেলা বাজারে পুর্ব থেকে উৎপেতে থাকা অপহরণকারী চক্র প্রকাশ্যে তাকে অস্ত্রের মূখে জিম্মি করে নিকটস্থ দক্ষিণ ডিক কুল গহীন অরণ্যে নিয়ে যায়।
এরপর তারা ফয়সাল কে ব্যাপক শারীরিক নির্যাতন চালিয়ে ক্ষান্ত হননি, তার সম্পাদক নির্যাতিত সাংবাদিক ফরিদুল মোস্তফা খান কে সহ প্রানে মেরে ফেলার হুমকি দিয়ে বিকেল সাড়ে চারটার দিকে ০১৮৭৪৭০৬৬৩৫ নাম্বার থেকে ফয়সালের পরিবারকে ফোন করে ৩ লক্ষ টাকা মুক্তিপণ দাবির পাশাপাশি বিষয়টি র্যাব বা অন্য কোন আইনশৃঙ্খলা বাহিনীকে জানালে ফয়সালের লাশ ও ফেরত দিবে না মর্মে হুশিয়ারী দেয়।
বিষয়টি তাৎক্ষণিকভাবে কক্সবাজারবাণী সম্পাদক ও প্রকাশক ফরিদুল মোস্তফা খান কক্সবাজার মডেল থানা পুলিশের ওসি রকিবুজ্জামান এবং সরকারের দায়িত্বশীল বিভিন্ন মহলকে অবহিত করলে চট্টগ্রাম রেঞ্জ পুলিশের ডিআইজি নুরে আলম মিনা, জেলা পুলিশ সুপার, মো:মাহফুজুল ইসলাম,অতিরিক্ত পুলিশ সুপার প্রশাসন মো:রফিক (পুলিশ সুপার পদে পদোন্নতি প্রাপ্ত)ও সদর মডেল থানা ওসি রকিবুজ্জামান সহ আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর দায়িত্বশীল কর্মকর্তাদের নির্দেশে ওসি অপারেশন মোহাম্মদ শাকিলের নেতৃত্বে একদল পুলিশ তাৎক্ষনিক দক্ষিণ ডিক কুলের গহীন অরণ্যে সাঁড়াশী অভিযান শুরু করে।
শুক্রোবার সেই ২ টা থেকে সন্ধা ৭ টা পর্যন্ত টানা ৭ ঘন্টা শ্বাসরুদ্ধকর পুলিশি অভিযানের মুখে অপহরণকারীরা দুর্বল হয়ে পড়ে।
একপর্যায়ে তারা মুক্তিপণ ছাড়া অপহ্নত কক্সবাজারবাণী সহকারী সম্পাদক ফয়সালকে জীবন্ত ফেরত দিতে বাধ্য হয়।
সদর মডেল থানা ওসির এই সফল অভিযানে প্রানে বেঁচে যাওয়া মোহাম্মদ ফয়সাল উদ্ধারের পর জেলা সদর হাসপাতালে জরুরি চিকিৎসা করে থানায় এজাহার জমা দিলে স্থানীয় একটি প্রভাবশালী দালাল চক্র বিষয়টি ধামাচাপা দিতে ব্যাপক তদবির করলেও নির্লোভ ওসি রকিবুজ্জামান তা নিয়মিত মামলা হিসেবে রুজু করেন।
অপহরণকারীদের কবল থেকে নিজের পত্রিকার সংবাদকর্মী উদ্ধারের খবরে মহান আল্লাহর কাছে শুকরিয়া আদায় করে কক্সবাজারবাণী সম্পাদক ও প্রকাশক ফরিদুল শুক্রোবার নিজ ব্যবহৃত ফেসবুক স্ট্যাটাসে বলেন, কক্সবাজারবাণী সহকারী সম্পাদক অপহরণ থেকে উদ্ধার পর্যন্ত সময়ে যারা আমাদেরকে বিভিন্ন ভাবে সহযোগিতা করেছেন, মাননীয় প্রধানমন্ত্রী কার্যালয়, সম্মানিত হুইপ কমল ভাই, মান্যবর জেলা প্রশাসক মহোদয়, দেশী-বিদেশী সহকর্মী সম্পাদক, সাংবাদিক নেতাদের প্রতি আন্তরিক কৃতজ্ঞতা।
কৃতজ্ঞতা ঢাকার সাংবাদিক সহকর্মী অগ্রজপ্রতিম জনাব সাঈদুর রহমান রিমন ভাই, আহমেদ আবু জাফর ভাই, নাসিম আনোয়ার,নাগরিক সাংবাদিক খাইরুল আলম রফিক, সহকর্মী মিতু সহ সকল বন্ধুবান্ধব আত্মীয় স্বজন আইনজীবী বন্ধুদের প্রতি।
বিশেষ করে বিদশী সাংবাদিক বন্ধুদের প্রতি অনেক অনেক দোয়া ও শুভকামনা।
কৃতজ্ঞতা সকল গোয়েন্দা সংস্থা, অধিনায়ক র্যাব-১৫ মহোদয় সহ আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সকলের প্রতি।
মহান আল্লাহ সহায় হোক।
জগতের সকল প্রাণী সুখী হোক।