* উখিয়া টেকনাফে অস্ত্রের ঝনঝনানি
* উত্তপ্ত রোহিঙ্গা ক্যাম্প
ফরিদুল মোস্তফা খানঃ
প্রধানমন্ত্রীর সরাসরি বদন্যতায় রাজধানী ঢাকার চেয়ে পৃথীবি দীর্ঘ বেলাভূমি কক্সবাজারে উন্নয়ন হয়েছে নজিরবিহীন।
ক্ষমতা গ্রহনের আগেও পরে কক্সবাজার বাসীকে দেওয়া ওয়াদা তিনি অক্ষরে অক্ষরে পালন করে বিশ্ববাসীর কাছে কক্সবাজারের মানুষকে করেছেন গৌরবান্বিত।
কুলি দিন মজুর থেকে শুরু করে সব শ্রেণী পেশার মানুষের মূখ তিনি করেছেন উজ্জ্বল।
ফলে তিলোত্তমা নগরী হয়ে ওঠা কক্সবাজারের প্রতি বাড়ছে বিদেশীদের আগ্রহ।
তবে মাদকের আগ্রাসন পর্যটন ব্যবসায়ীদের গলাকাটা বানিজ্য এবং পর্যাপ্ত নিরাপত্তা আতংকে দেশি-বিদেশি পর্যটকরা এখনও কক্সবাজার আসতে ভয় পান।
জানা গেছে, উখিয়া টেকনাফের মাফিয়া রাজনৈতিক দুবৃত্ত লীগ,মাদক সম্রাট ও বিপথগামী রোহিঙ্গা রাজারা আওয়ামী রাজনীতির মুখোশের আড়ালে উখিয়া টেকনাফ এবং প্রবালদ্বীপ সেন্টমার্টিনকে নিয়ে একটি স্বাধীন আরাকান রাজ্য ঘোষনা করে নিজেরাই রাষ্ট্রপতি নিজেরাই প্রধানমন্ত্রী হয়ে ভয়ংকর মাদকের ব্যবসা আরও বেশি প্রসারিত করার গোপন কলকাটি নাড়ছে।
তাদের অনেকর পূর্বপুরুষ মিয়ানমারের ওপারে থাকায়
এরা বাংলা ভাষার পাশাপাশি বার্মিজ ভাষায় মাফিয়াদের সাথে সার্বক্ষনিক যোগাযোগ করে দেশের পন্য মিয়ানমারে দিয়ে সেখন থেকে বানের পানির মত ঢুকাচ্ছে অবৈধ স্বর্ণ এবং মাদকের বড় বড় চালান।
দৈনিক কক্সবাজার বাণীর অনুসন্ধানে ওঠে এসেছে, স্থানীয় বিতর্কিত সাবেক সংসদ সদস্য তালিকাভূক্ত ইয়াবা গডফাদার এবং তার স্বজনরা রাষ্ট্রদ্রোহী এসব কর্মকান্ড প্রত্যক্ষ ও পরোক্ষভাবে জড়িত থাকলেও ক্ষমতাসীন রাজনৈতিক দলের গত ১৫ বছরে তারা আইনের আওতায় আসেনি। বরং পুলিশের সামনে তারা দু উপজেলা এমনকি দেশের আনাচে কানাচে বীরদর্পে ঘুরে বেড়াচ্ছে।
এদের সাথে সম্পৃক্ত রয়েছে সর্বদলীয় কিছু আমলা কামলা এবং বিপথগামীরা।
সরজমিন পরিদর্শনে দেখা গেছে, চক্রটি আসন্ন দ্বাদশ সংসদ নির্বাচনকে ঘিরে সীমান্তের বিভিন্ন পয়েন্ট দিয়ে অস্ত্র শস্ত্রের মজুদ বাড়াচ্ছে।
আন্তর্জাতিক মানবাধিকার সংস্থা হিউম্যান এইড সহ টেকনাফ কক্সবাজারে মানবাধিকারের কথা বলে কাজ করা কিছু এনজিও এবং রোহিঙ্গা ভিত্তিক সংগঠন এসব কর্মকান্ডে গোপনে প্রকাশ্যে ইন্ধন দিচ্ছে।
কক্সবাজারের সাবেক পুলিশ সুপার এসপি মাসুদ, কালের কন্ঠের স্থানীয় সংবাদ দাতা তোফায়েল আহমেদ,
টেকনাফ উপজেলা প্রেসক্লাবের সভাপতি পরিচয়ী কথিত নাফ টিভির পুুলিশের দালাল খ্যাত নুরু বাটপার,বদির ভাই শুক্কুর সিআইপি,শ্যালক উখিয়ার জাহাঙ্গীর, মানবপাচার গডফাদার মৌলভী মুজিব,টেকনাফ বন্দর সম্রাট আব্দুল আমিন,টেকনাফ উপজেলা পরিষদের বর্তমান চেয়ারম্যান তালিকাভুক্ত আরেক মাদক সম্রাট নুরুল আলম এবং সেই পুনর্বাসীত ১০২ মাদক সম্রাটদের অনেকেই এতে জড়িত থাকলেও এখনো তারা রয়ে গেছেন বহাল তবিয়তে।
অনুসন্ধানে ওঠে এসেছে,কক্সবাজার কেন্দ্রীক মেগা প্রকল্প বাস্তবায়নসহ বিভিন্ন উন্নয়নের ছোঁয়ায় বদলে যাওয়া কক্সবাজারবাসী প্রধানমন্ত্রীর জন্য আন্তরিক দোয়া করে এবার নিজেদের প্রয় কক্সবাজারটাকে মাদক মাফিয়া মানবপাচার স্বর্ণ চোরাচালান এবং স্বশস্ত্র রোহিঙ্গা সন্ত্রাসমুক্ত জনপদ করে দেওয়ার অনুরোধ জানান।
তারা বলেছেন, রেললাইন, ছাদখোলা বাস ও বাঁকখালী নদীর ওপর দৃষ্টিনন্দন সেতু পেয়ে মহাখুশি হয়েছেন সকলেই।
সূত্রমতে, কক্সবাজার সী-কুইনকে মনেরমতো করে সাজিয়ে দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
রেল কর্তৃপক্ষ বলেছেন, ইনশাআল্লাহ আগামী ১ ডিসেম্বরেই বাণিজ্যিকভাবে শুরু হচ্ছে কক্সবাজারের ট্রেন চলাচল।
শুরুতে ঢাকা থেকে ১টি এবং চট্টগ্রাম থেকে ১টি ট্রেন চলাচল করবে। ঢাকা থেকে যে ট্রেনটি চলবে সেটা হবে ননস্টপ।
ঢাকা বিমানবন্দর থেকে সরাসরি চট্টগ্রাম এরপর সেখানে ইঞ্জিন রিভার্স করে আবার সরাসরি কক্সবাজার।
ট্রেনটি ঢাকা ছাড়বে রাত সাড়ে ১০টায় এবং কক্সবাজার পৌঁছাবে সকাল ৬.৪০ মিনিটে।
আবার ফেরত আসার সময় কক্সবাজার থেকে ছাড়বে দুপুর ১টায় এবং শুধু চট্টগ্রাম এবং ঢাকা বিমানবন্দর স্টেশনে স্টপেজ দিয়ে ঢাকা পৌঁছাবে রাত ৯.১০ মিনিটে।
এ ছাড়া চট্টগ্রাম থেকে কক্সবাজার একটি আন্তঃনগর ট্রেন চলবে। যে ট্রেনটি চট্টগ্রাম ছাড়বে সকাল ৭টায় এবং কক্সবাজার পৌঁছাবে সকাল ১০.২০ মিনিটে।
আবার কক্সবাজার থেকে চট্টগ্রামের উদ্দেশে সন্ধ্যা ৭টায় ছেড়ে আসবে। ট্রেন চলাচল অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ একটি বিষয় হচ্ছে সিগন্যাল।
দোহাজারি-কক্সবাজার রুটের রেললাইনের কাজটি শতভাগ শেষ হলেও স্টেশনের সিগন্যালের কাজ চলমান রয়েছে। সেজন্য শুরুর দিকে এমনভাবে ট্রেনের সিডিউল করা হবে যাতে দোহাজারি-কক্সবাজার রুটের মধ্যে কোনো ট্রেনের ক্রসিং না হয়। এবং চট্টগ্রাম-কক্সবাজারের মধ্যে চলাচলকারী ট্রেনটির যেহেতু মধ্যবর্তী স্টপেজ থাকবে সেক্ষেত্রে এটিকে পিএলসি দিয়ে পরিচালনা করা হবে। সিগন্যালের কাজ শেষ হলে ধাপে ধাপে ওই রুটে বৃদ্ধি পাবে ট্রেন চলাচল।
রেল কর্তৃপক্ষ আরও জানিয়েছেন, আপাতত ভৈরব- ব্রাহ্মণবাড়িয়া-আখাউড়া-কুমিল্লা-লাকসাম-ফেনীর যাত্রীরা ৭৪২ তূর্ণাতে এসে কক্সাবাজারের ট্রেন ধরতে পারবেন। এছাড়া ময়মনসিংহ এবং সিলেটের যাত্রীরা ৭৮৬ বিজয় এবং ৭২৪ উদয়ন ধরে কক্সবাজারের ট্রেন ধরতে পারবেন। ঢাকা থেকে শোভন চেয়ার ভাড়া হবে ৫০০ টাকা কিংবা ৫৫০ হতে পারে যদি ননস্টপ চার্জ যুক্ত থাকে তাহলে। আর চট্টগ্রাম থেকে শোভন চেয়ারে ভাড়া হবে ২০৫ টাকা?
সী-কুইনে ছাদখোলা বাস ॥ ইউরোপ-আমেরিকার মতো এবার পর্যটন নগরী কক্সবাজারেও ছাদখোলা বাসে ঘুরতে পারবেন পর্যটকরা।
এদের জন্য দুটি ট্যুরিস্ট বাস এনেছে কক্সবাজার জেলা প্রশাসন।
এই দুটি বাস চলবে কক্সবাজারের পর্যটন জোন থেকে দীর্ঘ ৮০ কিলোমিটার মেরিন ড্রাইভে। এই ট্যুরিস্ট বাস দুটি শনিবার উদ্বোধন করেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। কক্সবাজার জেলা প্রশাসক মুহাম্মদ শাহীন ইমরান বলেন, কক্সবাজারকে বলা হয় পর্যটন রাজধানী। তাই দেশী-বিদেশী পর্যটকদের কাছে কক্সবাজারকে আকর্ষণীয় করতে প্রশাসন নানা উদ্যোগ গ্রহণ করেছে। তাই এবার দেশী-বিদেশী পর্যটকদের কাছে জনপ্রিয় করতে নতুন করে সংযোজন করা হয়েছে ট্যুরিস্ট বাসের।
বাঁকখালী সেতুতে নতুন স্বপ্ন ॥ দুপাড়ের মানুষের দীর্ঘদিনের স্বপ্ন এখন বাস্তবে উপভোগ করছে। কক্সবাজার শহর থেকে মাত্র তিন মিনিটের পথ। তারপর চোখে পড়বে বাঁকখালী নদীর ওপর নবনির্মিত সবচেয়ে সুন্দর সেতু। আর সেতুটির দু’প্রান্তে নির্মিত নতুন সড়ক। সেতু-সড়কের পাশেই বাঁকখালী নদী আর সারি সারি নারিকেল গাছ। পরিবেশগতভাবে অনেকটা হাওড়াঞ্চলের মতো। আর সেতুটি নির্মিত হওয়ায় অর্থনীতিতে দারুণ সম্ভাবনা দেখছেন নদীর দু’পাড়ের স্থানীয় বাসিন্দারা। বাঁকখালী নদীর ওপর নবনির্মিত সেতুর আনুষ্ঠানিক দ্বার খুলেছে ১১ নভেম্বর। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা সেতুটির আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন করেন।
মঙ্গলবার সকালে সরেজমিন বাঁকখালী নদীর ওপর নির্মিত সেতু এলাকা গিয়ে দেখা যায়, পুরো সেতুটি রঙিন করে সাজানো। এতে দৃশ্যমান যে, কক্সবাজার পৌরসভার দীর্ঘদিনের আবর্জনার ভাগাড়ে যেন ফুল ফুটেছে। নদীর দুই পাড়ের মানুষের মেলবন্ধন করতে বাঁকখালী সেতুর দ্বার খুলেছে।