নিজস্ব প্রতিবেদক :
জেলা সদর হাসপাতালে আয়ার চাকরি করে জীবিকা নির্বাহ করেন বিধবা শেফালী। প্রধানমন্ত্রীর ত্রাণ তহবিলসহ বহুজনের সহায়তায় মাত্র দুই শতক খাস জমি ক্রয় করে ছোট্ট একটি বাড়ি নির্মাণ করেন। অর্থাভাবে প্রায় দুবছর সময় লাগে দুই রুমের এই বাড়িটি নির্মাণে। বাড়িটি নির্মাণের শুরু থেকেই মোটা অংকের চাঁদা দাবি করে আসছেন সাংবাদিকসহ একটি চাঁদাবাজ চক্র। চাঁদা আদায়ে বিধবা শেফালীর প্রতি নানান হুমকিধামকি চরম পর্যায়ে পৌঁছলে অবশেষে তিনি আইনি প্রতিকার পেতে আদালতের শরণাপন্ন হয়ে মামলা দায়ের করেন।
মামলার আর্জি সুত্রে জানাযায়, মামলার বাদি কক্সবাজার পৌরসভা ৯নং ওয়ার্ড বাদশা ঘোনা এলাকার সদ্য বাসিন্দা সুফিয়া আক্তার শেফালী কক্সবাজার সদর হাসপাতালের ৪র্থ শ্রেণীর কর্মচারী হিসাবে জীবিকা নির্বাহ করেন।
তিনি গত ২০২১ সাল উক্ত এলাকায় বসত বাড়ী নির্মানের কাজ শুরু করেন। বাড়ী নির্মাণের কারণে স্থানীয় কয়েকজন অসাধু লোক এবং একজন সাংবাদিক মিলে শেফালির নিকট চাঁদা দাবী করে আসছেন। এক পর্যায়ে তাদের অতীষ্ঠতায় বাড়ি নির্মাণ কাজ বন্ধ করেদেয় শেফালী।
কয়েক মাস পর আবারও নির্মাণ কাজ চালু করার সাথে সাথে চাঁদাবাজ চক্রটি তিন লক্ষ টাকা চাঁদা দাবী করে।
এছাড়াও গত ১২ই মার্চ দুপুর আনুমানিক একটার দিকে সাংবাদিক পরিচয়ে চাঁদাবাজ চক্রের তিন সদস্য বসত ঘরে এসে তিন লক্ষ টাকা চাঁদা দাবী করে। চাঁদা দিতে অপারগতা প্রকাশে ক্ষিপ্ত হয়ে বিধবা শেফালীকে অকথ্য ভাষায় গালিগালাজ করে এবং ভুক্তভোগীর ছেলেকে প্রকাশ্যে হত্যার হুমকি দিয়ে নির্মাণ কাজ বন্ধ করে দেয়।
এসময় স্থানীয় লোকজন এগিয়ে আসলে চাঁদাবাজ চক্রটি এ ব্যাপারে কোন ধরনরে মামলা-মোকদ্দমা না করার জন্য প্রাণে মারার হুমকি দিয়ে ঘটনাস্থল ত্যাগ করেন।
চাঁদাবাজ চক্রটি প্রভাবশালী হওয়ার কারণে উক্ত ঘটনার বিষয়ে স্থানীয়ভাবে আপোষ মিমাংসা এবং থানায় মামলা করতে অপারগ হয়ে বিজ্ঞ আদালতে মামলা করতে বাধ্য হন।
তারই ধারাবাহিকতায় গত ১৯ মার্চ কক্সবাজার অতিরিক্ত চিপ জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট কৌশিক আহাম্মেদ খোন্দকার এর আদালতে মামলাটি আমলে নিয়ে তিনদিনের মধ্যে কক্সবাজার সদর মডেল থানায় অন্তর্ভুক্ত করার নির্দেশ দেন।
কক্সবাজার সদর মডেল থানার অফিসার ইনচার্জ ( ভারপ্রাপ্ত) কাইছার হামিদ ২১মার্চ মামলাটি নতিভূক্ত করেন। যাহার সি আর মামলা নং ২৮৮/২০২৪ (সদর) কক্সবাজার সদর মডেল থানার মামলা নং ৫৬/২০৪ তারিখ (১২/৩/০২৪ইং)
মামলার আসামিরা হলেন, ৯নং ওয়ার্ড বাদশা ঘোনা এলাকার আবদুল মজিদ’র ছেলে রাশেদুল মজিদ একই ওয়ার্ডের ঘোনার পাড়া এলাকার নুরুল ইসলামের ছেলে সিরাজুল ইসলাম ১০নং ওয়ার্ড পূর্ব মোহাজের পাড়া এলাকার মোঃ আলী ড্রাইভার এর ছেলে আবদুর রহমান।
পুলিশের পক্ষ থেকে মামলায় অভিযুক্ত আসামিদের গ্রেফতার করতে অভিযান অব্যাহত রয়েছে বলে জানানো হয়।