ফরিদুল মোস্তফা খান :
যানজট নিরসনের পাশাপাশি নিরাপদ ও পর্যটন বান্ধব বিভিন্ন পদক্ষেপ নিয়েছে কক্সবাজার ট্রাফিক বিভাগ।
জেলা পুলিশ সুপার মাহফুজুল ইসলামের সার্বিক তত্ত্বাবধানে ট্রাফিকের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার জসিম উদ্দিনের চৌকস টিম এজন্যই নিরলস পরিশ্রম করে যাচ্ছেন।
রোববার কক্সবাজার জেলা ট্রাফিক পুলিশের কার্যালয়ে সরজমিন পরিদর্শনে দেখা গেছে,অতিরিক্ত পুলিশ সুপার জসিম উদ্দিন বিশ্ব বাসীর কাছে কক্সবাজার ভ্রমনকে আরও নিরাপদ করতে পর্যটক সেবায় বিভিন্ন পদক্ষেপ নিচ্ছেন।
প্রতিবেদককে তিনি জানান,কক্সবাজার এসে কোন পর্যটক যেন হয়রানির শিকার না হন সেই জন্য এসপি স্যারের নির্দেশে কাজ করছি।
রাত দিন ২৪ ঘন্টা ট্রাফিক পুলিশ সদস্যরা কক্সবাজার শহরকে যানজট মুক্ত রাখার পাশাপাশি সার্বক্ষনিক নিরাপত্তায় নিয়োজিত আছেন।
স্বপ্নের ট্রেন চালু হওয়ার আগে ও পর থেকে ট্রাফিক বিভাগ কক্সবাজার শহরে পর্যটক সেবায় অতন্ত্র প্রহরীর ভূমিকা পালন করছে।
দেশি বিদেশী পর্যটকরা কক্সবাজার এসে কোন প্রকার যেন হয়রানির চিকার না হোন সেই জন্য আমরা ইতোমধ্যে শহরের যানবাহন গুলোতে যেন পর্যটকদের কাছ থেকে অতিরিক্ত ভাড়া আদায় বা অন্য কোনভাবে হয়রানি করতে না পারে সেই জন্য কাজ করছি।
এই কারণে জেলা পুলিশের পক্ষ থেকে একটি ইনোভেটিভ উদ্ধেগ গ্রহণ করা হয়েছে।
পর্যটকরা দেশ বিদেশের যে কোন স্থান ৎেকে কক্সবাজার এসে অনলাইনে আমাদের www.coxcab.com, one-stop tourist sarvice ও tourist Bus Entry Permission ভিজিট করে অনলাইর মাধ্যমে পছন্দের প্রাইভেট যানবাহন নিয়ে বিমান বন্দর,রেল স্টেশন বা বাস টার্মিনাল থেকে সরাসরি নিজের পছন্দের হোটেল মোটেল গেস্ট হাউজ রেস্ট হাউজ অথবা যেখানে ইচ্ছে যেতে পারবেন।
এতে করে পর্যটকরা সম্পূর্ণ নিরাপদ পরিবেশে কক্সবাজার ভ্রমনকে আনন্দময় করতে পারবে ইনশাআল্লাহ।
উল্লেখ্য, চলতি বছরের মার্চের ২ তারিখ কক্সবাজার ট্রাফিক পুলিশের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার হিসেবে যোগদান করার পর নিরাপদ ও পর্যটন বান্ধব ট্রাফিক ব্যবস্থাপনায় বিশেষ অবদানের জন্য গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকারের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার কাছ থেকে বিশেষ সম্মাননা পান উক্ত পুলিশ কর্মকর্তা জসিম উদ্দিন।
খোঁজ নিয়ে জানাগেছে,সরকারি চাকরির পাশাপাশি ট্রাফিকের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মুহাম্মদ জসিম উদ্দিন একজন মানবিক মানুষ।
তিনি কলাতলী ডলফিন মোড় সড়ক মার্বেল কালার দিয়ে সজ্জিত করা ছাড়াও কক্সবাজার শহরকে যানজট মুক্ত রাখতে ভোর থেকে গভীর রাত পর্যন্ত নিরলস পরিশ্রম করে সকলের প্রসংশা কুড়িয়েছেন।