• শুক্রবার, ২১ মার্চ ২০২৫, ০১:২২ অপরাহ্ন
সর্বশেষ খবর
সার্চ মানবাধিকার সোসাইটি কক্সবাজার জেলা শাখার ইফতার মাহফিল ও সংবর্ধনা অনুষ্ঠান সম্পন্নযুগ্ম সচিব হলেন কক্সবাজারের ডিসি মোহাম্মদ সালাহউদ্দিনঢাকা থেকেই বাংলাদেশিদের জন্য ভিসা ইস্যু করবে অস্ট্রেলিয়াহাইকোর্টের বিচারপতি খিজির হায়াতকে অপসারণএপ্রিলের মাঝামাঝি সময়ে দেশে ফিরবেন বেগম খালেদা জিয়ারাজনৈতিক হয়রানিমূলক ৬ হাজার ২০২টি মামলা প্রত্যাহারের সুপারিশকারাহাসপাতাল এখন ইয়াবা ব্যবসায়ীদের অবকাশ কেন্দ্র, ক্যান্টিনে গলাকাটা বানিজ্যচট্টগ্রামের ভাষায় প্রধান উপদেষ্টার ভাষণে উচ্ছ্বসিত রোহিঙ্গারা ঘরে ফেরার স্বপ্নে বিভোরপ্রানঢাল অভিনন্দন ও শুভেচ্ছাপেকুয়ায় ব্যবসায়ীকে হামলার প্রতিবাদে মানববন্ধন

শহরে পতিতা ও ইয়াবা ব্যবসার নেতৃত্ব দিচ্ছেন সোহেল ও জুবাইর!

মোহাম্মদ এবাদুল্লাহ :
আপডেট : বুধবার, ৬ ডিসেম্বর, ২০২৩


মোঃ এবাদুল্লাহ :


মরণ নেশা ইয়াবার আগ্রাসন ঠেকানো যাচ্ছে না।

বিশেষ করে কক্সবাজার পৌরসভার শহরে হোটেল মোটেল জোন ও কটেজ জোনে পর্যটক ও স্থানীয় যুবকদের কে টার্গেট করে গড়ে তুলা হয়েছে মাদক সাম্রজ্য।

 

এই মাদক সাম্রজ্যের নেতৃত্ব দিচ্ছেন কামাল হোসেনের ছেলে সাহেদুল ইসলাম সোহেল ও জুবাইর।

তাদের এই ভয়াবহ মাদক বেচাঁ কেনার ফলে পর্যটকরা যেমন হয়রানি হচ্ছে তেমনি মাদক আসক্ত হয়ে পড়ছে আশে পাশের যুব সমাজ ও বিভিন্ন হোটেলে চাকুরীরত তরুণরা।

এই মাদক ব্যবসায়ী সোহেল ও জুবাইর নামে রাজত্ব কায়েম করছে কটেজ জোনে । হোটেল মোটেল তথা কটেজ জোনের মধ্যে সবচেয়ে ইয়াবা ব্যবসার মধ্যে সোহেল ও জুবাইর এক বিশাল অবস্থান করে নিয়েছে,তার খুচরা ব্যবসায় কাবু করেছে যে সব কটেজে পতিতা ব্যবসা হয় সে সব পতিতাদের কে।

 

এই জুবাইর এর বাড়ি ঘর সম্পর্কে স্পষ্ট কিছু না জানলেও,জুবাইরের পূর্ব পুরুষ ছিলো মায়ানমারের, তার বাবার দুই স্ত্রী জুবাইর ছিলো ১ম স্ত্রীর সন্তান, এবং বর্তমানে জুবাইর ২য় মার কাছে থাকে।জুবাইর ছোট্ট থাকতে লাইট হাউজ পাড়ার এক গরুর ফার্মে চাকরি করতো।কটেজ জোনের গরুর ফার্মের চাকরীর সুবাধে হোটেল মোটেল ও কটেজ জোনের অবৈধ ব্যবসা সম্পর্কে জানার ফলে, বিগত ২,৩ বছর ধরে জড়িয়ে পড়েন ইয়াবা ব্যবসায়। সে এখন কটেজ জোনের তিন রাস্তায় দাড়িয়ে প্রকাশ্যে বিক্রি করেন,(ইয়াবা আছে,মাল আছে)এসব বলে। জুবায়েরের মতন একই কায়দা সোহেল। সোহেলের সৎ বাবা কামাল হোসেনের হাতে বড় হলেও পালিয়ে বিয়ে করে এক রোহিঙ্গা মেয়ে, সেই মেয়েটা তার অপরাধ কর্মকাণ্ড দেখে একটি কন্যা সন্তান নিয়ে পালিয়েছে তার বাবার বাড়িতে, তাদের দুজনের এই মরণ নেশা ইয়াবা সেবনের জন্য মারামারি,চাদঁবাজি ও ছিনতাই সহ কটেজ জোনের নানা অপরাধ সংঘটিত হচ্ছে।

 

স্থানীয় নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক একজন ব্যবসায়ীজানান” সোহেল ও জুবাইর ইয়াবা বিক্রেতার মধ্যে শ্রেষ্ঠ,তার মত ইয়াবা সাপ্লাই এই কটেজ জোনে কেউ করে না,তার প্রতি উপরের সু নজর রয়েছে”উপর টা কে জিজ্ঞেস করা হলে ব্যবসায়ী এই বিষয়ে চুপ থাকেন,উনি আরো জানান সোহেল ও জুবাইরের একটি বড় ইয়াবা চক্র আছে, তাদের মধ্যে দিয়েও লেনদেন ইয়াবা ব্যবসা করে থাকেন।

 

হোটেল মোটেলের কিছু ব্যক্তিরা বলেন ” সোহেল ও জুবাইরে সাথে যাদের ভালো সম্পর্ক ও লেনদেন তাদের কাছ থেকে প্রতি পিস ইয়াবার দাম ৭০, থেকে ৮০ করে নেন, এবং যারা অপরিচিত ব্যক্তি তাদের কাছ থেকে প্রতি পিস ১০০ থেকে ১২০ টাকা করে নেন বলে জানান এবং মদ গাঁজা সহ নানা অপকর্ম কাজ করে আমাদের জানান “অল্প পুঁজিতে অধিক টাকা লাভের ক্ষেত্রে সোহেল ও জুবাইর পুলিশের নাকের ডগায় প্রতিনিয়ত কটেজ জোনে ইয়াবা ব্যবসা করে যাচ্ছে। কয়েকমাস আগেও কটেজ জোনে অভিযান চালিয়ে পতিতা ও ইয়াবাসহ যারা অপকর্ম সাথে জড়িত তাদের সাথে সোহেল ও জুবাইর কে গ্রেপ্তার করা হয় , কিন্তু নানা কৌশলে বের হয়ে আসেন। স্থানীয় ব্যবসায়ীরা যদি সোহেল ও জুবাইরকে আইনের কথা বললে সে তাদেরকে জবাব দেন কিসের পুলিশ,কিসের ডিবি, মাদক দ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তরের যারা প্রশাসনের লোক আছে তাদের নাকি এই সোহেল ও জুবাইর পকেটে রাখেন বলে উত্তর দেন। কিন্তু প্রতিনিয়ত কক্সবাজার টুরিস্ট পুলিশের অভিযান অব্যাহত থাকার পর ও এই ইয়াবা ব্যবসায়ীরা কেমন করে ইয়াবা ব্যবসা করে তা সচেতন মহল জানতে চাই। সোহেলের সাথে মুঠোফোন যোগাযোগ করা হলে মুঠোফোন বন্ধ থাকায় বক্তব্য নেওয়া হয়নি। জুবাইর এর সাথে মোটুফোনে যোগাযোগ করলে ,সে আমাদের বলেন আমি আগে সবকিছু করছি কিন্তু এখন কিছু করি না , কোনো ইয়াবা বা গাঁজা বা কোনো অবৈধ কার্যক্রম লিপ্ত নাই,ঠিক উল্টো তার আশপাশের লোকজন সবাই বলে জুবাইর এখনো ইয়াবা সহ আনা অপরাধের সাথে জড়িত আছে। তবে এই অবৈধ কর্মকান্ড বিষয়ে স্থানীয় সংগঠন সমবায় সমিতির নাম প্রকাশ না করা এক সদস্যের সাথে কথা হলে তিনি বলেন, শুধু দুই একজন নয় অনেকে আছে পতিতা ও নানা অপকর্মের সাথে জড়িত, তারা হচ্ছে , পতিতা তথা বেশ্যবৃত্তির দালাল ছিলেন মোঃ মাদু,লালু,জসিম,আবদুল্লাহ, ইয়াবা বিক্রি (ভাবি) ইয়াছমিন,রুপা,ছেনুআরা।দালালীর পাশা পাশি জড়িয়ে যান খুচরা ইয়াবা ব্যবসা ও পতিতা ব্যবসার সাথে।কক্সবাজারে একসময় মানব পাচার ব্যবসার ফলে অনেক অপরাধী ক্রসফায়ারে নিহত হওয়ায় এসব মানব পাচার অপরাধের মাত্রা কিছুটা কমে আসলেও,সিনহা হত্যার পর প্রশাসনিক অভিযান কমে যাওয়ার ফলে দৌরত্ন বাড়ে এসব পতিতা ও মানব পাচার ব্যবসায়ীদের। কক্সবাজারে এখন মানব পাচার ব্যবসায় এককভাবে নেতৃত্ব দিচ্ছেন পৌরসভা ১২ নম্বর ওয়ার্ডের ফাতের ঘোনা কামাল হোসেনের ছেলে সোহেল সহ মাজেদ, ফয়েজ, লোকমান, ইসমাইল, ছোট, শরীফ,

আরো অনেকে জড়িত আছে, তবে এই বিষয়ে টুরিস্ট পুলিশ ও থানা পুলিশের সাথে আলাপ-আলোচনাল করা হলে তারা জানান দ্রুত সময় তাদেরকে, আইনের আওতায় আনা হবে।


আরো বিভন্ন নিউজ দেখুন