ইমরানুল হক আযাদ-কুতুবদিয়া
কক্সবাজার -২ (কুতুবদিয়া- মহেশখালী) আসনের সাবেক সংসদ সদস্য উইং কমান্ডার জহিরুল ইসলাম মৃত্যু বরণ করেছেন(ইন্না-লিল্লাহ—-রাজিউন)।
গতকাল মঙ্গলবার রাত সাড়ে আটটায় ঢাকার সম্মিলিত সামরিক হাসপাতাল (সিএমএইচ) এ ইন্তেকাল করেন।
আজ বুধবার বাদ জোহর ঢাকাস্থ জোয়ার সাহারা, কুড়িল ( যমুনা ফিউচার পার্কের বিপরীত পার্শ্ব) মসজিদ প্রাঙ্গনে মরহুমের নামাজে জানাজা অনুষ্ঠিত হয়। এরপর বিমান বাহিনীর ক্যান্টনমেন্ট কবরস্থানে জহিরুল ইসলামকে সমাহিত করা হয়।
মৃত্যুকালে তাঁর বয়স হয়েছিল ৮২ বছর তিনি স্ত্রী ও দুই ছেলে দুই মেয়েসহ অসংখ্য আত্মীয় স্বজন রেখে গেছেন।
আলহাজ্ব উইং কমান্ডার জহিরুল ইসলাম ১৯৪২ সালের ১৫ ই আগস্ট কুতুবদিয়ার দক্ষিণ ধূরুং ইউনিয়নের এক সম্ভান্ত্র মুসলিম পরিবারে জন্মগ্রহণ করেন। তার পিতার নাম মাস্টার জাবের আহমদ। তিনি ১৯৫৭ সাল থেকে ১৯৬৪ সাল পযর্ন্ত তার শিক্ষাজীবন অতিবাহিত করে পরবর্তীকালে ১৯৬৪ সালে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে এম.এ.জি ডিগ্রি লাভ করেন।শিক্ষাজীবন শেষ করে ঢাকা কৃষি কলেজে প্রভাষক হিসেবে যোগদান করেন।পরবর্তীতে পাকিস্তান বিমান বাহিনীতে যোগদান করেন।১৯৬৭ সালে কমিশন প্রাপ্ত অফিসার হন।সুদীর্ঘ ১৯ বৎসর বিমান বাহিনীতে চাকুরি করে উইং কমান্ডার হিসেবে চাকুরি হতে অবসর গ্রহণ করেন।বিমান বাহিনীতে চাকুরিকালীন সময়ে অতিরিক্ত দায়িত্ব হিসেবে ১৯৭৫ ও ১৯৮১ সালে দুটি কৃষি প্রকল্প চালু করেন।ঐ দুই প্রকল্পে কৃতকর্ম হওয়ায় ১৯৮৩ সালে তিনি রাষ্ট্রপতির স্বর্ণপদক পান।১৯৮৬ সালে ৩য় জাতীয় সংসদ নির্বাচন এবং ১৯৮৮সালে ৪র্থ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে অংশগ্রহণ করে।পরপর দুইবার সংসদ সদস্য নির্বাচিত হন।তিনিই কুতুবদিয়ার প্রথম সংসদ। আমেরিকার জাতি সংঘের সদর দপ্তরে ১৯৮৭ সালে অনুষ্ঠিত জাতিসংঘের ৪২ তম সাধারণ অধিবেশনে তিনি বাংলাদেশ প্রতিনিধি দলের সদস্য ছিলেন এবং এতে বক্তব্য রাখেন।সংসদ সদস্য থাকাকালীন সময় তিনি সৌদিআরব,থাইল্যান্ড,নেদারল্যান্ড ও যুক্তরাষ্ট্র সহ প্রভৃতি দেশ ভ্রমণ করেন।সংসদ থাকাকালীন সময়ে তিনি মহেশখালীর জেটি,কুতুবদিয়ার বড়ঘোপ,দরবার ঘাট ও ধূরুং ঘাটের জেটি নির্মাণের জন্য চিরস্মরণীয় হয়ে থাকবেন।লবণ বোর্ড গঠন এবং লবণ নীতি প্রণয়নের পেছনে তাঁর যথেষ্ট ভূমিকা রয়েছে।