• শুক্রবার, ১৩ ডিসেম্বর ২০২৪, ০৯:৪৫ পূর্বাহ্ন
সর্বশেষ খবর
কক্সবাজার সার্চ মানবাধিকার সোসাইটির পক্ষে বিশ্ব মানবাধিকার দিবস পালিতকক্সবাজার থানা পুলিশের অভিযানে চাকুসহ ৫ ছিনতাইকারী আটকসাংবাদিকদের মেধাবী সন্তানদের শিক্ষা বৃত্তি ও সম্মাননা দেবে বিএমএসএফআইজিপি হিসেবে দায়িত্ব নিলেন বাহারুল আলমনতুন আইজিপি বাহারুল আলমবাংলাদেশ সশস্ত্র বাহিনী দিবস : স্বাধীনতা ও সার্বভৌমত্ব রক্ষায় শক্তিশালী সশস্ত্র বাহিনীর কোনো বিকল্প নেইদৈনিক সাঙ্গু ও একজন স্বপ্নসফল সম্পাদক কবির হোসেন সিদ্দিকীউত্তর কুতুবদিয়া পাড়ায় আগুন লেগে দুটি ঘর পুড়ে ছাই,ক্ষতির পরিমান প্রায় ১০ লক্ষ টাকাসিফাত উদ্দিন উখিয়ার এবং বিমল চাকমা ঈদগাঁও’র নতুন ইউএনওনাজিম উদ্দিন কুতুবীকে বর্ষসেরা সাংবাদিক পুরষ্কার প্রদান:কক্সবাজারবাণী পরিবারের অভিনন্দন

টেকনাফে কুঁড়ে ঘর ছাড়া কোনো ঠাঁই নেই বিধবার, জুটেনি প্রধানমন্ত্রীর উপহার ঘর

নিজস্ব প্রতিবেদক
আপডেট : শনিবার, ২০ ফেব্রুয়ারী, ২০২১

টেকনাফ উপজেলার হোয়াইক্যং ইউপিস্থ কুতুবদিয়া পাড়া গ্রামের এক হতদরিদ্র পরিবারে জন্ম নেয়া বিধবা হামিদা বেগমের সাম্প্রতিক সময়ে প্রধানমন্ত্রীর উপহার হিসেবে অনেকে সরকারী ঘর পেলেও জুটেনি ঘর।শত চেষ্টা করে একটু আশ্রয়ের আশায় ঘুরছে দিকবেদিক,তারপরও তালিকাভুক্ত হয়নি সরকারি ঘরের।

স্থানীয় মৃত সোলতান আহমদের মেয়ে হামিদা বেগম (৩৫) জনান, আমার মা-বাবা ভাই বোন হারা বিধবা মহিলার কোনো ঘর না থাকায়,ছোট্ট একটি কুঁড়ে ঘরে কষ্টে দিন কাটাচ্ছি ,আামার নেই কোনো ছেলে,নেই কোনো আয়ের উৎস।১২ বছরের এক মেয়ে আছে,মেয়েটিকে নিয়ে সে অতিকষ্টে খেয়ে না খেয়ে দিন কাটাচ্ছে।

এক সময় দীর্ঘ একযোগ ধরে চট্টগ্রামে ছোট একটা ঘর ভাড়া নিয়ে এক ফেক্টরীতে চাকরী করে জীবিকা নির্বাহ করেছিল।লেখাপড়ার যোগ্যতা না থাকায় অল্প বেতনে চাকরী করে জীবন চালাত।অল্প বেতনে চাকরী করে চট্টগ্রাম শহরে ঘর ভাড়া এবং নিজের চলাচল অতিকষ্ট হয়ে পড়ায় ,নিরোপায় হয়ে সে দুই বছর আগে গ্রামের বাড়ি চলে আসে।

এই বিধাব হামিদা ভিটে মাটি ঘর হারা মহিলা দীর্ঘ দিন ধরে সরকারের বিভিন্ন জন প্রতিনিধিদের দপ্তরে ঘুরে বেড়াচ্ছেন।পৃথিবীতে তার আয়ের উৎস বলতে কিছুই নেই ।সরকারী ভাবে কোনো সুযোগ সুবিধা না পেলে না খেয়ে মারা যাওয়া ছাড়া আর কোনো উপায় নেই এই পৃথিবীতে।সে এখন মানুষের দ্বারে দ্বারে ঘুরেছেন একটুকরো জায়গা এবং ঘরের জন্যে।
অসহায় বিধবা হামিদার জীবনের কষ্টের কথাগুলি শুনে বুক ভরা কান্নায় শরীর শিউরে উঠে। তিনি ইউনিয়ন পরিষদ থেকে শুরু করে মোটামুটি অনেক দপ্তরে ঘুরে বেড়াচ্ছেন একটুকরো জায়গা ও ঘরের জন্যে।তার জীবনে শেষ আশা ছিল এক টুকরো জায়গা এবং একটি ঘর।একটি ঘরের জন্যে বিগত কয়েকমাস আগে টেকনাফের ১নং হোয়াইক্যং মডেল ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যানের কাছে ছবি ও বায়োডাাটা জমা দিয়ে ছিলেন,কিন্তু তা কোনো কাজে আসেনি।
তবে হোয়াইক্যং ইউনিয়নে অনেক ধনী ব্যক্তিদের নামও কিন্তু প্রধানন্ত্রীর উপহারের ঘরগুলোর তালিকায় এসেছে।

এবিষয়ে টেকনাফ উপজেলা নির্বাহী অফিসার মোহাম্মদ সাইফুল ইসলাম জানান,’বিধবা নারী ইউএনও অফিসে লিখিত আবেদন করলে তার বিষয় টা বিবেচনা করা হবে।প্রয়োজনে সংশ্লিষ্ট ইউপি চেয়ারম্যানের সুপারিশ অফিস নিবে।

টেকনাফ হোয়াইক্যং মডেল ইউনিয়নের চেয়ারম্যান নুর মোহাম্মদ আনোয়ারী বলেন, ভূমিহীনদের প্রধানমন্ত্রীর উপহার ঘরের প্রাথমিক একটা তালিকা হয়েছে,সেই তালিকায় যদি নাম না এসে থাকে তাহলে পুনরায় আবেদন করলে দেখে শুনে তালিকাভুক্ত করা হবে এবং তাকে যোগাযোগ করার জন্য অনুরোধ রইল।


আরো বিভন্ন নিউজ দেখুন