• সোমবার, ০৯ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ০৫:৩১ অপরাহ্ন
সর্বশেষ খবর
কক্সবাজারের নতুন ডিসি সালাউদ্দিন আহমেদ বন্যার্তদের সেবায় নিঃস্বার্থ পেশাগত দায়িত্ব ও মানবিকতার দৃষ্টান্ত স্থাপনকারী দুই সেনা  সদস্যের সাথে সাক্ষাৎ করলেন সেনাবাহিনী প্রধান কক্সবাজারে নবাগত পুলিশ সুপারের যোগদান : ৪ থানার ওসিকে প্রত্যাহার সাংবাদিককে নির্যাতনের ঘটনায় অভিযুক্ত কর্মকর্তাকে পদায়নের পর প্রত্যাহার পরিবহন শ্রমিকদের বিক্ষোভ, চট্টগ্রাম-কক্সবাজার যান চলাচল বন্ধ সাংবাদিকতাই হচ্ছে পৃথিবীর শ্রেষ্ঠ পেশা গণভবন পরিদর্শনে তিন উপদেষ্টা কক্সবাজারে আবারও সক্রিয় হয়ে উঠেছে অপহরণকারী চক্র,অপরাধীদের শেষ কোথায়? রামু প্রেস ক্লাবর প্রতিষ্ঠা বার্ষিকী পালন জেলা প্রেসক্লাব কক্সবাজারের তৌহিদ বেলাল সভাপতি ও রফিক মাহমুদ সেক্রেটারি

প্রথম আলোর আব্দুল কুদ্দুসের পক্ষে কক্সবাজার প্রেসক্লাব ও সাংবাদিক ইউনিয়নের বিজ্ঞপ্তি:শাক দিয়ে মাছ ঢাকার চেষ্টা, জনমনে বিরূপ প্রতিক্রিয়া

নিজস্ব প্রতিবেদকঃ
আপডেট : সোমবার, ১৮ ডিসেম্বর, ২০২৩


নিজস্ব প্রতিবেদক ;


কক্সবাজারের নৌকার মনোনীত জনপ্রিয় এমপি কমলের বিজয় ঠেকাতে জোট বেঁধেছে বিএনপি জামায়াত সমর্থীত চিহ্নিত এবং সুবিধাভোগী লীগ চক্র।

সেখানে গোপনে ইন্ধন যোগাচ্ছে মাদক ঘুষ দুর্নীতি দখল-বেদখলে লিপ্ত চাঁদাবাজ চক্র।
যেভাবেই হোক তারা এমপি কমল এবং শেখ হাসিনার বিজয় ঠেকিয়ে দিতে তৎপর।
ফলে চক্রটি এমপি কমলকে নৌকার প্রতীক না দেওয়ার দেশি বিদেশি অপচেষ্টায় ব্যা্র্থ হয়ে এখন কক্সবাজারের চিহ্নিত কিছু দালাল চাটুকার,স্বাধীনতা সার্বভৌমত্ব বিরোধী এবং মাদক ও রাষ্ট্রদ্রোহীতায় লিপ্ত কথিত কিছু সাংবাদিক নেতা নামধারী বিতর্কিতদের সাইনবোর্ড হিসেবে সামনে দিয়েছে।

কক্সবাজার প্রেসক্লাব ও সাংবাদিক ইউনিয়নের বরাত দিয়ে এমপি কমলের বক্তব্য প্রত্যাহারের দাবী শিরোনামে একটি প্রেস বিজ্ঞপ্তি গণমাধ্যম ও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ভাইরাল করে সরকারি দলের সাংবাদিক পরিচয়ী কক্সবাজার প্রেসক্লাব জবর দখলে রাখা দুই সাংবাদিক সংগঠনের পক্ষ থেকে পাঠানো এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে প্রথম আলোর সিনিয়র সাংবাদিক আব্দুল কুদ্দুস রানার প্রকাশিত সংবাদের প্রতিবাদ প্রত্যখ্যান না করলে সাংবাদিক সংগঠন দুটির
সাংবাদিক সমাজ বসে থাকবে না বলে এমপি কমলের বিরুদ্ধে হুশিয়ারি দিয়েছেন।

এই অবস্থায় নির্যাতিত সাংবাদিক দৈনিক কক্সবাজারবাণীর সম্পাদক ও প্রকাশক,স্বাধীনতা স্বপক্ষীয় জাতীয় সাংবাদিক সংস্থা কেন্দ্রীয় কমিটির সিনিয়র ভাইসচেয়ারম্যান, সাংবাদিক নির্যাতন প্রতিরোধ কমিটির কক্সবাজার জেলা সভাপতি, ও বাংলাদেশ মফস্বল সাংবাদিক ফোরাম বিএমএসএফ কেন্দ্রীয় নেতা, ফরিদুল মোস্তফা খান বলেন,কক্সবাজারে আমি সাংবাদিকতা করি গত দুই যুগেরও বেশি সময় হচ্ছে।

পেশাগত কারণে মেজর সিনহা হত্যাকান্ডে মৃত্যুদন্ড প্রাপ্ত খুনি ওসি প্রদীপের সাজানো মামলা পাষবিক নির্যাতন সহ বিভিন্নবার হামলা মামলার শিকার হয়েছি।

ব্যক্তিগত স্বার্থ নিয়ে এইসব সাংবাদিক সংগঠন কোন বিপদে আমার পাশে দাড়ানি কোনদিন।
সেটা বড় কথা নয়, পুরো কক্সবাজার জেলায় যতগুলো সাংবাদিক নির্যাতনের ঘঠনা ঘটে এতে তারা গোপন সুবিধা নিয়প রহস্যজনকভাবে অপরাধীদের পক্ষে অবস্থান নেয়।

তাদের কয়েকজনের গোপন ও প্রকাশ্যে অবস্থানের কারণে কক্সবাজারে সাংবাদিক নির্যাতনের ঘঠনা বৃদ্ধির পাশাপাশি পেশাদার সাংবাদিক ও সরকারের মধ্যে দুরত্ব বাড়ছে।
সাংবাদিকদের জন্য প্রধানমন্ত্রীর কল্যান তহবিলের অনুদানও তারা প্রকৃত সাংবাদিক আমি সহ অনেককে বাদ দিয়ে নিজের পছন্দের বিত্তশালী সাংবাদিকদের বিতরন করেন।
এক জনকে একাধিকবারবা দিয়েছেন তারা।

এদের কয়কজন সাংবাদিক নেতা পরিচয়ী সুবিধাভোগী দখল বেদখল, মাদকের বেপরোয়া বানিজ্য, কক্সবাজার এলও অফিস সহ সরকারের বিভিন্ন অফিস আদালতে নজিরবিহীন দুর্নীতিতে লিপ্ত হয়ে এখন বিত্তহীন থেকে কোটিপতি বনে গেছে।

এদের কারণে কক্সবাজারের সাংবাদিক সমাজ আজ বহুভাগে বিভক্ত।
ঘুরেফিরে মুখোশপরা কিছু সাংবাদিকদের নিয়ে সংগঠিত উক্ত সাংবাদিক সংগঠনে একজন পেশাদার সম্পাদক হওয়া স্বত্তেও আমার মত একজন মানুষকে সাধারণ সদস্যও রাখা হয়নি।

সাংবাদিক ফরিদুল মোস্তফা খান আরও বলেন,এমপি কমলের বিরুদ্ধে প্রথম আলোর সাংবাদিক রানা সাহেব যে সংবাদ প্রকাশ করেছেন তার প্রতিবাদ হিসেবে কমল সাহেব যে অভিযোগ গুলো করেছেন তা গোয়েন্দা তদন্ত পূর্বক জরুরি ব্যবস্থা নিলে কক্সবজারে সাংবাদিকতার আড়ালে মাদক ঘুষ দুর্নীতিতে লিপ্ত অনেক রতী মহারতীর মুখোশ উন্মোচিত হবে।
কারণ সাংবাদিক সম্পাদক নেতা কেতা রাজা প্রজা উজির নাজির কেউ আইনের উর্ধে নয়।

এদিকে এমপি কমলের বিরুদ্ধে কক্সবাজার প্রেসক্লাব ও সাংবাদিক ইউনিয়নের পাঠানো প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে সাক্ষরকারী সহ প্রেসক্লাব ও সাংবাদিক ইউনিয়নের সকলের রাজনৈতিক পারিবারিক ব্যক্তিগত সামাজিক পরিচিতি অনুসন্ধান করে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থার পাশাপাশি তারা আগে কি ছিলেন?
এখন কি?
সাংবাদিক হয়ে এত সব সহায় সম্পদের মালিক কিভাবে বনে গেছেন তা জরুরি ভিত্তিতে খতিয়ে দেখে সকল অবৈধ সহায় সম্পদ বাজেয়াপ্ত করে আইনের আওতায় আনার দাবি জানিয়েছেন নির্যাতিত সাংবাদিক ফরিদুল মোস্তফা খান।

এমপি কমলের বিরুদ্ধে সাংবাদিক সংগঠন দুটির প্রকাশিত প্রেস বিজ্ঞপ্তি তীব্র প্রতিবাদ জানিয়ে ফেসবুকে কমেন্ট করছেন,শাহারিয়ার ইরফান।

তিনি লিখেছেন,এমপি কমল প্রথম আলোর সাংবাদিক রানা সাহেবের বিরুদ্ধে মিথ্যা কথা বলেন নাই।
কেন শুধু শুধু তিনি বক্তব্য প্রত্যাহার করবে।

বিটিভির কক্সবাজার জেলা প্রতিনিধি জাহেদ সরওয়ার সোহেলের মালিকানাধীন সরকারি অনিবন্ধিত নিউজ পোর্টাল টিটিএন নামে ফেসবুক পেইজে এমপি কমলের বিরুদ্ধে প্রকাশিত প্রেসবিজ্ঞপ্তির প্রতিক্রিয়ায় কমেন্ট করেন,মোহাম্মদ আবছার নুর, ছাইফুল ইসলাম জয়,রমজান সিকদার, মেহেদী হাসান পারভেজ, মোহাম্মদ ফরহাদ,মোহাম্মদ শাহ আলম,মাহবুব আহমেদ,সারওয়ার কামাল মাঝি,মোহাম্মদ সোহেল রানা, আইয়াজ উদ্দিন রহিম,মোহাম্মদ আরফাত সিকদার, মোহাম্মদ সরয়ার আলম,তিশা মনি,মোহাম্মদ আব্দুল্লাহ, তারেকুল ইসলাম শামিম,নুরুল হুদা নুর, হেলাল উদ্দিন, ছাইফ উদ্দিন,জাহাঙ্গীর কবির নানক,কামাল কক্স,মোহাম্মদ জাবেদ,মাহবুবর রহমান,এমডি রহিম,এমডি হাবিব,বেলাল উদ্দিন,মোহাম্মদ হোছাইন,নুরশেদ হায়দার ইমু,জসিম উদ্দিন কক্সবাজার ও ইমরান কক্স সহ অনেক সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ব্যবহারকারী টিটিএনকে ভূয়া, প্রথম আলোর সাংবাদিক আব্দুল কুদ্দুস রানা সহ প্রেসক্লাব এবং কক্সবাজার সাংবাদিক ইউনিয়নের কিছু নেতাদের নানান অপকর্মের কথা তথা দালালি এবং নানান অপকর্মের তীব্র সমালোচনা করে দেশের সংবাদ পত্র ও সাংবাদিক সমাজের উপর নিজেদের ক্ষোভ জাহির করেছেন।

নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক কক্সবাজারের কয়েকজন পেশাদার সাংবাদিক বলেছেন,প্রথম আলোর রানার পক্ষে অবস্থান নিয়ে কক্সবাজার প্রেসক্লাব ও সাংবাদিক ইউনিয়ন শাক দিয়ে মাছ ঢাকার চেষ্টা করেছেন।
সাংবাদিক সংগঠনের নাম ব্যবহার করে তারা মুখোশ পরে সরকার বিরোধী কর্মকান্ড এবং অনৈতিক কর্মকান্ড করতে পারেন না।
এতে করে সরকারের ভাবমূর্তি ক্ষুন্ন এবং স্থানীয় প্রশাসনের সাথে পেশাদার সাংবাদিকদের মনোমালিন্য সৃষ্টি হচ্ছে।
এদের কারণে কক্সবাজারের আগের অনেক ডিসি এসপি এবং প্রশাসনের কর্মকর্তারা বিপদকে পড়েছেন।
সিন্ডিকেট করে তারা সরকার আইন বিচার বিভাগের বিরুদ্ধে নানাব ষড়যন্ত্র স্ব নামে বেনামে অভিযোগ, সংবাদ সম্মেলন, মানববন্ধন, স্মারকলিপি মামলা হামলা তথ্য সন্ত্রাস সহ হরেক নাশকতা এবং রাষ্ট্রদ্রোহী কর্মকান্ডের বহু দৃষ্টতা দেখিয়ে এখনো বহাল তবিয়তে রয়েছেন বলেও অভিযোগ পাওয়া যাচ্ছে।


আরো বিভন্ন নিউজ দেখুন

ই-পেপার