• বৃহস্পতিবার, ০২ মে ২০২৪, ০৮:৫৭ অপরাহ্ন
সর্বশেষ খবর
প্রচন্ড খড়তাপে পুড়ছে প্রাণী,মরছে মানুষ,*ছড়িয়ে পড়ছে রোগব্যাধী *বিশুদ্ধ পানির সংকট জেলে সেজে সাড়ে ১২ লাখ  ইয়াবার চালান জব্দ করল চকরিয়া থানার পুলিশ আলহাজ্ব আমির হোসেন কোম্পানি বিনাপ্রতিদ্বন্দ্বিতায় মাদ্রাসা কমিটির সভাপতি নির্বাচিত টেকনাফের আলোচিত ভূট্টো হত্যা মামলার পলাতক আসামীরা মহড়া দিচ্ছে এলাকায়, মামলা তুলে নিতে হুমকি ঈদগাঁও উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে ৩টি পদে মোট ১৭জনের মনোনয়নপত্র দাখিল লাঞ্ছিত জীবনগাঁথা ঈদগাঁওতে ডিসি ও এস পি, নির্বাচন সুষ্ঠু ও নির্বিঘ্ন করতে প্রশাসন বদ্ধপরিকর উপজেলা নির্বাচনকে ঘিরে ঈদগাঁওতে নতুন পুরাতন প্রার্থীদের দৌঁড় ঝাঁপ ইয়াবা ও দালালীর জাদুতে আলাদীনের চেরাগপ্রাপ্ত কথিত সাংবাদিক নেতা কেতারা কি আইনের উর্ধ্বে? জাতীয় শুদ্ধাচার পুরস্কার পেলেন পুলিশ পরিদর্শক মোঃ আব্দুল হাই

পেটে ভাত নেই,”গরিবের আবার কিসের ঈদ” কক্সবাজারে মাদক পতিতার মজুদ,আনন্দ বাড়াতে উড়াল দিচ্ছে ধনীরা

ফরিদুল মোস্তফা খান:
আপডেট : রবিবার, ৭ এপ্রিল, ২০২৪

ফরিদুল মোস্তফা খান :


যেখানে বেশির ভাগ মানুষই ঈদের সব কেনাকাটা শেষ করে এখন ব্যস্ত শেষ সময়ের মুদি বাজার করতে। সেখানে পর্যটন রাজধানী কক্সবাজারের আনাছে কানাছে এখনও হাজার হাজার মানুষ রয়েছেন যারা কেনাকাটা দূরে থাক, ঈদের দিন ভালো কিছু খেতে পারবেন কি না, সেটাও জানেন না।
একে একে রমজানের প্রায় সবকটি রোজা শেষ হয়ে গেছে।
তাদের অনেকেই একবেলা ভাল খাবার খেতে পেরেছেন কিনা সন্দেহ রয়েছে।
কারাগার, হাসপাতাল,ক্লিনিক,বস্তি, পাহাড়ের টিলা, জেলে পল্লী, শুটকি পল্লী,রোহিঙ্গা ক্যাম্প সহ জেলার দরিদ্র এলাকার অগনিত গরিব এতিম অসহায় অনাহারী, বুভুক্ষু নারী পুরুষ শিশু বিধবা,বয়স্ক এবং পথশিশু রয়েছেন, যাদের জন্মটাই শুধু দুঃখ কষ্ট আর যন্ত্রণার।
সুখ কি জিনিষ আশেপাশের দাম্ভিক অহংকারী বড়লোকের কাছ থেকে নিজ চোখে দেখে বড় বড় নিশ্বাসে কাটছে তাদের কষ্টের জীবন।
ককসবাজারের বেশিরভাগ ধনির দুলাল,দুলালী, আমলা কামলা,এবং জনপ্রতিনিধিরা তাদের দুঃখ উপলব্ধি তো দুরের কথা মানুষ হিসেবেও গণ্য করেন না।
উখিয়া টেকনাফের গরিবদের ভাংতি টাকা ধরিয়ে দিয়ে সেখানকার মানবতার ফেরিওয়ালা দাবিদার সাবেক এমপি বদিরা বছরের পর বছর গোপনে চাঁদাবাজি প্রকাশ্যে দান খয়রাতের অভিনয় করে
অর্থাৎ গরিবের রক্ত চুষে জেলার ধনীরা আরও ধনী হয়ে যাচ্ছে কক্সবাজারে।
নেতার তকমা লাগিয়ে অনেকেই মাদকের যাদুতে বিত্তহীন থেকে কোটিপতি ভিআইপি সিআইপি হয়ে পর্যটন শহর কক্সবাজার ছাড়িয়ে বন্দর নগরী চট্টগ্রাম, রাজধানী ঢাকা,গাজীপুর, নারায়ণগঞ্জ, নরসিংদী, গুলশান,বনানী,উত্তরা,মিরপুর, সৌদিআরব,দুবাই সহ মধ্যপ্রাচ্যের বিভিন্ন দেশে স্থায়ী বসতি গড়ে তুলছেন।
ফলে টেকনাফ কক্সবাজারের অনেকেই এখন বাপ দাদার গ্রামের বাড়িতে ঈদ না করে ঈদের জন্য ছুটছেন দেশ বিদেশের ভিভিআইপি এলাকা গুলোতে।
কেউ কেউ বাক্স পুটলা গুছিয়ে সখের নারী নিয়ে নানান বেশে ঈদের আনন্দ উপভোগ করতে ইতোমধ্যে পৃথিবীর বিভিন্ন দেশে উড়াল দিচ্ছে।
যা আন্তর্জাতিক বিমান বন্দর গুলোর ইমিগ্রেশন সরজমিন পরিদর্শন করলে সত্যতা মিলবে।
অবিশ্বাস্য হলেও সত্য দেশ ছেড়ে বিদেশে ঈদের জন্য উড়াল দেওয়াদের অনেকেই সাথে নিয়ে যান নর্তকি।
ধনীদের ঈদের আনন্দের মাত্রা বাড়িয়ে দিতে কক্সবাজার শহরের হোটেল মোটেল গেস্ট হাউজ রেস্ট হাউজ গুলো ইতোমধ্যে নববধুর সাজে সজ্জিত হয়েছে।
কেউ কেউ বড় বড় প্লাট বাড়ি এবং হোটেল মোটেল গেস্ট হাউজ রেস্ট হাউজ গুলোর ইনহাউজ বিনোদনের জন্য মাদক আর পতিতার মজুদ করে রেখেছেন।
কক্সবাজার শহরের হোটেল মোটেল থেকে শুরু করে সাংস্কৃতিক কেন্দ্র সন্নিকট কটেজ, কলাতলী গোলচত্তর এবং অনেক হোটেল মোটেল অভ্যন্তরে রাত দিন ২৪ ঘন্টা চলে অসামাজিক কর্মকান্ড।
টুরিস্ট পুলিশের কিছু দুর্নীতিবাজরা তুলেন মাসোহারা।
সেখান থেকে ভাগ পান স্থানীয় টাউট বাটপার দালাল চাটুকার নেতা কেতা আমলা কামলা ও গোয়েন্দা তালিকাভূক্ত অপরাধী সাংবাদিক পরিচয়ী চিহ্নিত সুবিধা ভোগীরা।

এদিকে,কক্সবাজার পৌর এলাকার ১নং ওয়ার্ড সমিতি পাড়া,কুতুবদিয়া পাড়া,বন্দর পাড়া,নাজিরার টেক,নতুন পাড়ায় লক্ষ করলে দেখা যায় চতুর দিকে কক্সবাজার শহরের বড় বড় বিল্ডিং থাকলেও তাদের ঘর গুলোতে একটি সাস্থ্য সম্মত টয়লেট,বিশুদ্ধ পানির নলকূপ,মাথা গুজার মানসম্মত কোন পরিবেশও নেই।
ঘর গুলোর বাসিন্দারা মাঠিতে শুয়ে থাকেন।
নেই তাদের খাট,দামি আসবাপত্র,মাথার উপর একটি সিলিং ফ্যান।
তীব্র এই গরমে মাটিতে গড়াগড়ি করে কাটছে তাদের জীবন।
নিজেদের ক্লান্ত শরীরটা একটু ঠান্ডা করার মত আশেপাশে নেই কোন পুকুর এবং শীতল কোন বৃক্ষ।
মানবেতর জীবন যাপন তাদের।

ঈদ মানে আনন্দ। তবে এই আনন্দ কি সবার জন্য? অনেকের জন্য এই ঈদ আবার বিষাদ ভরা যন্ত্রণার। কেননা, ঈদের দিন যেখানে সবাই নতুন জামা পরে ঈদ করতে বের হবে, সেখানে অনেকেই নতুন পোশাক না কেনায় ঘর থেকেই বের হতে পারবেন না।

ককক্সবাজার শহরের বন্দর পাড়ার কয়েকজন হতদরিদ্র নারী পুরুষ কক্সবাজারবাণীকে জানান, পৌরসভার বয়স্ক ভাতা, বিধবা ভাতা, সরকারি সাহায্য সহযোগিতার কথা তারা মানুষের কাছ থেকে শুনেছন কিন্তু তা কি রকম দেখেন নি কোনদিন।
বিপদে পড়ে সাহায্যের জন্য কয়েকবার কক্সবাজার পৌরসভায় গেছেন, মেয়র সাহেব সেখানে থাকেন না।
লোকজনের কাছে শুনেছেন,তিনি দেশের বাইরে।

কাউন্সিলর সাহেব এতই ব্যস্ত যে দীর্ঘদিনও দেখা মিলে না।মেয়র সাহেবকে ফোন করলে কেউ ধরে না।

স্থানীয় এক হতদরিদ্র পরিবার কক্সবাজারবানীকে জানান, তার দুই মেয়ে। ঈদ উপলক্ষে তাদের জন্য কিছুই কেনাকাটা করতে পারেননি। ঈদ উপলক্ষে কিছু নিয়েছেন কি-না, জানতে চাইলে অশ্রুসিক্ত নয়নে তিনি বলেন, ‘গরিবের আবার কীসের ঈদ?’ নতুন জামা দূরে থাক, কালকে কি খাব, তা-ও ঠিক নাই।’


আরো বিভন্ন নিউজ দেখুন

ই-পেপার

আজকের দিন-তারিখ

  • বৃহস্পতিবার (রাত ৮:৫৭)
  • ২রা মে, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ
  • ২৩শে শাওয়াল, ১৪৪৫ হিজরি
  • ১৯শে বৈশাখ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ (গ্রীষ্মকাল)