ডা.মুহাম্মদ মাহতাব হোছাইন মাজেদ
জেলা আওয়ামীলীগে সাংগঠনিক সম্পাদক অগ্নিকন্যা নাজনীন সারওয়ার কাবেরী একজনে কক্সবাজার সদর রামু এবং উখিয়া টেকনাফ আসন সহ ২ আসনে নৌকার মনোনয়নে এমপি হওয়ার সখ এবং মনোনয়ন ক্রয় করে জমা দেওয়ার বিষয়ে স্থানীয় জনমনে বিরূপ প্রতিক্রিয়া সৃষ্টি হয়েছে।
এমপি হওয়ার জন্য বিভিন্ন সময় নিজের মায়ের পেটের বড় ভাই কক্সবাজার সদরের জনপ্রিয় এমপি কমলের বিরুদ্ধে নানান আপত্তিজনক মন্তব্য করে কমল শক্রদের মন জয় করা উক্ত মানবিক নেত্রীর এই লোভ চাহিদার কারণে রাতারাতি তাহার জনপ্রিয়তায় ধ্বস নেমে এসেছে।
বিষয়টি স্থানীয় সাধারণ জনগন কাবেরী ম্যাডামের অতিরিক্ত লোভ চাহিদা হিসেবে মনে করে অনেকেই প্রতিবেদককে জানান,সময় সুযোগ পরিস্থিতি বুঝে অন্যায়ের প্রতিবাদ করে ফেসবুক লাইভের মাধ্যমে বিশ্ব পরিচিত কাবেরী ম্যাডাম অনেকটা নিজের অদুরদর্শিতা এবং ভূল সিদ্ধান্তের পরিচয় দিয়েছেন।
আওয়ামিলীগের জন্য একজন নিবেদিত কর্মী হিসেবে তিনি দলীয় সভানেত্রীর কাছে অবশ্যই মনোনয়ন চাইতে পারেন।তবে তার মানে এই নই যে আসন গুলোতে প্রতিদ্বন্দ্বীতা করার জন্য তিনি প্রার্থী হয়েছেন,সেখানকার কোন আসনেই সুস্থ ভোট হলে তিনি এমপি হওয়া তো দুরের কথা জামানত পর্যন্ত হারাবেন।
কক্সবাজার জেলা এবং উখিয়া টেকনাফ উপজেলা আওয়ামীলীগ ও বিভিন্ন অঙ্গসংগঠনের বেশ বিছু নেতা জানান,উখিয়া টেকনাফে নাজনীন সারওয়ার কাবেরীর স্থায়ী অস্থায়ী কোন বসত বাড়ি এমনকি স্থায়ী দাড়াবার জায়গাও নেই।
এই দুই উপজেলায় নির্যাতিত সাংবাদিক ফরিদুল মোস্তফা সহ দলের অনেক সাহসি এবং বাঘা বাঘা নৌকার মনোনয়ন প্রত্যাশী থাকতেও নাজনীন সারওয়ার কাবেরীর মনোনয়ন চাওয়া রীতিমতো হাস্যকর ব্যাপার হয়ে দেখা দিয়েছে।
এতে করে জাতির কাছে স্পষ্ট হয়ে উঠেছে, কাবেরী ম্যাডামরা রাজনীতি করেন পদ পদবী এবং এমপি হওয়ার জন্য।
আওয়ামীলীগের গত ১৫ বছরের শাসনামল এবং মাদক নির্মূলের নামে ওসি প্রদীপ-বদি সিন্ডিকেটর বেপরোয়া মাদক সেবন ব্যবসা বিচার বহির্ভূত মানুষ হত্যা ও জুলুম নির্যাতন করে সরকার বিরোধী কর্মকান্ডের সময় মিডিয়া কোটায় নৌকার মনোনয়ন প্রত্যাশী নির্যাতিত সাংবাদিক মজলুম জননেতা একমাত্র ফরিদুল মোস্তফা খান ছাড়া কাবেরী সহ অন্য কোন এই আসনের এমপি প্রার্থীদের প্রতিবাদ চোখে পড়ে নি।
তারা সেই সময় সকলেই নীরব ছিলেন।
কেউ কেউ উল্টো নিজেদের স্বার্থ এবং আত্মীয় স্বজনদের বাচাতে তথা নিজেদের পেট আর পিঠ সামলাতে গোপনে প্রকাশ্যে প্রদীপ সিন্ডিকেটের দালালি করেছে।
মেজর সিনহা হত্যা কান্ডের পর নাজনীন সারওয়ার কাবেরী আকষ্মিকভাবে লাইভে এসে সেই সময়ের অন্যায়ের প্রতিবাদ করলেও তিনি সত্যিকার সাহসি এবং মানবিক নেত্রী হলে অন্যায়ের প্রতিবাদ করার কারণে জেল জুলুমের শিকার নির্যাতিত সাংবাদিক ফরিদুল মোস্তফা খানের ঘটনার আগেও পরে চুপচাপ ছিলেন।
অথছ,উখিয়া টেকনাফের মানুষ এবং সরকারের ভাবমূর্তির কথা চিন্তা করলে তিনি গত ১৫ বছর আওয়ামিলীগ নেতা কর্মীদের উপর বদি চক্রের জুলুম নির্যাতন এবং প্রদীপদের অন্যায় অত্যাচারের প্রতিবাদ অথবা জননেত্রী শেখ হাসিনার ব্যক্তিগতভাবে দেখা করে একটা ব্যবস্থা নিতে পারতেন।
এতে করে মেজর সিনহা হত্যাকান্ডের মত একটা নজিরবিহীন খুনের ঘটনা এবং সাংবাদিক নির্যাতনের ঘটনা অন্তত ঘটতো না।
মিডিয়া কোটায় নৌকার মনোনয়ন প্রত্যাশী নির্যাতিত সাংবাদিক ফরিদুল মোস্তফা খান জানান,উখিয়া টেকনাফে এবার আমাকে বিনা পয়সায় নৌকার মনোনয়ন না দিলে তা দুর্বলের উপর সবলের জুলুম এবং মনে করতে হবে সরকার সত্যিকার অর্থে টেকনাফ কক্সবাজারের মাদক ঘুষ দুর্নীতি মুক্তি চায় না।
বাংলাদেশ আওয়ামী সাংস্কৃতিকলীগের কেন্দ্রীয় প্রেসিডিয়াম সদস্য স্বাধীনতা স্বপক্ষীয় জাতীয় সাংবাদিক সংস্থার কেন্দ্রীয় সিনিয়র ভাইস চেয়ারম্যান,বাংলাদেশ মফস্বল সাংবাদিক ফোরাম (বিএমএসএফ) কেন্দ্রীয় নেতা এবং সাংবাদিক নির্যাতন প্রতিরোধ কমিটি কক্সবাজার জেলা শাখার সভাপতি জনপ্রিয় দৈনিক কক্সবাজারবাণী সম্পাদক ফরিদুল মোস্তফা খান আরও বলেন,নুন্যতম কোন বিবেকবোধ থাকলে উখিয়া টেকনাফে দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে কেউ আমার বিরুদ্ধে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করবেন না।
কারণ উখিয়া টেকনাফবাসীর বিপদে আপদে হাতে কলমে মুখে যেভাবেই পারি আমি ছাড়া এই আসনের বর্তমান এমপি প্রার্থীদের কেউই এগিয়ে আসেন নি।
খোজ নিয়ে দেখেন,ইতিহাস বারবার তাই প্রমান করবে।
অন্যায়ের প্রতিবাদ ও সেখানকার মানুষের জানমাল রক্ষা ও সরকারের ভাবমূর্তি উজ্জ্বল করার জন্য একের পর এক সংবাদ পরিবেশন করে বুকের তাজা রক্ত দিয়ে আমি ৬ টি সাজানো মামলায় টানা ১১ মাস ৫ দিন জেল কেটেছি।
সেটা বড় কথা নয়,দেশের স্বাধীনতা সার্বভৌমত্ব রক্ষা এবং রাষ্ট্রদ্রোহীদের বিরুদ্ধে লেখালেখি ও আন্দোলন সংগ্রাম করে এর আগেও আমি অনেক হামলা মালার শিকার হয়েছি।
এই প্রতিবেদককে বরেণ্য সাংবাদিক নেতা কারা নির্যাতিত ফরিদুল মোস্তফা খান আরও বলেন,কক্সবাজারের রাজনৈতিক বর্নাঢ্য পরিবারের অগ্নিকন্যা নাজনীন সারওয়ার কাবেরী আপাকে তার ভাল কাজের প্রতিদান স্বরুপ মাননীয় প্রধানমন্ত্রী চাইলে সংরক্ষিত মহিলা আসনের এমপি বানানো কোন বিষয় নই।এবং তাকে নৌকার মনোনয়ন না দিয়ে অন্য কোনভাবে যথাযথ মূল্যায়ন করা প্রয়োজন বলে আমি মনে করি।