• শনিবার, ১৪ জুন ২০২৫, ০১:৩৩ পূর্বাহ্ন
সর্বশেষ খবর
কক্সবাজারে রামুর শীর্ষ ডাকাত শাহীন গ্রেফতার: সীমান্তে চাঁদাবাজি ও সন্ত্রাসের অবসানআশরাফ অর্জনে আলো ঝলমল এক পরিবার: ১৮তম NTRCA পরীক্ষায় “আরবি প্রভাষক পদে সুপারিশপ্রাপ্তমহেশখালীতে আধুনিকতার ছোঁয়ায় বদলে গেছে হাসপাতালে স্বাস্থ্য সেবাঅবশেষে কক্সবাজার থানায় সংবাদকর্মীর উপর হামলার ঘটনায় আদালতে মামলাঅফিস বন্ধের আগে প্রিপেইড মিটারে রির্চাজ করা ও জুনের মধ্যে বকেয়া বিল আদায়ের আহবান কক্সবাজার বিদ্যুৎ অফিসেরবাল্যবিবাহ প্রতিরোধে সচেতনতামূলক নাটক অনুষ্ঠিতযুবদের নিয়ে নাগরিক সাংবাদিকতা ও প্রচারণা বিষয়ক প্রশিক্ষণ সম্পন্নঅপরাধ দমনে কক্সবাজারের শ্রেষ্ঠ ওসি ইমন কান্তি চৌধুরীফরিদুল মোস্তফার ৬ মিথ্যা মামলা প্রত্যাহার চাই বিএমএসএফভুলন্ঠিত মানবতা বিচারের বাণী নিভৃতে কাঁদে ৬ বছরেরও প্রত্যাহার হয়নি নির্যাতিত সাংবাদিক ফরিদুলের ৬ মিথ্যা মামলা, পুলিশী ষড়যন্ত্রে আটকে আছে পাসপোর্ট

জেটি ঘাটে ভাঙন, ঝুঁকি নিয়ে পারাপার

নাজিম উদ্দিন:পেকুয়া
আপডেট : মঙ্গলবার, ২৮ নভেম্বর, ২০২৩


নাজিম উদ্দিন কুতুবী,পেকুয়া


কক্সবাজারের দ্বীপ উপজেলা কুতুবদিয়া থেকে পেকুয়া যাতায়াতের একমাত্র জেটি ঘাটের বিভিন্ন অংশ ভেঙে পড়ায় নদী পারাপার ঝুঁকিপূর্ণ হয়ে ওঠেছে। এতে দুর্ভোগে পড়েছেন সাধারণ মানুষ।

খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, ১৯৯০ সালের দিকে কুতুবদিয়ায় যাত্রী পারাপারের জন্য পেকুয়া উপজেলার মগনামা ইউনিয়নে জেটিঘাটটি স্থাপন করে পানি উন্নয়ন বোর্ড। ২০০৪ সালে চ্যানেলের চরে জেগে ওঠা অংশে জেটি ঘাটটির বাড়তি অংশ সম্প্রসারণ করা হয়। তখন মূল ভূখণ্ড থেকে দীর্ঘ জেটি স্থাপনের পাশাপাশি সীমানায় স্থাপন করা হয় প্লাটফর্ম। উনিশ বছর ধরে এ জেটি ঘাট দিয়ে স্বাচ্ছন্দ্যে নদী পারাপার করেছে মানুষ। কুতুবদিয়া উপজেলার তিন লাখ মানুষের যাতায়াতের অন্যতম পথ এই ঘাট। প্রতিবছর এটি ইজারা দিয়ে বিপুল রাজস্ব আদায় করেছে সরকার। চলতি অর্থবছরে মগনামা থেকে বড়ঘোপ ঘাট ২ কোটি ৬৫ লাখ, দরবার ঘাট ১ কোটি ৫০ লাখ ও মগনামা জেটি ঘাট ৭০ লাখ টাকায় ইজারা দেয়া হয়েছে।

স্থানীয় বাসিন্দাদের অভিযোগ, প্রতিবছর ৪-৫ কোটি টাকা রাজস্ব আয় করে দিলেও বরাবরই উপেক্ষিত এ জেটি ঘাট। দীর্ঘদিন ধরে ঘাটের বিভিন্ন অংশ ভেঙেচুরে পড়ে থাকলেও সংস্কারের উদ্যোগ নেয়া হচ্ছে না। ঘাটের বাতিগুলো বেশিরভাগ অকেজো হয়ে গেছে।

সরেজমিনে দেখা যায়, জেটি ঘাটের প্লাটফর্ম ও মূল পথের আটটি অংশে রেলিং ভেঙে বিলীন হয়ে গেছে। ঘাট থেকে নৌযানে উঠানামার সিঁড়ির ইট সুরকি খসে পড়ে বড় বড় গর্তের সৃষ্টি হয়েছে। দুর্ঘটনা এড়াতে সাধারণ মানুষজন ঘাটে সাবধানে পা ফেলছে। ঘাটের চারটি সিড়ির তিনটিতেই এমন গর্ত রয়েছে। ঝুঁকি নিয়ে প্রতিদিন ৪-৫ হাজার মানুষ এ ঘাট ব্যবহার করছে।

কুতুবদিয়া উপজেলার বাসিন্দা নাজিম উদ্দীন বলেন, মগনামা ঘাট দ্বীপ উপজেলা কুতুবদিয়া থেকে সারাদেশে যাতায়াতের সহজ পথ। কিন্তু ঘাটের এ বেহাল দশা আমাদের চলাচলকে ঝুঁকিপূর্ণ করে তুলছে। রেলিং ধ্বসে পড়ায় যাত্রীদের চলাচল অরক্ষিত হয়ে পড়েছে। এতে মানুষ নদীতে পড়ে যাওয়ার ঝুঁকি আছে। তাছাড়া সিঁড়ির গর্তে আটকে আহত হবার ঝুঁকি আরো প্রবল। প্রতিদিন ছোট-বড় দুর্ঘটনা ঘটেছে। ঘাট ব্যবহারে নারী-শিশুদের বেশি দুর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে। প্রতিবারই আমরা নির্ধারিত টোল দিয়ে ঘাট পারাপার করি। তাই, জেটি ঘাটটি দ্রুত সংস্কার দাবি করছি।

মগনামা লঞ্চঘাট পরিচালনায় নিয়োজিত ইজারাদার নুরুল ইসলাম বলেন, জেটি ঘাট সংস্কারের জন্য আমরা জেলা ও উপজেলা প্রশাসনকে একাধিকবার অনুরোধ করেছি। কিন্তু এব্যাপারে তাদের কোন উদ্যোগ দৃশ্যমান নয়।

এব্যাপারে কক্সবাজার পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী আসিফ আহমেদ বলেন, জেলা বা উপজেলা প্রশাসন আমাদের লিখিতভাবে জানালে ঘাট সংস্কারের ব্যবস্থা নেয়া হবে।

কক্সবাজারের অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (রাজস্ব) জাহিদ ইকবাল বলেন, নদী পারাপারে মানুষের দুর্ভোগ লাঘবে দ্রুত জেটি ঘাটটি সংস্কার করা হবে।


আরো বিভন্ন নিউজ দেখুন