নাজিম উদ্দীন কুতুবী, পেকুয়া
কক্সবাজারের পেকুয়ায় উচ্ছেদ অভিযানের পরেও বন্ধ করা যাচ্ছে না অবৈধ করাতকল। খুলে নেওয়া যন্ত্রাংশ ফের সংযোজন করে চালুর উপযোগী করা হয়েছে এসব করাতকল।
খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, গত ২৩ নভেম্বর উপজেলা প্রশাসন ও বনবিভাগ যৌথভাবে অভিযান চালিয়ে পেকুয়া বাজারের ১০ টি অবৈধ করাতকল উচ্ছেদ করে। জব্দ করা হয় করাতকলের যন্ত্রপাতি ও বিভিন্ন প্রজাতির চোরাই গাছ। এরপর থেকে করাতকল গুলোতে চোরাই গাছ চেরাই বন্ধ থাকলেও সম্প্রতি তা চালুর উদ্যোগ নেয়া হয়েছে।
বুধবার দুপুরে সরেজমিনে দেখা যায়, পেকুয়া বাজারে ইলিয়াসের মালিকানাধীন অবৈধ করাতকলের চাকাসহ যাবতীয় যন্ত্রাংশ ফের লাগানো হচ্ছে। শ্রমিকরা তোড়জোড় দিয়ে কাজ করছে। পেকুয়া বাজার এলাকায় উচ্ছেদ করা প্রতিটি করাতকল চালুর উপযোগী করা হয়েছে।
স্থানীয় বাসিন্দাদের অভিযোগ, সংরক্ষিত বনের চোরাই গাছ চেরাইয়ের জন্য অবৈধভাবে গড়ে ওঠা এসব করাতকল ফের চালুর উদ্যোগ স্থানীয় প্রশাসনের চোখের সামনেই হচ্ছে। কিন্তু তা বন্ধে উদ্যোগ নেয়া হচ্ছে না। করাতকল গুলো ফের চালু করা হলে প্রশাসনের যৌথ অভিযান বিফলে যাবে। গাছ চোর চক্রের শক্তিমত্তা দৃশ্যমান হবে।
পরিবেশবাদী সংগঠনের নেতা মাসউদ বিন জলিল বলেন, পেকুয়ার সংরক্ষিত বন উজাড়ের নেপথ্যের কারণ এসব অবৈধ করাতকল। ছোট্ট এই উপজেলায় ৩০ টি অবৈধ করাতকল স্থাপন করা হয়েছে। বন ও পরিবেশ রক্ষায় প্রশাসনের উচিত এসব করাতকল চিরতরে বন্ধ করা।
এব্যাপারে বারবাকিয়া রেঞ্জ কর্মকর্তা হাবিবুল হক বলেন, সম্প্রতি উপজেলা প্রশাসন ও পুলিশের সহায়তায় আমরা অভিযান চালিয়ে ১৪ টি করাতকল উচ্ছেদ করেছি। করাতকলের মালামাল ও গাছ জব্দ করেছি। এসব ঘটনায় আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হয়েছে। ক্রমান্বয়ে সব অবৈধ করাতকল উচ্ছেদ করা হবে। উচ্ছেদ করা করাতকল চালুর চেষ্টা করা হলে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নেয়া হবে।
পেকুয়া উপজেলার সহকারী কমিশনার (ভূমি) রূম্পা ঘোষ বলেন, উচ্ছেদ করা করাতকল গুলো পূণরায় চালুর খবর আমাদের কাছে নেই। বিষয়টি খোঁজ নেয়া হবে। অবৈধ কোন করাতকল কাউকে চালাতে দেয়া হবে না।