মোঃ শহিদ
নাইক্ষ্যংছড়ি উপজেলার ঘুমধুম ইউনিয়নের বেশ’কটি সীমান্তঘেষা এলাকায় রাতে ও দিনে থেমে থেমে ক্ষুদ্র, মাঝারি ও ভারী অস্ত্র ফায়ারের শব্দ ভেসে আসে ওপার (মিয়ানমার) থেকে এপারে(বাংলাদেশ) ।
এতে স্থানীয়রা কিছুটা আতঙ্কিত হলেও দৈনন্দিন কাজ চালিয়ে যাচ্ছে স্বাভাবিকভাবে।
সীমান্ত লাগোয়া, নয়া পাড়া, জলপাইতলী, পশ্চিমকূল, বাজার পাড়া, কোনার পাড়া, মধ্যম পাড়া, উত্তর পাড়া , ভাজাবনিয়া, হেডম্যান পাড়া, বাইশপাড়ী, গর্জন বনিয়া পাড়ার বাসিন্দাদের সাথে সরেজমিনে গিয়ে কথা বলে জানা যায,মিয়ানমারের অভ্যন্তরে গুলির আওয়াজ শুনলে প্রথমে ভয় লাগতো,কিন্তু দীর্ঘদিন ধরে শুনতে শুনতে এখন ভয় কাজ করে না।
তবে বিকট কোন বিস্ফোরণের শব্দ ভেসে আসলে সীমান্ত প্রকম্পিত হওয়ার কারণে ভয় কাজ করে বলেও জানিয়েছেন সীমান্তঘেষা স্হানীয়রা।
বৃহস্পতিবার ৩০ নভেম্বর সকাল থেকে এখন পর্যন্ত সীমান্তবর্তী এলাকায় কোন ধরনের ফায়ারের শব্দ শুনা যায়নি।
গতকাল ২৯ নভেম্বর দুপুরের দিকে সীমান্ত পিলার ৩৮,৩৯’র দিকে, ও রাত ৮ টার দিকে ৩৫ পিলার উত্তর দক্ষিণের মিয়ানমার ভিতর প্রায় ২০টার অধিক ফায়ারের শব্দ এবং রাত সাড়ে ১১টার দিকে ৩৪, ৩৩ পিলার রাইট মিয়ানমার অভ্যন্তরে ভারী অস্ত্র ফায়ারের বিকট শব্দ হয়েছিল বলে স্হানীয় সরোয়ার কামাল, নুরুল আবছারসহ কয়েকজনের বরাদে জানা গেছে।
ঘুমধুম ইউপি চেয়ারম্যান একে এম জাহাঙ্গীর আজিজের কাছে জানতে চাইলে তিনি বলেন,মিয়ানমার থেকে যখন বিকট কোন বিস্ফোরণের শব্দ ভেসে আসে তখন এপারের বাসিন্দাদের কিছুটা ভয় কাজ করে। এদিকে সীমান্তবর্তী স্হানীয়দের সীমান্তের জিরো লাইনের কাছাকাছি না যাওয়ার জন্য চৌকিদার ও ইউপি সদস্যদের মাধ্যমেও নিষেধ করা হয়েছে বলেও জানিয়েছেন চেয়ারম্যান একে এম জাহাঙ্গীর আজিজ।
কক্সবাজার ৩৪ বিজিবির অধিনায়ক কর্ণেল মোহাম্মদ সাইফুল ইসলাম চৌধুরীর সাথে মুঠোফোনে যোগাযোগ করা হলে তিনি বিষয়টি নিশ্চিত করে বলেন,আতঙ্ক বা ভয়ের কোন কারণ নেই।এগুলো মিয়ানমারের অভ্যন্তরীন বিষয়। পূর্বের ন্যায় সীমান্তে বিজিবির টহল জোরদার আছে এবং অনুপ্রবেশ ঠেকাতে সীমান্তের দায়িত্বরত বিজিবি কঠোর অবস্থানে রয়েছে বলেও জানিয়েছেন বিজিবির এ কর্মকর্তা।