কক্সবাজারের সাবেক জেলা প্রশাসক,বর্তমানে স্থানীয় সরকার মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব কামাল হোসেন ও সদর রামু ঈদগাঁও আসনের এমপি সাইমুম সরওয়ার কমল এমপি (বর্তমান হুইপের) সুপারিশও পাত্তা দেন নি কক্সবাজার আঞ্চলিক পাসপোর্ট অফিস।
পেশাগত কারণে পুলিশের সাথে পূর্ব শত্রুতার একটি সাজানো টেকনাফ থানা পুলিশের একটি প্রতিবেদনের অজুহাতে দীর্ঘ ৪ বছর ধরে আটকে রয়েছে ওসি প্রদীপের হাতে নির্যাতিত সাংবাদিক ফরিদুল মোস্তফার নবায়নের আবেদনকৃত ডিজিটাল পাসপোর্ট।
যাহার নং-BA0727989
ফরিদুল মোস্তফা খান অভিযোগ করেন,নিয়ম অনুযায়ী ডিজিটাল পাসপোর্ট নবায়নের জন্য নতুন করে পুলিশ প্রতিবেদনের প্রয়োজন পড়ে না।
কিন্তুু দুর্ভাগ্য কক্সবাজার পাসপোর্ট এন্ড ইমিগ্রেশনের সাবেক উপ-পরিচালক বাকী বিল্লাহ রহস্য জনক কারণে আমি যেন পাসপোর্ট না পায়,সে জন্য হয়রানির নিমিত্তে আমার পাসপোর্ট আবেদনটি তদন্তের জন্য টেকনাফ থানা পুলিশের কাছে পাঠাই।
টেকনাফ থানা পুলিশ,নির্যাতিত সাংবাদিক ফরিদুল মোস্তফার বিরুদ্ধে একগাদা অভিযোগ দিয়ে প্রতিবেদন দাখিল করিলে আইনের গ্যাড়াকলে আটকে যায় ডিজিটাল পাসপোর্ট টি।
এই অবস্থায় ফরিদুল মোস্তফা খান ওসি প্রদীপের সাথে তার পেশাগত দন্ড,সাজানো মামলা,এবং এই সংক্রান্ত ব্যাপারে মহামান্য হাইকোর্টের রিট পিটিশন এবং মামলার বৈধতা চ্যালেঞ্জ করে,করা আবেদন এবং আদালতের নির্দেশনা দাখিল করে গত ৫ জানুয়ারি ২০২১ ইংরেজি তারিখ মানবিক বিবেচনায় পাসপোর্ট টি ফিরে পেতে উপ-পরিচালক আঞ্চলিক পাসপোর্ট অফিস কক্সবাজারকে একটি লিখিত আবেদন করেন।
যা ওই দিনই কক্সবাজার পাসপোর্ট অফিসের সুপারিন্ট্যান্ট মো: আজিজুর রহমান বিকাল ৫:২৮ মিনিটে দাপ্তরিক সিল এবং সাক্ষর দিয়ে গ্রহণ করেন। অবিশ্বাস্য হলেও সত্য সেই ৫ জানুয়ারি ২০২১ থেকে এই পর্যন্ত প্রায় ৪ বছরেও নির্যাতিত সাংবাদিক ফরিদুল মোস্তফার পাসপোর্ট টি নবায়ন করে দেওয়া হয়নি। অভিযোগ উঠেছে, উক্ত পাসপোর্ট কর্মকর্তা ফরিদুল মোস্তফার পাসপোর্ট নবায়নের আবেদনটি হাতে পেয়ে প্রথমে এসবি/ডিএসবি ভেরিফাই প্রয়োজন নাই মর্মে (not required) স্লিপ প্রধান করেন।
যাহার নং-৩০৬৪৮৯/৩৮৪,তারিখ -০৯-১১-২০২০।
ফরিদুল মোস্তফা খান আরো অভিযোগ করেন,কক্সবাজার আঞ্চলিক পাসপোর্ট অফিসের সাবেক উপ-পরিচালক বাকী বিল্লাহকে বহু অনুনয় বিনয় এবং কক্সবাজারের সাবেক ডিসি কামাল হোসেন, বর্তমান হুইপ ও বিভিন্ন সহকর্মীর মাধ্যমে নিজের পাসপোর্টের জন্য অনুরোধ করা হলে তিনি ঢাকা অফিসের অজুহাতে কিছু উৎকোচ দাবী করে বসেন।
আত্মসম্মানের কথা বিবেচনা করে বিষয়টি তিনি এতদিন না জানালেও সম্প্রতি এই প্রতিবেদককে বলেন,এই পাসপোর্ট অফিসে দালালের মাধ্যমে হাজার হাজার রোহিঙ্গা বাংলাদেশি পাসপোর্ট নিয়ে পৃথিবীর আনাচে কানাচে ছড়িয়ে পড়লেও একজন সুপ্রতিষ্টিত দৈনিক পত্রিকার সম্পাদক ও প্রকাশক এবং নির্যাতিত সাংবাদিক হওয়ার সত্বেও আমার পাসপোর্টি না পাওয়ার বিষয়টি খুবই দুঃখজনক।
তাছাড়া সরকারের পক্ষ থেকে আমার দেশ ত্যাগে কোন নিষেধাজ্ঞাও নেই। নির্যাতিত সাংবাদিক ফরিদুল মোস্তফার পাসপোর্ট না পাওয়ার বিষয়ে একাধিক আইনজীবীর সাথে আলাপে জানা গেছে যে, তার মত একজন সৎ এবং নির্যাতিত সাংবাদিককে পাসপোর্ট নবায়ন করে না দেওয়ার বিষয়টি সম্পূর্ণ বে-আইনি।
তাছাড়া পুলিশের মামলা থাকলে যে একজন নাগরিক তার পাসপোর্ট পাবে না এমন কোন বিধান আইনে নেই।রাষ্ট্র ইচ্ছে করলে বা সন্দেহ হলে পাসপোর্টধারী কোন নাগরিককে দেশ ত্যাগে নিষেধাজ্ঞা অথবা ইমিগ্রেশনে আটকাতে পারবে।
ফরিদুল মোস্তফার বিরুদ্ধে যেহেতু দেশত্যাগের নিষেধাজ্ঞা নেই।
তিনি দাগী কোন অপরাধী ও নই।তাই তাকে পাসপোর্ট ফিরিয়ে দেওয়া উচিৎ।
অন্যথায়, এই ব্যাপারে ফরিদুল মোস্তফা খান উচ্চ আদালতে আশ্রয় নিলে পাসপোর্ট তো ফিরে পাবেন পাবেন,জড়িত দুর্নিতিবাজ পুলিশ সদস্য এবং পাসপোর্ট অফিসের দায়িত্বশীলদের বিরুদ্ধে কঠোর সিদ্ধান্ত আসতে পারে।
উল্লেখ্য নির্যাতিত সাংবাদিক ফরিদুল মোস্তফা খান কক্সবাজার থেকে প্রকাশিত দৈনিক কক্সবাজারবানী মিডিয়া গ্রুপ এবং বানী ভিশনের সম্পাদক ও প্রকাশক সত্বাধিকারী ও মুদ্রাকর।
তিনি স্বাধীনতা স্বপক্ষীয় জাতীয় সাংবাদিক সংস্থার কেন্দ্রীয় কমিটির ভাইস চেয়ারম্যান এবং বাংলাদেশ মফস্বল সাংবাদিক ফোরাম (বিএমএসএফ) এর কেন্দ্রীয় কমিটির সহ-সাংগঠনিক সম্পাদক ছাড়া ও, সাংবাদিক নির্যাতন প্রতিরোধ কমিটি কক্সবাজার জেলা শাখার সভাপতি হন। এছাড়া তিনি কক্সবাজার রেডক্রিসেন্টে সোসাইটির আজীবন সদস্য সহ দেশের বিভিন্ন সামাজিক সাংস্কৃতিক এবং স্বাধীনতা স্বপক্ষীয় রাজনৈতিক সংগঠনের সাথে সম্পৃক্ত।
এদিকে এই ব্যাপারে বক্তব্য নিতে উক্ত দুর্নিতিবাজ সাবেক পাসপোর্ট উপ-পরিচালক বাকী বিল্লার মুঠোফোন নাং-০১৭৩৩৩৯৩৩৫৪ এ যোগাযোগ করলে তিনি ফোন রিসিভ করেন নি।
ফরিদুল মোস্তফা খানের আইনজীবীরা জানিয়েছেন দায়িত্বশীলরা সম্মানের সাথে বিনা ঘুষে পাসপোর্টি নবায়ন করে না দেওয়ার বিষয় টি দুঃখ জনক।
ফরিদুল মোস্তফা খান পাসপোর্ট ফিরে পেতে মাননীয় প্রধানমন্ত্রী জননেত্রী শেখ হাসিনা, স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় ও মহাপরিচালক পাসপোর্ট এন্ড ইমিগ্রেশনের আন্তরিক সহায়তা কামনা করেেছেন।