মোহাম্মদ ফয়সাল :
দেশের প্রধান শুঁটকি উৎপাদন কেন্দ্র কক্সবাজার নাজিরারটেক।
শুঁটকি মহলকে ঘিরে হাজারো বেকারের কর্মসংস্থান কক্সবাজার নাজিরারটেকের যোগাযোগ ব্যবস্থা আরও উন্নত করা দরকার।
প্রয়োজন বিষ মুক্ত শুটকি উৎপাদনের সাস্থসম্মত কেমিক্যাল। একই সাথে সব মৌসুমে শুটকি উৎপাদনের জন্য পর্যাপ্ত সোলার ড্রয়ার দেওয়া হলে আমরা সুর্যের তাপ থাকলেও রাত দিন ২৪ ঘন্টা শুটকি উৎপাদন করে দেশের অর্থনীতিতে আরও ভাল অবদান রাখতে পারবো।
তাছাড়া, নাজিরারটেক যেখানে শুঁটকি উৎপাদন হয় সেখান থেকে শুঁটকি পরিবহনের জন্য কয়েকটি অভ্যন্তরীন ব্রীজ এবং পুরো সমিতি পাড়া কুতুবদিয়া পাড়ায় সড়ক-উপসড়ক গুলো আরও উন্নত না করলে এখানে অগ্নিকাণ্ড সহ বড় কোন দুর্ঘটনা ঘটলে সাধারণ মানুষের ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি ঠেকানো অসম্ভব।
অগ্নিকাণ্ডের ঘটনায় ফায়ার সার্ভিসের গাড়ি দ্রুত আসা যাওয়ার ব্যবস্থা না থাকায় সাম্প্রতিক সময় এই এলাকায় ১ দিনে ১৭ টি বাড়ি ঘর ও দোকানপাট পুড়ে ছাই হয়ে যায়।
কথা গুলো বলেছেন, কক্সবাজার পৌর আওয়ামিলীগের ১ নং ওয়ার্ড সভাপতি এবং স্থানীয় শুটকি পল্লী সমিতির প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি আতিকুল্লাহ কোম্পানি।
দৈনিক কক্সবাজারবাণী সম্পাদক ফরিদুল মোস্তফা খানের সাথে এক সংক্ষিপ্ত সাক্ষাৎকারে তিনি এ কথা বলেন।
আনুমানিক ৬০ বছর বয়স্ক সদা হাস্যজ্জল ও পরোপকারী এই সমাজ সেবক আতিকুল্লাহ কোম্পানি বলেন, আমি গত দীর্ঘ বছর ধরে শুটকি সমিতির প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি।
১৯৮৬ সালে আমরা শুটকি মহল গড়ে তুলি।
এরপর স্থানীয় মৎস্য ব্যবসায়ী সমিতি নিজ উদ্যেগে আমাদের সড়কের গর্ত সহ সকল প্রকার সংস্কার করি।
সাবেক পৌর মেয়র কক্সবাজার জেলা আওয়ামিলীগ সাধারণ সম্পাদক মুজিবুর রহমান চেয়ারম্যান আমাদের দাবির প্রেক্ষিতে এখানে অনেক উন্নয়ন করেছেন।
বর্তমান পৌর মেয়র ও সরকারের দায়িত্বশীলদের কাছে অনুরোধ,শুঁটকি পল্লীতে কর্মরত প্রায় এক হাজার চল্লিশ জন ব্যবসায়ী পাশাপাশি এলাকার উনয়নের সার্থে নাজিরারটেক শুটকি মহলের প্রথম মাথায় সিকান্দার বাড়ির পাশে জরুরি ভিত্তিতে একটি ব্রীজ সংস্কার করা প্রয়োজন।
অতএব, বিষয়টি দ্রুত সমাধানের দাবি জানান আতিকুল্লাহ কোম্পানি।