• শনিবার, ১৪ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ০৪:৩৩ অপরাহ্ন
সর্বশেষ খবর
কক্সবাজারে পাহাড় ধস : পৃথক ঘটনায় মা-শিশুসহ ৬ জনের মৃত্যু বৃষ্টি বিপর্যস্ত কক্সবাজার,হোটেল কক্ষে বন্দি পর্যটকরা; পাহাড় ধসে দুই পরিবারের ছয়জনের মৃত্যু এখন থেকে কক্সবাজারে কোনো পুলিশকে ঘুষ দিতে হবে না: নবনিযুক্ত এসপি কুতুবদিয়ার শীর্ষ ডাকাত শাহরিয়া অস্ত্র সহ আটক ১০ম গ্রেডে বেতনের দাবীতে কক্সবাজার সার্ভে ডিপ্লোমা ইঞ্জিনিয়ারদের স্মারকলিপি প্রদান হুইপ কমলের বিরুদ্ধে মিথ্যা তথ্য প্রচার না করার দাবী অনুসন্ধানী সাংবাদিকতায় স্বর্ণপদকসহ চার সাংবাদিককে সম্মাননা দিবে বনেক ত্রিশালে অন্তঃসত্ত্বা নারীর ওপর হামলা কক্সবাজারের নতুন ডিসি সালাউদ্দিন আহমেদ বন্যার্তদের সেবায় নিঃস্বার্থ পেশাগত দায়িত্ব ও মানবিকতার দৃষ্টান্ত স্থাপনকারী দুই সেনা  সদস্যের সাথে সাক্ষাৎ করলেন সেনাবাহিনী প্রধান

সাবেক মন্ত্রী পরিষদ সচিব শফিউল এমপি হলে উখিয়া টেকনাফের অবস্থা আরো বেহাল হবে: দুর্নীতিবাজ গুনধর স্বজনরা এখনও বহাল তবিয়তে 

ফরিদুল মোস্তফা খানঃ
আপডেট : বুধবার, ২২ নভেম্বর, ২০২৩

ফরিদুল মোস্তফা খান :


এমপি ছিলেন না।

ছিলেন রাষ্ট্রের সর্বোচ্চ সরকারি কর্মকর্তা মন্ত্রী পরিষদের সচিব।

তাই গত ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে পুলিশ দিয়ে পিটিয়ে নিজের ভাই উখিয়া উপজেলার হলদিয়া পালং ইউনিয়নের চেয়ারম্যান শাহ আলামকে নৌকায় ভোট পাইয়ে দিয়ে শুধু ইউপি চেয়ারম্যান করেন নি সাবেক মন্ত্রী পরিষদ সচিব শফিউল আলম।

মন্ত্রী পরিষদ সচিবের মত রাষ্ট্রীয় গুরুত্বপূর্ণ চেয়ারে বসে তিনি উখিয়া টেকনাফে ওসি প্রদীপদের বিচার বহির্ভূত মানুষ হত্যা করে জনমনে সরকারের বিরুদ্ধে বিরুপ প্রতিক্রিয়ার সময় দেশের স্বাধীনতা সার্বভৌমত্ব এবং ক্ষমতাসীন আওয়ামীলীগের ভাবমূর্তি রক্ষার স্বার্থে টেকনাফ কক্সবাজারের সাধারণ মানুষের উপর ঘটে যাওয়া জুলুম নির্যাতনের প্রতিবাদও করেন নি।

সেই সময় রহস্যজনক কারণে তিনি  তার পরিবারের অসৎ সদস্যদের কৌসলে রক্ষা করে রহস্যজনক নীরবতা পালন করেছিলেন।

একারণে মাদক নির্মূলের নামে নিজেরাই বেপরোয়া মাদক সেবন এবং ব্যবসায় জড়িত মাদক সিন্ডিকেট

উখিয়া টেকনাফে একের পর এক খুন গুম হামলা মামলা চালিয়ে দু উপজেলার অনেক অসহায় মানুষকে নিঃস্ব করে দিয়েছেন।

অভিনযোগ উঠেছে মন্ত্রী পরিষদের সচিব থাকা কালে তাহার ক্ষমতার অপব্যবহারে শফিউল আলমের আত্মীয় স্বজনদের অনেকেই এখন বিত্তহীন থেকে কোটিপতি।

 

কক্সবাজার জেলা এবং উখিয়া আওয়ামিলীগের নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক কয়েকজন সিনিয়র রাজনীতিবীদ জানিয়েছেন,শতভাগ সৎ হলে সাবেক মন্ত্রী পরিষদ সচিব আগে তার পরিবারে ন্যায় বিচার করতেন।

 

সরকারি দায়িত্বের চেয়ারে বসে তিনি ইচ্ছে করলে টেকনাফ কক্সবাজারের চলমান মাদক ঘুষ দুর্নীতি কিছুটা হলেও কমাতে পারতেন।

 

টেকনাফ কক্সবাজারের বাদ দিন,তার জন্মস্থান উখিয়া উপজেলাবাসীর জন্যও তিনি উল্লেখিত কিছু করেন নি।

 

তার জন্মভূমিটি এখনও মাদক ও সন্ত্রাসীদের স্বর্গরাজ্য।

দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে এমন একজন মানুষকে ভূল করে দলীয় সভানেত্রী, মানবতার মা শেখ হাসিনা এবং আওয়ামিলীগের মনোনয়ন বোর্ড যদি নৌকা প্রতীক দিয়ে তাকে এমপি বানান।

তাহলে শফিউল আলম এমপি হবেন ঠিক। কিন্তু উখিয়া টেকনাফবাসী এবং ক্ষমতাসীন আওয়ামীলীগের কিছুই হবে না।

তিনি অতীতের মতই শুধু নিজেদের পেট আর পিট নিয়ে মাদক সম্রাট আব্দুর রহমান বদিদের চেয়ে আরও যে ভয়ংকর একটা কিছু হবেন না তার কোন নিশ্চয়তা নেই।

জানা গেছে, উক্ত শফিউল আলম মন্ত্রী পরিষদের সচিব থাকা কালে পুলিশ দিয়ে পিটিয়ে নৌকায় ভোট নেয়ার ঘোষণা দেয়া  তার ভাই কক্সবাজারের উখিয়া উপজেলার হলদিয়া পালং ইউনিয়নের চেয়ারম্যান শাহ আলমের বিরুদ্ধে তখন সরকারী ত্রাণ বিক্রীর অভিযোগ উঠেছিল।

 হলদিয়া পালং ইউনিয়নের চেয়ারম্যানের বাসবভন ও তার বাসার সামনের ডায়বেটিক হাসপাতালে অভিযান চালালে অনেক সরকারী ত্রাণ উদ্ধার হবে বলে জানিয়েছিলেন খোদ ঐ পরিষদের ৫ জন সদস্য।

তারা দ্রুত চেয়ারম্যানের বাসায় অভিযান পরিচালনা করার দাবি জানিয়ে সেই সময়। কক্সবাজার প্রেসক্লাবে সংবাদ সম্মেলন করেন।সেখানে স্থানীয় ৫ জন ইউপি সদস্য এই অভিযোগ করে বলেন, এই চেয়ারম্যানের অবৈধ সম্পদের পরিমান তদন্ত করতে দূর্নীতি দমন কমিশনের কাছে লিখিত অভিযোগ করেছেন তারা।

 

কক্সবাজার প্রেসক্লাবে অনুষ্ঠিত উক্ত সংবাদ সম্মেলন করেন হলদিয়া পালং ইউনিয়নের ইউপি সদস্য জয়নাব বেগম লিপি, শাহাজাহান চৌধুরী, মোঃ মোক্তার, রফিক আহম্মদ ও ফজল করিম।

এ সময় ইউপি সদস্যগণ অভিযোগ করেন ২০১৬ সালের ৪ জুনের নির্বাচনে তিনি কিভাবে নির্বাচনকে কলংকিত করে  চেয়ারম্যান নির্বাচিত হয়েছেন তা  সারাদেশের মানুষ জানেন।

ইতিহাস কলংকিত করে নির্বাচিত হওয়ার পর থেকে চেয়ারম্যান শাহ আলম হলদিয়া পালং ইউনিয়ন পরিষদে দূর্নীতিরও ইতিহাস রচনা করেছেন।

ইউপি সদস্যরা আরো অভিযোগ করেন হলদিয়াপালং ইউনিয়নের ভিজিডি, ভিজিএফ, বয়ষ্কভাতা, বিধবা ভাতা, পঙ্গু ভাতা, সরকারী প্রজেক্ট, ঠিকাদারি ও এনজিওর বিভিন্ন বরাদ্দ নিয়ে চেয়ারম্যান দূর্ণীতি ও অনিয়ম করে আসছেন দীর্ঘদিন ধরে।

 

তারা আরও জানিয়েছিলেন, রোহিঙ্গা আসার কারণে মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশ অনুযায়ী হোস্ট কমিউনিটির জন্য যে বরাদ্দ দেয়া হয় ও এনজিওরা যেসব সহযোগিতা করে আসছে তা  চেয়ারম্যান শাহ আলম নিজস্ব ব্যাক্তিগত সহযোগিতার নামে বিতরণ করে সরকারের সাথে প্রতারনা করছেন।

জনগনকে বিভ্রান্ত করছেন।

দূর্নীতি করার জন্য চেয়ারম্যান এইসব এনজিওর সহযোগিতার সাথে আমাদের ইউপি সদস্যগনকে কোন দিন সম্পৃক্ত করা হয়নি।

এনজিওর বিভিন্ন ত্রাণ ও সহযোগিতা পরিষদে না এনে চেয়ারম্যান নিজ বাসায় নিয়ে বিতরণ করছেন বলে দাবি করেন তারা।

এইসব ত্রাণ কোথায় যায় বা কাকে দেয়া হয় তার কোন হিসাব আমরা পরিষদের কেউ জানিনা।

তিনি এসব ত্রাণ শুধু মাত্র ব্যক্তিগত লোক ও  আত্মীয়স্বজনের মাঝে বিতরণ করে আসছেন।

ইউপি সদস্যগণ সেই সময় অভিযোগ করেছিলেন, হলদিয়া পালং ইউনিয়নের চেয়ারম্যান শাহ আলম অধিকাংশ ওয়ার্ডের ভিজিডি, ভিজিএফ, বয়স্ক ভাতা, বিধবা ভাতা ও পঙ্গু ভাতা বিতরণে অনিয়ম, স্বজনপ্রীতি ও দুর্নীতিতে জড়িত।

 চেয়ারম্যান শাহ আলম টাকার বিনিময়ে ও নিজের আত্মীয় স্বজনদের ভিজিএফ কার্ড দিচ্ছেন।

এতে ওয়ার্ড পর্যায়ের সাধারণ মানুষ সরকারের ভিজিডি ত্রাণ থেকে বঞ্চিত হচ্ছে।

চেয়ারম্যান শাহ আলম বা তার মনোনীত ব্যাক্তি দিয়ে হলদিয়া পালং ইউনিয়নে ভিজিডি, ভিজিএফ, বয়স্ক ভাতা, বিধবা ভাতা ও পঙ্গু ভাতা বিতরণে বিভিন্ন মানুষ থেকে টাকা আদায় করা হচ্ছে।

 চেয়ারম্যান মনোনিত ব্যক্তিদের টাকা না দিলে কোন ব্যাক্তি সরকারি সহযোগিতা পাচ্ছেনা।

এতে করে প্রকৃত বয়স্ক, বিধবা, পঙ্গু ও গরীব অসহায় মানুষরা বঞ্চিত হচ্ছে।

সাংবাদিক সম্মেলনে জনপ্রতিনিধিরা আরো অভিযোগ করেন, শাহ আলম হলদিয়া পালং ইউনিয়নের চেয়ারম্যান হওয়ার পর থেকে এই ইউনিয়নে যতো ধরনের সরকারি প্রজেক্ট বা বরাদ্দ এসেছে তার প্রত্যেকটিতে দূর্নীতি অনিয়ম করে টাকা আত্মসাৎ করেছেন।

 হলদিয়া পালং ইউনিয়নের এখন অঘোষিত চেয়ারম্যান হলো শাহ আলমের শ্যালক বিএনপি নেতা মনির আহম্মদ।

 মনির আহম্মদই এখন হলদিয়া পালং ইউনিয়ন পরিষদের রাজা।

এই পরিষদের সকল কাজ/টেন্ডার/ প্রজেক্টে চেয়ারম্যান শাহ আলমের শ্যালক মনির আহমেদ নিজে নামে বেনামে করে সরকারি টাকা আত্মসাৎ করে আসছেন।

 মনির আহমেদের নেতৃত্বে হলদিয়া পালং ইউনিয়নের সাধারণ জনগন থেকে শুরু করে আমরা ইউপি সদস্যদেরও হুমকি ধমকি দিয়ে জিম্মি করে রেখেছেন।

চেয়ারম্যান শাহ আলম সাবেক মন্ত্রী পরিষদ সচিব জনাব শফিউল আলমের ছোট ভাই হওয়ায় বিভিন্ন সরকারি ও এনজিও কর্মকর্তাদের হুমক-ধমকি ও ভয়-ভীতি দেখিয়ে আসছেন।

চেয়ারম্যান তার ভাই সাবেক মন্ত্রী পরিষদের সচিব শফিউল আলমের নাম ব্যবহার করে আমরা ইউপি সদস্যদেরও বিভিন্ন মামলায় জড়িয়ে হয়রাণি করছেন। আমাদের বিভিন্ন মামলায় ফাঁসানোর হুমকি ধমকি ও ভয়ভীতি প্রদর্শন করে আসছেন।

সংরক্ষিত ইউপি সদস্য জয়নাব বেগম লিপি ও ফজল করিম অভিযোগ করেন চেয়ারম্যান শাহ আলম ইউনিয়ন পরিষদের অধিকাংশ কাজে আমদের  সীল-স্বাক্ষর জালিয়াতি করে দুর্নীতি ও অনিয়ম করে আসছেন।

বিগত পাঁচ (৫) বছরে হলদিয়াপালং ইউনিয়নের প্রত্যেকটি প্রকল্পে সুষ্ঠু তদন্ত করলে চেয়ারম্যানের দুর্নীতির প্রমাণ পাওয়া যাবে।

চেয়ারম্যান শাহ আলম, তার শ্যালক মনির আহম্মদ ও তাদের পরিবারের চেয়ারম্যান নির্বাচনের আগের ও বর্তমান সম্পদের তথ্য তদন্ত করলে দুর্নীতির প্রমাণ পাওয়া যাবে।

এজন্য আমরা দূর্নীতি দমন কমিশন, স্থানিয় সরকার মন্ত্রনালয়, কক্সবাজারের জেলা প্রশাসক ও উখিয়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা সহ ১২টি সরকারী দপ্তরে লিখিত অভিযোগ প্রদান করেছি।

ইউপি সদস্যগন হলদিয়া পালং ইউনিয়নের সাধারণ মানুষের কাছে সরকারি ত্রাণ পৌঁছাতে ও বর্তমানে চলমান ভিজিডি কার্ড বিতরণে দূর্নীতি ও অনিয়ম বন্ধ করতে সংশ্লিষ্ট সকলের সহযোগীতা কামনা করেছেন। পাশাপাশি চেয়ারম্যান শাহ আলমের দুর্নীতির তদন্ত পূর্বক ব্যবস্থা গ্রহনেরও  আবেদন করেছিলেন তারা।

কিন্তু অবিশ্বাস্য হলেও সত্য খোজ নিয়ে জানাগেছে,সাবেক মন্ত্রী পরিষদ সচিব শফিউল আলমের প্রশাসনিক অদৃশ্য শক্তির কারণে তার ভাই এবং স্বজনদের বিরুদ্ধে রহস্যজনকভাবে সংশ্লিষ্টরা আদৌ কোন সন্তোষজনক ব্যবস্থা নেন নি।

বরং উক্ত শফিউল আলমদের রোষানলে যারা পড়েছেন তাদের বেশিরভাগ জেল জুলুম হামলা মামলার শিকার হয়ে এখনও নিঃস্ব হয়ে আছেন।

এ অবস্থায় শফিউল আলমের এলাকার সাধারণ লোকজন মনে করেন দ্বাদশ জাতীয় সংসদে তাকে নৌকার মনোনয়ন দেওয়ার চেয়ে উখিয়া টেকনাফের মানুষের জন্য কিছু বিষ পাঠালে আরো ভালো হবে।

কারণ তিনি এমপি হলে সীমান্তের দুই উপজেলার মাদক ঘুষ দুর্নীতির অবস্থা আরো বেহাল হবে এতে কোন সন্দেহ নেই।

 

শফিউল আলমের ভাইয়ের বিরুদ্ধে  দুর্নীতির মামলা:

 

গ্রামীণ অবকাঠানো উন্নয়নের নামে প্রায় ৭৬ লক্ষ টাকা লুটপাট ও আত্মসাতের অভিযোগে কক্সবাজারের উখিয়া উপজেলার হলদিয়াপালং ইউপি চেয়ারম্যান শাহ আলম ও উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা মো. আহসান উল্লাহর বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করা হয়েছিল সংবাদ সম্মেলনের পর।

সেই সময় বিজ্ঞ সিনিয়র স্পেশাল জজ আদালত কক্সবাজারে দুর্নীতি প্রতিরোধ আইনে মামলাটি দায়ের করেন মকতুল হোসেন নামে এক ব্যক্তি।

 তিনি হলদিয়াপালং ইউনিয়নের ৩নং ওয়ার্ডের উত্তর বড়বিল এলাকার মৃত হারু মিয়া মেম্বারের ছেলে। পেশায় তিনি একজন ব্যবসায়ী।

 যার নং ছিল -২২/২০১৭ইং।

মামলার এজাহার সূত্রে জানা যায়, হলদিয়াপালং ইউনিয়নের গ্রামীণ জনপদের সড়ক অবকাঠানোর উন্নয়নের জন্য ২০১৬-১৭ অর্থ বছরে ত্রাণ মন্ত্রণালয় থেকে ১৬০ মেট্রিক টন গম বরাদ্দ পান।

সাতটি প্রকল্পের অধিনে বরাদ্দকৃত গমের মূল্যে প্রায় ৪৬ লাখ ৩৯ হাজার ১৭১ টাকা ২০ পয়সা। ত্রাণ কর্মসূচী-২ শাখার অধিনে গত ১৬ মে গ্রামীন অবকাঠানো উন্নয়নে এসব বরাদ্দ দেয়া হয়েছে।

এছাড়া একই ত্রাণ সূচীর আওতাধীন হলদিয়াপালং ইউনিয়নের ৩৪টি প্রতিষ্ঠানে গ্রামীন অবকাঠামো রক্ষণাবেক্ষনের জন্য ১০২ মেট্রিক টন গম বরাদ্দ দেয়া হয়। প্রতি প্রতিষ্ঠানের জন্য তিন টন করে বরাদ্দের এসব বাজার মূল্যে ধরা হয়েছে প্রায় ২৯ লাখ ৫৭ হাজার ৪৭১ টাকা ৬৪ পয়সা।

এজাহারে উল্লেখ ছিল, হলদিয়াপালং ইউপি চেয়ারম্যান শাহ আলম ও উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা মো. আহসান উল্লাহ যোগসাজসে ক্ষমতার অপব্যবহার করে এসব প্রকল্পের টাকা আত্মসাত করেন।

দুজনে মিলেমিশে ভুয়া প্রকল্প সৃজন করে প্রতারণা ও দুর্নীতির মাধ্যম ২৬২ মেট্রিক টন গমের বিপরীতে প্রায় ৭৫ লাখ ৯৬ হাজার ৬৮২ টাকা ৮৪ পয়সা লুটপাট ও আত্মসাত করেন।

মামলার বাদী মকতুল হোসেন বলেন, হলদিয়াপালং ইউনিয়নে গ্রামীণ অবকাঠানো উন্নয়নের নামে ব্যাপক দুর্নীতি হয়েছে। কোথাও কোনো উন্নয়ন করা হয়নি। সরকারের বরাদ্দকৃত সব টাকা আত্মসাত করা হয়েছে। এসব বিষয়ে ঢাকা দুদকের প্রধান কার্যালয় মামলা করতে গিয়েছিলাম। দুদক কর্তৃপক্ষের পরামর্শে এবিষয়ে কক্সবাজার সিনিয়র স্পেশাল জজ আদালতে মামলাটি দায়ের করি।

উখিয়া উপজেলার হলদিয়াপালং ইউপি চেয়ারম্যান শাহ আলম ও উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা মো. আহসান উল্লাহর বিরুদ্ধে দুর্নীতি প্রতিরোধ আইনে মামলা হওয়ার বিষয়ে নিশ্চিত করেছিলেন কক্সবাজারস্থ দুদকের পি.পি এডভোকেট মো. সিরাজ উল্লাহ। হলদিয়াপালং ইউপি চেয়ারম্যান শাহ আলম মন্ত্রী পরিষদ সচিব শফিউল আলমের ছোট ভাই।

কিন্তু অবাক বিষয় হচ্ছে এসব বিষয় গুলো এখন অনেকটা ধামাচাপা পড়ে আছে।

 

উল্লেখ্য, সর্বশেষ ইউপি নির্বাচনে স্থানীয় ভোটাররা উক্ত

দুর্নীতিবাজ শাহ আলম চেয়ারম্যানদের বিপুল ভোটে পরাজিত করে প্রতিশোধ নেন।

সেখানকার স্থানীয় কয়েকজন বিশিষ্ট ব্যাক্তি প্রতিবেদককে জানান,মন্ত্রী পরিষদের সাবেক সচিব যেখানে নিজের ভাইকে কৃত অপকর্মের জন্য চেয়ারম্যান বানাতে পারেন নি সেখানে আবার তাহার নৌকার মনোনয়নে এমপি হওয়ার আশা দুরাশা ছাড়া আর কিছুই নয়।

তাকে মনোনয়ন দিলে দু উপজেলার অন্য ইউনিয়নের কথা বাদ দিন, জন্মভূমি হলদিয়া পালং উইনিয়নের সকল কেন্দ্রে বেইজ্জত হবেন।


আরো বিভন্ন নিউজ দেখুন

ই-পেপার