বার্তা পরিবেশক

রামুর ঈদগড়-ঈদগাঁও সড়কের পানেরছড়া ঢালায় যুবক অপহরণ করেছে সশস্ত্র ডাকাত দল। অপহরণের শিকার যুবকরা হলেন- রামুর ঈদগড় ইউনিয়নের ১নং ওয়ার্ডের ধুমছাকাটা গ্রামের সৌদি প্রবাসী মো. ওসমানের ছেলে টমটম চালক মো. তারেক ও একই ইউনিয়নের ৮নং ওয়ার্ডের ছগিরাকাটা গ্রামের মৃত দানু মিয়ার ছেলে শহিদুল ইসলাম।

এদের মধ্যে শহিদুল ইসলাম কৌশলে সশস্ত্র অপহরণকারি চক্রের কবল থেকে পালিয়ে আসতে সক্ষম হয়েছেন। মঙ্গলবার রাতে এ রিপোর্ট লেখাকালীন অহরণের শিকার টমটম চালক মো. তারেক আটকে রেখে মুক্তিপণ দাবি করছে বলে জানা গেছে।

মো. তারেকের মা হুসনে আরা বেগম বিষয়টি স্বীকার করে জানান- অপহরণকারিরা তার মোবাইলে ফোনে কল করে ৩ লাখ টাকা মুক্তিপন দাবী করছে। কিন্তু এত টাকা দেয়ার সামর্থ্য তার নেই। এ কারণে তিনি ছেলেকে উদ্ধারের জন্য আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন।

জানা গেছে, সোমবার, ২০ নভেম্বর রাত সাড়ে ১১ টার দিকে টমটম চালক মো. তারেক ঈদগাঁও বাসষ্টশন থেকে ৪ জন যাত্রী নিয়ে ঈদগড় রওনা দেন। পথিমধ্যে ঈদগড়-ঈদগাঁও সড়কের পানেরছড়া ঢালায় পৌঁছলে সশস্ত্র ডাকাতদল অস্ত্রের মুখে গাড়ীটি থামিয়ে যাত্রীদের দেহ তল্লাশি করে নগদ টাকা মোবাইল কেড়ে নেয়। এসময় ডাকাতদলটি গাড়িতে থাকা মো. তারেক ও শহিদুল ইসলামকে অপহরণ করে পাহাড়ি অরণ্যে নিয়ে যান।

এর মধ্যে মঙ্গলবার ভোরে অপহরণের শিকার শহিদুল ইসলাম অপহরণকারি চক্রের কবল থেকে কৌশলে পালিয়ে লোকালয়ে চলে আসেন। শহিদুল ইসলাম দৈনিক কক্সবাজার কে জানান- অপহরণকারিরা তাদের দুইজনকে গহীন জঙ্গলে নিয়ে যায়। সেখানে তাদের বেঁধে রেখে সারারাত মারধর করে। ভোর রাতে ডাকাতদল স্থান পরিবর্তন করে তাদের অন্য জায়গায় নিয়ে যাওয়ার সময় কৌশলে দৌঁড়ে আত্মগোপনে চলে যান তিনি। পরদিন ভোরের আলোতে তিনি লোকালয়ে আসতে সক্ষম হন।

ঈদগড় পুলিশ ক্যাম্পের ইনচার্জ এসআই মনির উদ্দীন জানান- অপহরণের সংবাদ পাওয়ার পর থেকে পাহাড়ি অরণে অভিযান চালানো হচ্ছে। অপহৃতদের উদ্ধারের চেষ্টা চলছে। তিনি আরো জানান- সকাল ৮ টা থেকে রাত ৮ টা পর্যন্ত ঈদগড়-ঈদগাঁও সড়কের পানেরছড়া ঢালায় পুলিশ ডিউটিতে থাকে। তাই এ সময়ের মধ্যে সকলকে যাতায়াত করতে হবে। বিশেষ প্রয়োজনে রাত ৮ টার পর কারো চলাচল করতে হলে পুলিশ কে জানালে তখনও পুলিশ অতিরিক্ত নিরাপত্তা দেবে।