নিজস্ব প্রতিবেদক :
সাংগঠনিক কর্মকাণ্ড, সংবাদ পত্র ও সাংবাদিকদের কল্যানে কাজ করতে বাংলাদেশ মফস্বল সাংবাদিক ফোরাম (বিএমএসএফ) রংপুর বিভাগের দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে জনপ্রিয় ও আলোচিত সাংবাদিক দৈনিক জনতারবানী ও কক্সবাজারবানী সম্পাদক ফরিদুল মোস্তফা খানকে।
১৪ ফেব্রুয়ারি রবিবার সংগঠনের কেন্দ্রীয় সাধারণ সম্পাদক আহমেদ আবু জাফর গণমাধ্যম ও নিজের ফেইসবুক আইডিতে এই ঘোষণা দেন।
পরে সাংবাদিক ফরিদুল মোস্তফা খান নিজ প্রোফাইলে কৃতজ্ঞতা জানান বিএমএসএফ কেন্দ্রীয় সভাপতি শহীদুল ইসলাম পাইলট ও সাধারণ সম্পাদক আহমেদ আবু জাফর সহ কমিটির সকল সহকর্মীদের কাছে।
তিনি নিজের ফেইসবুক আইডিতে বলেন, আমি আশা করি রংপুরের সকলের সহযোগিতা পেলে বিভাগের দলমত নির্বিশেষে সকল গনমাধ্যমে ও সাংবাদিকদের সুখ দুঃখের সাথী হতে পারব এবং হব ইনশাল্লাহ ।
জানাগেছে,বাংলাদেশে সত্য সাংবাদিকতার আইডল বাংলাদেশ মফস্বল সাংবাদিক ফোরাম বিএমএসএফ কেন্দ্রীয় কমিটির সহ সাংগঠনিক সম্পাদক সাংবাদিক ফরিদুল মোস্তফা খান।
সত্য ও ন্যায়ের পক্ষে কলম ধরে টেকনাফের ওসি প্রদীপ ও তার লালিত মাদক ব্যবসায়ীদের জেল জুলুমের শিকার হয়ে দেশব্যাপী আলোচনায় আসেন তুখোর মেধাবী ও অন্যায়ের প্রতিবাদী তরুন এই সাংবাদিক।
তিনি একেধারে বাংলাদেশের সাংবাদিকতায় মূল ধারার প্রবর্তক, সাংবাদিক সম্পাদক কবি সাহিত্যিক কালামিষ্ট ও গীতিকার ও বটে।
কক্সবাজার থেকে প্রকাশিত দৈনিক কক্সবাজারবাণী”র প্রতিষ্ঠাতা সম্পাদক ও প্রকাশক তিনি। জাতীয় দৈনিক জনতারবাণী, জনতারবাণী বিডি ডটকম এবং কক্সবাজারবাণী অনলাইনের জনপ্রিয় সম্পাদক ও প্রকাশক ফরিদুল মোস্তফা খান।
এর আগে বাংলাদেশে নতুন ধারার সাংবাদিকতার প্রবর্তক নাঈমুল ইসলাম খান সম্পাদিত আমাদের সময় ডটকম, আমাদের অর্থনীতি, আমাদের নতুন সময়, ডেইলী আওয়ার টাইম, নতুন ধারা, সাপ্তাহিক কাগজ, সচিত্র সময়, মিডিয়া ওয়াচ, ও বিনোদন পত্রিকা তারকা কাগজের আবাসিক সম্পাদক ছিলেন ফরিদুল মোস্তফা খান।
ব্যক্তিগত জীবনে অত্যন্ত সাদাসিদে জীবন যাপনে অভ্যস্ত তিনি।
সদা হাঁসোজ্জল ও পরপোকারী সাংবাদিক ফরিদুল মোস্তফা খানের পিতা অবসর প্রাপ্ত প্রয়াত শিক্ষক, সমাজ সেবক মোহাম্মদ ইসহাক খান।
মাতা বেগম বাহার। গ্রাম সীমান্ত জনপদ টেকনাফের হোয়াইক্যং ইউনিয়নের নয়া বাজার পশ্চিম সাতঘরিয়া পাড়া।
১৯৮২ সালের ৯ই মে রোজ সোমবার তাঁর জন্ম। ২০০০ সালের আগেও গ্রামের বাড়িতে শিক্ষক পরিবারে থাকতেন তিনি। স্থানীয় নয়া বাজার উচ্চ বিদ্যালয় থেকে ২০০০ সালে এস, এস, সি, পাশের পর কক্সবাজার সরকারী কলেজেই তাঁর পড়ালেখার সফল সমাপ্তি।
শৈশবে ছোট গল্প, কবিতা লেখালেখিতে অত্যন্ত জনপ্রিয় ফরিদুল মোস্তফা খানের সাংবাদিকতায় হাতে খড়ি ২০০১ সালের শুরুর দিকে। তৎকালীন সময়ের নন্দিত লেখক বরেণ্য সাংবাদিক কক্সবাজার প্রেস ক্লাবের সাবেক সভাপতি আতাহার ইকবাল সম্পাদিত দৈনিক বাঁকখালীর স্টাফ রিপোর্টার হিসেবে সাংবাদিকতায় অভিষেক হয়।
শুধু কক্সবাজার নয় দেশের গন্ডি পেরিয়ে বিদেশে পরিচিত বাংলাদেশের প্রিয় সাংবাদিকদের মধ্যে এখন তিনি এক আলোড়ন সৃষ্টিকারী ব্যক্তিত্ব।
কেউ স্বীকার করুক, আর নাই করুক একথা-ই সত্য, স্বাধীনতার পর দেশের ইতিহাসে প্রাপ্তিক সাংবাদিকতার অভিজ্ঞতায় যে ক”জন সম্পাদক-সাংবাদিক রয়েছেন, ফরিদুল মোস্তফা খান তৎমধ্যে সর্ব কনিষ্ট এবং একজন সফল গণমাধ্যম ব্যক্তিত্ব।
সময়ের ব্যবধানে নানা ঘাত প্রতিঘাত চড়াই-উৎরাই পেরিয়ে সফল কক্সবাজারের এই মেধাবী সাংবাদিক সেই ২০০১ সাল থেকে একে একে দৈনিক বাঁকখালী এ ছাড়াও বাংলাদেশ বেতার কক্সবাজার কেন্দ্র, চকরিয়া থেকে প্রকাশিত পাক্ষিক মেহেদী, দৈনিক রুপসী গ্রাম, দৈনিক সৈকত, দ্যা ডেইলী নিউজ টু ডে, দৈনিক খবর পত্র, দেশ বাংলা, সাপ্তাহিক খবরের অন্তরালে দৈনিক আমাদের কন্ঠ ও দৈনিক আজকের বসুন্ধরা পত্রিকায় অত্যন্ত সুনামের সঙ্গে পেশাগত দায়িত্ব পালন করেছেন তিনি।
ফরিদুল মোস্তফা খানই একমাত্র সাংবাদিক বিভিন্ন মহলের রক্তচক্ষু উপেক্ষা করে মফস্বলের সাংবাদিক হওয়া স্বত্বেও জাতীয় এবং আন্তর্জাতিক পর্যায়ে একজন আলোচিত ব্যক্তি।
পেশাগত দায়িত্বের কাছে কখনও হার না মানা এই সাংবাদিকের লেখালেখি এবং সাহসিকতায় তাঁর একজন সত্যিকার বন্ধু নেই বললেই চলে।
অগনিত পাঠক এবং ভক্তের জন্য তিনি খেয়ে না খেয়ে চরম ঝুঁকিপূর্ণ সাংবাদিকতাকে মূল ধারায় ফিরিয়ে আনতে তিনি সংক্ষুব্ধ ব্যক্তিদের কাছ থেকে অনেক হামলা-মামলার শিকার হয়েও বাংলাদেশের কক্সবাজারের সাংবাদিকতাকে পাঠকের কাছে অনেক বিশ্বস্থ করেছেন।
জানা গেছে, সাংবাদিকতার অবসরে তিনি কবিতা, গান, নাটক, উপন্যাস ছোট গল্প, লেখালেখি করেন।
তার লেখা বেশ কিছু গান বৃহত্তম চট্রগ্রামের জনপ্রিয় সুরকার আজম চৌধুরী মিউজিক কম্পোজিশন করেছেন। যা অডিও ভিডিও এলবাম প্রকাশের পাশাপাশি ফরিদুল মোস্তফা খান রচিত কয়েকটি নাটক টেলিভিশন পর্দায় আসার অপেক্ষায় রয়েছে। তাঁর লিখিত গ্রন্থের মধ্যে ডিজিটাল বাংলাদেশ, বিশ্ব বন্ধু শেখ মুজিব, মেজর জিয়া বলছি, জোসনাহীন আধাঁর এবং নরক যন্ত্রনা নামের দুটি অবিনাশী প্রেমের বিরহ বিচ্ছেদের উপন্যাস প্রকাশের কাজ পুরোদমে চলছে।
সাংবাদিক ফরিদুল মোস্তফা খান মিয়ানমারের রাজধানী ইয়ানগুন, মালয়েশিয়া, ব্যাংকক, কলিকতাসহ দেশের বিভিন্ন দর্শণীয় ও ঐতিহাসিক স্থান সফর করেছেন। তিনি একাধিক বার সরকারী বেসরকারী বিভিন্ন সম্মাননায় ভূঁষিত হয়েছেন।
এদিকে ককসবাজারের এই কৃতী সাংবাদিক ফরিদুল মোস্তফা খানের একের পর এক পেশাগত সফলতার ও বিএমএসএফ এর রংপুর বিভাগের দায়িত্ব পাওয়ায়
দেশ বিদেশের তার অগনিত সহকর্মী, ভক্ত ও শুভাকাঙ্ক্ষীরা উল্লাস প্রকাশ করছেন।
সকলেই বিভিন্ন ভাবে তাকে ফুলেল শুভেচছা ও অভিনন্দনে সিক্ত করছেন।
যা রীতিমতো সাংবাদিক ফরিদুল মোস্তফা খান কে অভিভুত করছেন বলে জানিয়ে তিনি সকলের নিকট আন্তরিক কৃতজ্ঞতা প্রকাশকরে দোয়া চেয়েছেন।