• বৃহস্পতিবার, ১৬ মে ২০২৪, ০৭:৩১ অপরাহ্ন
সর্বশেষ খবর
আল্লাহর আদেশ নিষেধ না মানলে করুন পরিনতি : হুইপ সাইমুম সারওয়ার কমল কুতুবদিয়ায় প্রাতিষ্ঠানিক ডেলিভারি নিশ্চিত করনে ইউনিয়ন পরিবার পরিকল্পনার সভা অনুষ্ঠিত ছোট মহেশখালী রাহাতজান পাড়া জামে মসজিদের মাইক চুরি জিপিএ-৫ অর্জনে উপজেলা পর্যায়ে শীর্ষস্থানে আবারও কুতুবজোম দাখিল মাদ্রাসা ইউরোপ প্রবাসী মাদক ব্যবসায়ী রফিক হায়দার ও মোর্শেদের কল রেকর্ড ফাঁস লোহাগড়ায় আ.লীগ নেতা মল্লিকপুর ইউনিয়নের সাবেক চেয়ারম্যান মোস্তফা কামাল গুলিতে নিহত মহেশখালী’র নবনির্বাচিত উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান’র সঙ্গে শুভেচ্ছা বিনিময় মহেশখালীতে শান্তিপূর্ণ ভাবে উপজেলা নির্বাচন সম্পন্ন, জয়নাল চেয়ারম্যান নির্বাচিত পতেঙ্গায় প্রশিক্ষণ যুদ্ধ বিমান বিধ্বস্ত হয়ে পাইলট নিহত কুতুবদিয়া উপজেলা নির্বাচন সম্পন্ন,বিজয়ী হলেন যারা

সাবেক এসপি মাসুদ সিন্ডিকেটের বাঘা ইয়াবা গডফাদাররা অধরা: বদি যেখানে বাবা ব্যাবসায়ীরা সেখানে

ফরিদুল মোস্তফা খানঃ
আপডেট : রবিবার, ১৯ নভেম্বর, ২০২৩

*নির্বাচনের জন্য অস্ত্র শস্ত্রের মজুদ

*অনেকের দেশ ছাড়ার প্রস্তুতি 

*চলে গেছেন শুক্কুর সিআইপি


ফরিদুল মোস্তফা খান:


উখিয়া টেকনাফের সাবেক বিতর্কিত এমপি আব্দুর রহমান বদি একদিন এলাকায় না থাকলে তার অনুসারী মাদক এবং ইয়াবা সম্রাটরা অদৃশ্য হয়ে যায়।

কমে আসে টেকনাফ কক্সবাজারের মাদকের চালান।

জেলার আইন শৃঙ্খলার ব্যাপক উন্নতি পরিলক্ষিত হয় তখন।

 

এক সময় তিনি যখন সৌদি আরবে  গিয়েছিলেন, তার চাচাতো ভাই মং মং সেন মিয়ানমারে পালিয়ে গিয়েছিলন সে সময়। পরিবারের অন্যান্য সদস্য যাদের নাম একাধিক গোয়েন্দা প্রতিবেদনে এসেছে,সব ইয়াবা গডফাদাররা ওই সময় এলাকা ছাড়া হয়ে গেছিলো।

 

জানা গেছে,পাঁচটি সংস্থার গোয়েন্দা প্রতিবেদনে এই বিতর্কিত এমপির নাম উঠে এসেছে, যেখানে তার ভাই আবদুল শুক্কুর ও মুজিবুর রহমান, সৎ ভাই আবদুল আমিন ও ফয়সাল রহমান, শ্বশুর শাহেদ কামাল, চাচাতো ভাই কামরুল হাসান রাসেল এবং ভাগ্নে শাহেদুর সহ তার বেশ কয়েকজন আত্মীয় ও সহযোগীর তালিকা রয়েছে  রহমান নিপু।

 

 এছাড়া মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তরের সর্বশেষ প্রতিবেদনে কক্সবাজার-৪ আসনের আওয়ামী লীগের সাবেক এই সংসদ সদস্যকে বাংলাদেশে মাদক পাচারের প্রবেশদ্বার উখিয়া-টেকনাফে ইয়াবা ব্যবসার পৃষ্ঠপোষক হিসেবে উল্লেখ আছে দীর্ঘ বছর ধরে।

 

 প্রতিবেদনে মং মং সেন, মুজিবুর রহমান ও আবদুল শুক্কুরকে ইয়াবার গডফাদার হিসেবে ক্রমিক নম্বর ৫, ৬ ও ৭ নম্বরে উল্লেখ করা হয়েছে।

 

 এতে বলা হয়, বদি নেপথ্য থেকে ইয়াবা ব্যবসা নিয়ন্ত্রণ করে।  ক্ষমতাসীন দলের একজন আইনপ্রণেতা হওয়ার কারণে, তিনি উল্লেখযোগ্য সংখ্যক অনুসারীদের সাথে অবাধে ব্যবসা করেন।

 

এটি অতিরিক্ত বিবৃতি হবে না যে অন্যান্য শীর্ষ ইয়াবা ব্যবসায়ীরা তার ইচ্ছার বিরুদ্ধে ব্যবসা চালিয়ে যাওয়ার সাহস করবেন না।  আর স্থানীয় ইয়াবা ব্যবসায়ী বা চাঁদাবাজরা আধিপত্য প্রতিষ্ঠা করতে পারবে না।”

বিশেষ করে, মিয়ানমার থেকে ইয়াবা পাচার বন্ধে তার সদিচ্ছা গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখতে পারে বলে প্রতিবেদনে বলা হয়েছিলো।  তার বিরুদ্ধে দৃষ্টান্তমূলক ব্যবস্থা নেওয়া হলে অন্য মাদক ব্যবসায়ীরা ভয়ে ইয়াবা ব্যবসা ছেড়ে দেওয়ার চেষ্টা করতে পারে।

 

 প্রতিবেদক সম্প্রতি ডিএনসিসির একটি অনুলিপি পেয়েছে এবং এর কর্মকর্তারা বলেছেন যে এটি ইয়াবা গডফাদারদের উপর তৈরি করা একটি প্রতিবেদন।

 

 একটি গোয়েন্দা সংস্থার রিপোর্ট অনুযায়ী, কক্সবাজারে তালিকাভুক্ত ১০২ জন মাদক ব্যবসায়ী রয়েছে এবং বদিও সেই তালিকার শীর্ষে রয়েছে।

পাঁচটি গোয়েন্দা প্রতিবেদনের প্রতিটিতে কমপক্ষে ১২ জন মাদক ব্যবসায়ীর নাম এসেছে এবং তাদের মধ্যে বদির পরিবারের সদস্য রয়েছে, সূত্র অনুসারে।

 

 এই সমস্ত প্রতিবেদনের মাধ্যমে, আইনশৃঙ্খলা বাহিনী যখন ইতোপূর্বে দেশব্যাপী মাদকবিরোধী অভিযান শুরু করে, তখন সবার দৃষ্টি ছিল টেকনাফ ও কক্সবাজারের দিকে। বিশেষ করে বদি ও তার পরিবারের সদস্যদের দিকে।

 

তারপর থেকে, প্রায় ১৩ হাজারের বেশি জনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে, এবং “বন্দুকযুদ্ধে” কমপক্ষে কয়েক শতাধিক  জন নিহত হয়েছে।

কিন্তু রহস্যজনকভাবে বদি এবং তার পরিবারের সদস্যরা রয়ে গেছে ধরাছোঁয়ার বাইরে।

 

 এ অবস্থার মধ্যেই অনেকবার বদি ও তার চাচাতো ভাই মং দেশ ছেড়ে চলে গেলেও তারা পূনরায় ফিরে আসেন বাংলাদেশে।

 

বদির বিশেষ সহকারী হেলাল উদ্দিন এক সময় ডেইলি স্টারকে বলেন, সংসদ সদস্য ও তার দুই স্কুল বন্ধু নুরুল আক্তার ও গিয়াস উদ্দিন সেই সময় কোন এক শুক্রবার  ভোর ৪টার দিকে সৌদি আরবে ওমরাহ পালনের উদ্দেশ্যে দেশ ছেড়েছেন।  উখিয়ার স্থানীয় আলী আহমেদও তাদের সঙ্গে ছিলেন।

 

এরপর উক্ত এমপি বদির মেয়ে সামিয়া রহমান ও তার স্বামী রানা তাজউদ্দীন খান একই উদ্দেশ্যে সৌদি আরব গিয়েছিলেন।

তিনি বলেন, ১৭ জুন সংসদ সদস্য ও তার সফরসঙ্গীদের ফেরার কথা রয়েছে।

এরপর কথামত তাদের সকলেই দেশে ফিরে আসেন।

 

বদির বড় ভাই মুজিবুর ও পরিবারের অন্য সদস্যদের কোথায় আছে জানতে চাইলে হেলাল বলেছিলেন, তিনি শুধু বদির সঙ্গেই যুক্ত, অন্যদের সম্পর্কে জানেন না।

টেকনাফ আওয়ামী লীগের এক শীর্ষ নেতা নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক দ্য ডেইলি স্টারকে বলেন, শুক্রবার সকাল ৬টার দিকে গরু বহনকারী একটি কার্গো ট্রলারে করে মং মিয়ানমারে পালিয়ে যায়।

 

টেকনাফ থানার তৎকালীন ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) রনজিত কুমার বড়ুয়া বলেছিলেন, মংকে গ্রেপ্তারে অভিযান চলছে।  “সে পলাতক।”

কিন্তুু আশ্চর্যজনক বিষয় হচ্ছে পুলিশ যেই মং দের জন্য খুজার কথা বলেছিলেন ওসি রনজিৎ বড়ুয়া বদলির পর সাবেক খুনি ওসি প্রদীপ যোগদানের সাথে সাথে সবাই বদির ছত্রছায়ায় এলাকায় ফিরে আসেন।

 

তারপর ওসি প্রদীপ এবং কক্সবাজারের সাবেক এসপি মাসুদের আমলে টেকনাফ কক্সবাজারে মাদক নির্মূলের নামে তারা নিজেরাই মাদক সেবন এবং ব্যবসায় জড়িয়ে পড়ে।শুরু করে কথিত মাদক নির্মূল অভিযান।

 

“চল যায় যোদ্ধে মাদকের বিরুদ্ধে” শ্লোগান দিয়ে বদি, টেকনাফ উপজেলা চেয়ারম্যান নুরুল আলম,হ্নীলা ইউপি চেয়ারম্যান মোহাম্মদ আলী,,হলদিয়া পালং ইউপি চেয়ারম্যান ইমরুল কায়েস  চৌধুরী,বদির শ্যালক উখিয়া রাজা পালং ইউপি চেয়ারম্যান জাহাঙ্গীর এবং তাদের পূনর্বাসিত মাদক সম্রাট

দের অদৃশ্য ইশারায় ওসি প্রদীপ সিন্ডিকেট জোরেশোরে শুরু করে লোক দেখানো কথিত মাদক নির্মূল অভিযান।

 

এতে, বদি এবং সাবেক এসপি মাসুদদের এন্ট্রি মাদক সম্রাটরা মারা পড়লেও বদির লালিত ভাই শুক্কুর সিআইপি সহ ১০২ মাদক সম্রাটকে জীবন বাচিয়ে দেওয়ার সর্তে লোক দেখানো আত্নসমর্পণ অনুষ্ঠান দেখিয়ে কারাগারে ডুকিয়ে দেয়।

 

পরবর্তীতে অভিযোগ ওঠেছে, বাইরে থাকা বদি এবং সাবেক এসপি মাসুদরা তাদেরকে আত্নসমর্পণের সর্তে কারামুক্তির জন্য পুলিশ সদর দপ্তরের মাধ্যমে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রনালয়ে গোপন পত্র প্রেরণ করে।

 

এই প্রতিবেদক কারা অভ্যন্তরে থাকা অবস্থায় দেখা গেছে দ্রুত মুক্তির জন্য এই ১০২ মাদক সম্রাট বদির ভাই শুক্কুর সিআইপির মাধ্যমে সাবেক এসপি মাসুদ,সাংবাদিক, আইনজীবি এবং সরকারের উপর মহলকে দিতে হবে বলে আটক ১০১ ইয়াবা সম্রাটদের কাছ থেকে জনপ্রতি ৪০/৫০ লাখ টাকা করে টাকা তুলে।

 

একপর্যায়ে, টাকা দেওয়ার পরও কারামুক্তিতে একটু বিলম্ব দেখা দেওয়ায় সেখানে তারা নিজেরা নিজেরা সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়ায় কক্সবাজার কারাভ্যন্তরে চরম বিশৃঙ্খলা ছড়িয়ে পড়ে।

 

অবশ্যই পরবর্তীতে তা কারা প্রশাসন নিয়ন্ত্রণে এনে কয়েকজন চিহ্নিত ইয়াবা গডফাদারকে অন্য করাগারে চালান দিয়ে পরিবেশ শান্ত করে।

 

অনুসন্ধানে জানা গেছে,বদির বাবা এজাহার মিয়ার একাধিক স্ত্রীর মধ্যে একজন মিয়ানমারের রাখাইন রাজ্যের বাসিন্দা ছিলেন।

মং সেই মহিলার ভাতিজা এবং তার পিতার নাম অং সেন তা।

 

 কক্সবাজারের তৎকালীন পুলিশ সুপার ইকবাল হোসেন সে সময় বলেন, এটা নিশ্চিত যে তালিকাভুক্ত মাদক ব্যবসায়ীরা জেলা ছেড়ে যাবে।  “তবে আমরা তাদের গ্রেপ্তারের চেষ্টা করছি,”।

 

অবিশ্বাস্য হলেও সত্য,মাদক নির্মূলে জেলা পুলিশের সেই চেষ্টা এখনও পরিপূর্ণ সফল হয়নি।

 

 স্থানীয় আওয়ামী লীগের বেশ কয়েকজন নেতা  বলেছেন যে তারা বদির পরিবারের সদস্যদের অনেকদিন না দেখলেও ওসি প্রদীপের আমলের পর থেকেসব মাদক ব্যবসায়ীরা জোট বেঁধে এলাকায় ফিরছেন।যাদের বেশিরভাগ এখনো বহাল তবিয়তে রয়ে গেছেন।

 

 সূত্রের মতে, বিএনপি-জামায়াত বা আওয়ামী লীগ যে দলই ক্ষমতায় থাকুক না কেন, বদি বরাবরই একজন আইনপ্রণেতা হওয়ার উচ্চাকাঙ্ক্ষী।

 

 ১৯৯৬ সালের সাধারণ নির্বাচনের আগে তিনি বিএনপির টিকিট চেয়েছিলেন এবং পেয়েছিলেন।  তবে দলীয় হাইকমান্ড শেষ পর্যন্ত তার স্থলাভিষিক্ত হন শাজাহান চৌধুরীকে।

 

 পরে আ.লীগে যোগ দিয়ে অবশেষে দলীয় মনোনয়ন পান।

 

 বদির বাবা এজাহার মিয়া প্রথমে বিএনপিতে যোগ দেন।  তবে আশির দশকে এরশাদ শাসনামলে তিনি টেকনাফ উপজেলার চেয়ারম্যান ছিলেন।

 

 স্থানীয়রা জানান, বদি তার বাবার পদাঙ্ক অনুসরণ করে টেকনাফ উপজেলা বিএনপির রাজনৈতিক কর্মকাণ্ডে অংশ নেন।  তিনি বিএনপি আমলেও চোরাচালানের সঙ্গে জড়িত ছিলেন বলে অভিযোগ স্থানীয়দের।

 

 টেকনাফ উপজেলা আ.লীগের সভাপতি সাবেক এমপি অধ্যাপক মোহাম্মদ আলী মৃত্যুর আগে দ্য ডেইলি স্টারকে বলেন, স্থানীয় জনপ্রতিনিধি, চেয়ারম্যান, সদস্যরা মাদক ব্যবসার সঙ্গে জড়িত এবং সবাই জানে তারা সাংসদদের আশীর্বাদপুষ্ট।

 

 আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীকে অবিলম্বে তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া উচিত এবং তাদের আইনের আওতায় আনা উচিত।

এদিকে মাদকবিরোধী অভিযানের মধ্যে উখিয়া-টেকনাফের আরও কয়েকজন কথিত ইয়াবার গডফাদাররা ওই সময় এলাকা ছাড়লেও সাবেক এসপি মাসুদের আমল থেকে তারা পূণরায় এলাকায় ফিরে এসে রামরাজত্ব চালাচ্ছে।

 

সূত্রে জানায়,বদির ইয়াবা সম্রাজ্যে টেকনাফ কক্সবাজারের বড় মিডিয়া হাউজের কিছু কথিত সাংবাদিক নেতা জড়িত রয়েছেন।

 

তৎমধ্যেকালের কন্ঠের কক্সবাজার প্রতিনিধি তোফায়েল আহমেদ,টেকনাফের কথিত নাফ টিভির চেয়ারম্যান পরিচয়ী নুরুল হোসেন সহ গোয়েন্দা তালিকাভুক্ত কিছু বাঘা বাঘা ইয়াবা সাংবাদিক রয়েছেন।

 

এই অবস্থায় পুলিশ ও র‌্যাব কর্মকর্তারা বলছেন, সারাদেশে চলমান মাদকবিরোধী অভিযানে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর কঠোর পদক্ষেপের কারণে তালিকাভুক্ত গডফাদাররা আত্মগোপনে চলে গেছে।

 

 তৎকালীন র‌্যাব-৭ এর কক্সবাজার কোম্পানি কমান্ডার মেজর রুহুল আমিন এই সংবাদপত্রকে বলেন, আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী মাদকবিরোধী অভিযান শুরু করার পর টেকনাফ ও উখিয়ার তালিকাভুক্ত গডফাদার ও তাদের সহযোগীরা বাড়িঘর ছেড়ে পালিয়েছে।

 

 তাদের কাছে মাদক ব্যবসায়ীদের তালিকা রয়েছে এবং তাদের অভিযান অব্যাহত থাকবে বলে জানান তিনি।

 

 টেকনাফ পৌর এলাকার স্থানীয়রা জানান, দামি মোটরসাইকেল ও বিলাসবহুল প্রাইভেটকারে চড়ে এলাকায় ঘুরে বেড়াত বহিরাগত ও পরিচিত মাদক ব্যবসায়ীদের গত  কিছু  দিনে দেখা না গেলেও সাবেক এমপি বদি এবং তার স্ত্রী বর্তমান সাংসদ শাহিনার ছত্রছায়ায় তারা বর্তমানে টেকনাফ কক্সবাজারে অনেকটা নিরাপদে রয়েছেন।

 

সূত্রমতে বদির লালিত এসব মাদক ব্যবসায়ীরা যেভাবেই হোক আগামী দ্বাদশ সংসদ নির্বাচনে বদি বা তার পরিবারের কাউকে অথবা বদিদের জন্য নিরাপদ অন্য কাউকে নৌকার মনোনয়নে এমপি বানাতে ঢাকা এবং দেশের বাইরে টাকা ঢালছে।

নির্বাচনে তারা  ব্যবহারের জন্য টেকনাফ কক্সবাজারে অস্ত্র শস্ত্রের মজুদ বাড়াচ্ছে বলেও খবর পাওয়া গেছে।

 

 টেকনাফ পৌর এলাকার কয়েক ব্যাক্তি দৈনিক কক্সবাজারবাণীকে বলেন,মাদক বিরুধী অভিযানে এমপি বদির দূর আত্মীয় আক্তার কামালের গুলিবিদ্ধ লাশ উদ্ধারের পর তারা [মাদক ব্যবসায়ীরা] আত্মগোপনে চলে গেছিলো।কিন্তুু বদির আরেক নিকট আত্নীয় টেকনাফ পৌর আওয়ামীলীগের সাধারণ সম্পাদক বাহাদুর এবং বদি সিন্ডিকেটের গোপন ইশারায় তারা পূণরায় এলাকায় ফিরছেন।

 

অপর একটি গোয়েন্দা তালিকা অনুযায়ী, টেকনাফে ৫২ জন গডফাদার ও তাদের সিন্ডিকেট রয়েছে যারা দেশে ইয়াবা পাচার নিয়ন্ত্রণ করে।  তাদের বেশির ভাগেরই বিলাসবহুল বাড়ি টেকনাফ কক্সবাজার, বন্দর নগরী চট্টগ্রাম, রাজধানী গুলশান,নারায়ণগঞ্জ, নরসিংদী সহ বিভিন্ন স্থানে।

 

 দীর্ঘদিন ধরে দৈনিক কক্সবাজারবাণীর কয়েকজন গুপ্তচর টেকনাফ সদর ইউনিয়নের নাজিরপাড়া পরিদর্শন করেছেন, যেখানে বেশ কয়েকজন তালিকাভুক্ত মাদক ব্যবসায়ীদের বর্তমান অবস্থা জানতে।

 

 টেকনাফ কক্সবাজারে কর্মরত আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর কয়েকজন কর্মকর্তা জানান,মাদক নির্মূলের র‌্যাব-১৫’র চলমান অভিযান দেখে তালিকাভুক্ত অনেক  মাদক ব্যবসায়ীরা ইতোমধ্যে  মিয়ানমার বা অন্যত্র পালিয়েছে বলে তারা জানতে পেরেছেন।অনেকেই বদি এবং সাবেক এসপি মাসুদেদের পরামর্শে বিভিন্ন বেশে স্থল,আকাশ,নৌ-পথ যেভাবেই হোক বিদেশ পালানোর চেষ্টায় রয়েছে।

 

এরই মাঝে ভারতে চিকিৎসার অজুহাত দেখিয়ে বদির ভাই শুক্কুর সহ কয়েকজন দেশ ছেড়েছেন বলে গুঞ্জন ওঠেছে।


আরো বিভন্ন নিউজ দেখুন

ই-পেপার

আজকের দিন-তারিখ

  • বৃহস্পতিবার (সন্ধ্যা ৭:৩১)
  • ১৬ই মে, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ
  • ৮ই জিলকদ, ১৪৪৫ হিজরি
  • ২রা জ্যৈষ্ঠ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ (গ্রীষ্মকাল)