ফরিদুল মোস্তফা খান :
কক্সবাজারের টেকনাফের অপহরণ বাণিজ্য বন্ধ করা ও মাদক,মানব পাচার, ডাকাতি সহ সমাজের বিভিন্ন ধরনের অপরাধ প্রতিরোধে স্থানীয়দের সহযোগিতা দরকার।
সে সঙ্গে এসব অপরাধীদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহনে,কঠোর পদক্ষেপ গ্রহন করা হবে বলে এসপি মো.মাহফুজুল ইসলাম, বিপিএম, পিপিএম (বার) বলেছেন।
বুধবার ( ৩ এপ্রিল) সকাল ১০ টার দিকে টেকনাফ উপজেলা কমিউনিটি পুলিশিং ফোরামের উদ্যোগে
হ্নীলা রঙ্গীখালী দারুল উলুম কামিল মাদ্রাসা মাঠে আয়োজিত এ সভায় কক্সবাজার জেলা পুলিশ সুপার ( এসপি)মো. মাহফুজুল ইসলাম বিপিএম ও পিপিএম(বার) এ কথা বলেন।
তিনি বলেন,সমাজ থেকে মাদক,সন্ত্রাস ও অপহরণ বাণিজ্য বন্ধ করা সহ বিভিন্ন অপরাধ প্রতিরোধে স্থানীয়দের সহযোগিতা প্রয়োজন।
যদি স্থানীয়রা এগিয়ে আসে, তাহলে সমাজ থেকে এসব অপরাধ বন্ধ করা সম্ভব।পুলিশ সহ অন্যান্য আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী দিনে-রাতে অপরাধ নিয়ন্ত্রণে ও বন্ধে কাজ করে যাচ্ছেন।
এ অপরাধের সঙ্গে শুধু স্থানীয়রা জড়িত নই,এতে রোহিঙ্গাদের একটি সিন্ডিকেট জড়িত রয়েছেন।
সমাজে কোন অপরাধ ঘটলে তার সঠিক তথ্য পুলিশ জানলে সেটির যথাযথ ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে।
সম্প্রতি গত ৯ মার্চ হ্নীলার ১ম শ্রেনীর মাদ্রাসার ছাত্র সোয়াদ বিন আব্দুল্লাহ (৬) কে দুর্বৃত্তরা অপহরণ করার পরে চক্রটি বিভিন্ন স্থান পরিবর্তন করতে করতে, সবর্শেষ কুমিল্লা জেলার লালমাই থানা এলাকায় লুকিয়ে ছিল।
এ ঘটনার পর থেকে সোয়াদ বিন আব্দুল্লাহকে উদ্ধার করতে আমরা দিনে-রাতে নিরলসভাবে কাজ করে ২১ দিন পরে তাকে অক্ষত অবস্থায় উদ্ধার করতে সক্ষম হয়।
এ ঘটনার সঙ্গে জড়িত অপহরণকারীর মুলহোতা সহ ১৭ জনকে আটক করা হয়েছিল।
তিনি আরও বলেন,যে সব স্থানীয়রা রোহিঙ্গাদের বাসা ভাড়া দিচ্ছেন, বা যাচাই-বাছাই ছাড়া কাউকে
বিনা পরমপূরণে বাসা ভাড়া দেওয়া হচ্ছে সেক্ষেত্রে বাড়ির মালিকদের সর্তক থাকতে বলা হয়েছে।
পুলিশ সুপারের বক্তব্যের আগে স্থানীয় জনপ্রতিনিধি,সাংবাদিক সহ সুশীল সমাজের একাধিক প্রতিনিধিগণ টেকনাফ উপজেলায় অপহরণ, মানব পাচার, মাদক ব্যবসা হচ্ছে তা প্রতিরোধ সংক্রান্ত বিভিন্ন বক্তব্য প্রদান করেন।
যার মধ্যে উল্লেখযোগ্য রোহিঙ্গাদের বাসা ভাড়া না দেওয়া, রোহিঙ্গাদেরকে ক্যাম্প হইতে বাহির হতে না দেওয়া, স্থানীয় লোকজন কর্তৃক রোহিঙ্গাদের সহিত যোগসাজশে যে সকল অপরাধমূলক কর্মকাণ্ড পরিচালিত করে তা বন্ধ করা, পুলিশের সোর্স নিয়োগের ক্ষেত্রে অধিক যাচাই-বাছাই করা, রোহিঙ্গাদেরকে ক্যাম্পের বাহিরে কোন চাকরি বা কাজ করতে না দেওয়া সহ বিভিন্ন বিষয় উপস্থাপন করেন।
উক্ত সভায় আরও বক্তব্য রাখেন,কক্সবাজার জেলা পুলিশের (প্রশাসন ও অর্থ) সদ্য পদোন্নতিপ্রাপ্ত পুলিশ সুপার রফিকুল ইসলাম, টেকনাফ মডেল থানার অফিসার ইনচার্জ(ওসি) মুহাম্মদ ওসমান গণি,উখিয়া থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মো. শামীম হোসেন,টেকনাফ মডেল থানার (ওসি) অপারেশন আব্দুর রাজ্জাক, টেকনাফ উপজেলা কমিউনিটি পুলিশিং ফোরামের সভাপতি মোহাম্মদ আলম বাহাদুর সহ টেকনাফ এবং উখিয়া থানার বিভিন্ন জনপ্রতিনিধি ও সাধারণ ব্যক্তিবর্গ।
এতে প্রায় ৮০০-৯০০ জন স্থানীয় লোকজন উপস্থিত ছিলেন।