নিজস্ব প্রতিবেদক :
কক্সবাজারের সুযোগ্য পুলিশ সুপার মাহফুজুল ইসলামের নির্দেশে টেকনাফ মডেল থানার ওসি মুহাম্মদ ওসমান গনি চৌকস পুলিশ টিম এক বিশেষ অভিযান চালিয়ে টেকনাফের একাধিক মামলার পলাতক আসামি দুর্ধর্ষ ডাকাত শাহ আলম কে গ্রেফতার করেছে।
শনিবার টেকনাফ থানা পুলিশের পাঠানো সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়েছে এই তথ্য।
পুলিশ জানাই,কক্সবাজার জেলা গোয়েন্দা শাখার সহায়তায় টেকনাফ মডেল থানা এই অভিযান পরিচালনা করে।
জনাব মোঃ মাহফুজুল ইসলাম বিপিএম, পিপিএম (বার) পুলিশ সুপার, কক্সবাজার মহোদয়ের নির্দেশে অতিরিক্ত পুলিশ সুপার, উখিয়া সার্কেল রাসেল,পিপিএম-সেবা এর সার্বিক তত্ত্বাবধানে এবং অফিসার ইনচার্জ জনাব মুহাম্মদ ওসমান গনি এর নেতৃত্বে কক্সবাজার জেলার টেকনাফ মডেল থানা এলাকায় অপহরণ প্রতিরোধ, চিহ্নিত সন্ত্রাসী গ্রেফতার এবং সকল প্রকার অপরাধ নিয়ন্ত্রণে বিশেষ অভিযান পরিচালনা অব্যাহত রয়েছে।
এরই ধারাবাহিকতায় গত ২৯/০৩/২০২৪ ইং তারিখ সন্ধ্যা অনুমান ১৭.৩৫ ঘটিকার সময় বিশেষ অভিযান পরিচালনা করাকালে টেকনাফ থানাধীন হ্নীলা ইউনিয়নের রঙ্গিখালী এলাকায় অবস্থান করাকালে বিশ্বস্ত গুপ্তচরের মাধ্যমে জানা যায় যে, টেকনাফ থানাধীন হ্নীলা ইউনিয়নের রঙ্গীখালী এলাকার একাধিক খুন, অপহরণ, অস্ত্র, পুলিশ এ্যাসল্ট, চুরি, মাদক ও মারামারি মামলাসহ একাধিক মামলার পলাতক আসামী শাহ আলম বাহিনীর প্রধান ডাকাত শাহ আলম কক্সবাজার সদর থানা এলাকায় অবস্থান করছে।
উক্ত সংবাদের ভিত্তিতে কক্সবাজার জেলা গোয়েন্দা শাখার সহযোগীতায় টেকনাফ মডেল থানা পুলিশ কর্তৃক নীলা ইউনিয়ন কেন্দ্রিক পাহাড়ী অপহরণ চক্রের প্রধান ১। শাহ আলম প্রকাশ ডাকাত শাহ আলম (৩৬), পিতা-মোঃ আব্দুল মজদি প্রকাশ ভোলাইয়া বেদা, সাং-রঙ্গিখালী, গাজীপাড়া, ৭নং ওয়ার্ড, হ্নীলা ইউপি, থানা-টেকনাফ, জেলা-কক্সবাজারকে গ্রেফতার করা হয়।
ডাকাত শাহ আলম এর বিরুদ্ধে বর্তমানে টেকনাফ মডেল থানায় খুনের মামলাসহ ৫টি তদন্তাধীন মামলা এবং ২টি গ্রেফতারী পরোয়ানা মুলতবি রয়েছে।
এছাড়া এই আসামীর বিরুদ্ধে একাধিক মামলা বিজ্ঞ আদালতে বিচারাধীর রয়েছে।
জিজ্ঞাসাবাদে জানা যায় যে, তিনি নীলা রঙ্গীখালি এলাকায় গহীন পাহাড়ে ৪০/৫০ জনের একটি অপহরণ চক্র গড়ে তুলেছেন। সাম্প্রতিক অপহরণগুলোর মূল ভূমিকায় ছিলেন এই ডাকাত শাহ আলম। গহীন পাহাড়ে অস্ত্র তৈরির কারখানা গড়ে তুলেছেন তিনি । তিনি একজন মাদক, অস্ত্র ব্যবসায়ী ও চোরাকারবারী ।ধৃত আসামীকে বিজ্ঞ আদালতে সোপর্দ করা হইয়াছ।