• সোমবার, ০৯ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ০৪:৫৪ অপরাহ্ন
সর্বশেষ খবর
কক্সবাজারের নতুন ডিসি সালাউদ্দিন আহমেদ বন্যার্তদের সেবায় নিঃস্বার্থ পেশাগত দায়িত্ব ও মানবিকতার দৃষ্টান্ত স্থাপনকারী দুই সেনা  সদস্যের সাথে সাক্ষাৎ করলেন সেনাবাহিনী প্রধান কক্সবাজারে নবাগত পুলিশ সুপারের যোগদান : ৪ থানার ওসিকে প্রত্যাহার সাংবাদিককে নির্যাতনের ঘটনায় অভিযুক্ত কর্মকর্তাকে পদায়নের পর প্রত্যাহার পরিবহন শ্রমিকদের বিক্ষোভ, চট্টগ্রাম-কক্সবাজার যান চলাচল বন্ধ সাংবাদিকতাই হচ্ছে পৃথিবীর শ্রেষ্ঠ পেশা গণভবন পরিদর্শনে তিন উপদেষ্টা কক্সবাজারে আবারও সক্রিয় হয়ে উঠেছে অপহরণকারী চক্র,অপরাধীদের শেষ কোথায়? রামু প্রেস ক্লাবর প্রতিষ্ঠা বার্ষিকী পালন জেলা প্রেসক্লাব কক্সবাজারের তৌহিদ বেলাল সভাপতি ও রফিক মাহমুদ সেক্রেটারি

বড় ভাইকে মারধরের ঘটনায় ২ বছরের সাজাপ্রাপ্ত আনাছের সাজা আপিলেও বহাল

নিজস্ব প্রতিবেদকঃ
আপডেট : সোমবার, ২৬ ফেব্রুয়ারী, ২০২৪

নিজস্ব প্রতিবেদক:


রামুতে পৈত্রিক সম্পত্তি লুট করে ভাগিয়ে নিতে বড় ভাইয়ের উপর পরিকল্পিত হামলা চালিয়ে আঘাত করার অভিযোগে ছোটো ভাইকে দুই বছরের সাজা দিয়েছেন সিনিয়র জুড়িশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালত, কক্সবাজার। একই মামলায় অভিযুক্ত আরও দুইজন আসামী পেয়েছেন খালাস। সাজাপ্রাপ্ত আসামী হলেন- রামু কাউয়ারখোপ ইউনিয়নের ৯নং ওয়ার্ডের উখিয়ার ঘোনা লামারপাড়া এলাকার হাজী মো. হাছনের পুত্র মো. আনাছ (২৫)। ৮ নভেম্বর মঙ্গলবার পূর্ব নির্ধারিত দিনে সিনিয়র জুড়িসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালত- ০৬ (রামু) এর বিজ্ঞ বিচারক এহসানুল হক উক্ত রায় দেন। রায়ে আসামীকে দুই বছরের সশ্রম কারাদন্ড এবং ১০ হাজার টাকা অর্থদন্ড; অনাদায়ে আরও ২ মাসের কারাদন্ড ঘোষণা করেন আদালত। তবে উক্ত রায়ে সংশ্লিষ্ট ঘটনায় প্রত্যক্ষ ভাবে জড়িত দুই আসামীকে খালাস দেওয়ায় কিঞ্চিত অসন্তুষ্টি প্রকাশ করেছে মামলার বাদী ওমর ফারুক। জানা যায়- গত বছরের (২০২১ সালের) ২৬ সেপ্টেম্বর সকাল ১০টায় রামুস্থ বাদীর নিজ বাড়িতে ছোটো ভাই আনাছ ও তার অপরাপর সহযোগীরা ওমর ফারুকের উপর পরিকল্পিত হামলা চালায়। হামলায় গুরুত্বর আহত হয়ে আইনী প্রতিকার পেতে ওমর ফারুক আদালতের দ্বারস্থ হয়ে ৫ অক্টোবর একটি মামলা দায়ের করেন। যার নাম্বার ২৭৮/২১ (রামু)। আদালত মামলাটির তদন্ত ভার দেন পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশন (পিবিআই)কে। পিবিআই’র উক্ত তদন্ত রিপোর্ট পর্যালোচনা করে চার্জ গঠন শেষে সাক্ষীদের সাক্ষ্য ও যুক্তিতর্কের পর গতকাল ৮ নভেম্বর মঙ্গলবার এই রায় দেন বিজ্ঞ আদালত। বাদী ওমর ফারুক জানান- ‘আমার পিতার দুই স্ত্রী। আমি বড় মায়ের সন্তান। আসামী আমার ছোটো মায়ের সন্তান তথা আমার আপন ভাই হয়। এলাকায় স্থানীয় প্রভাবশালী একটি কুচক্রী এফলের ইন্ধনে আসামী আনাছ, ছোটো মা রেহেনা আক্তার ও ছোটো মায়ের ভাই মোক্তার আহমদের পুত্র জসিম উদ্দিন নানা কূটকৌশলে আমার পিতা হাজী মো. হাছনের বিপুল পরিমাণ সম্পত্তি একক ভাবে হাতিয়ে নিয়েছে। বিষয়টি জানাজানি হলে সংসারে বিরোধ ও কলহ দেখা দেয়। অন্যদিকে ছোটো মায়ের সন্তানেরা আমার পিতার আরও সম্পত্তি হাতিয়ে নিতে প্রকাশ্যে হাকাবকা শুরু করে। বিষয়টি নিয়ে তৎপর হলে ছোটো মায়ের সন্তান আনাছ ও উল্লেখিত অপরাপর আসামীরা একজোট হয়ে আমার উপর পরিকল্পিত ভাবে হামলা চালায়। আইনী প্রতিকার চেয়ে আদালতে মামলা করলে বিজ্ঞ আদালত প্রধান আসামীকে দুই বছরের সাজা দিয়েছে। এতে আমি বিজ্ঞ আদালতের প্রতি কৃতজ্ঞতা জানাচ্ছি। তবে ঘটনার সাথে জড়িত অপরাপর আসামী রেহেনা আক্তার ও তার ভাই জসিম উদ্দিনের ব্যাপারে মামলাটির তদন্তকারী সংস্থা পিবিআই স্পষ্ট অপরাধের প্রমাণ পেয়েছে বলে উল্লেখ করেছে। তা সত্ত্বেও এই দুই আসামীকে খালাস দেওয়ায় আমি ন্যায় বিচার থেকে বঞ্চিত হয়েছি বলে মনে করছি।

এদিকে মামলা সূত্রে জানাগেছে,

বিগত ৮/১১/২২ ইং তারিখে মাননীয় বিজ্ঞ সিনিয়র জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালত, রাম, বড় ভাই ওমর ফারুককে মারধরের ঘটনায় ২ বছরের সাজাতদান করেন ছোট ভাই ওমর ফারুককে। উক্ত সাজার বিরুদ্ধে মোন আনাস জজ ফোটে আপীল করেন। অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা ভাজ ৪র্থ আদালত উক্ত আপীলেও গত ১/2/28 ইং ২ বদরের সাজা বহাল রাকেন। আপীল আদালত রায়ে বলেন- মোঃ আনাম মামলা চলাকালীন সময়ে সুবিধা নিতে বয়স কমিয়ে দিয়ে জন্মনিবদন ও জাতীয় পরিচয় পত্র করেন।


আরো বিভন্ন নিউজ দেখুন

ই-পেপার