ফরিদুল মোস্তফা খান :
১৯৭১ সালের স্বাধীনতা বিরোধীরা যদি রাজাকার যদ্বাপরাধী হয়। বিচারবহির্ভূত মানুষ হত্যায় জড়িত এসপি মাসুদ প্রদীপ বদি এবং জুলমের সময় অপরাধীর পক্ষে মানববন্ধন এবং নীরব থাকা নৌকার মনোনয়ন প্রত্যাশী ও সকল এমপি প্রার্থীরা রাজাকার যুদ্বাপরাধীর চেয়ে বড় অপরাধী।
উল্লেখ্য এই সেই প্রদীপের সময়ের টেকনাফ থানা। অনেক কিছু পরিবর্তণ হয়েছে, থানার গেইট এখন আর এভাবে ২৪ ঘন্টা বন্ধ না থাকলেও সেই সময়ের দালাল নাফ টিভির নুরু বাটপার কথিত ইয়াবা সাংবাদিক ও প্রদীপের পৃষ্টপোষকরা কিন্তু এখনো বহাল তবিয়তে রয়ে গেছে।
জানাগেছে, সাবেক এমপি বদির ছত্রছায়ায় থানায় এখন তাদের নিরাপদ ঠিকানা।
এদের অনেকেই স্থানীয় কমিউনিটি পুলিশের দায়িত্বশীল নেতা।
অনুসন্ধানে জানাগেছে,মাদক গডফাদার উখিয়া টেকনাফের সাবেক এমপি আবদু রহমান বদি ও তার সিন্ডিকেট শুধু ইয়াবা গড ফাদার নয়। তারা প্রত্যেকেই আন্তর্জাতিক স্বর্ন চোরাচালান,মানব পাচার এবং হুন্ডি গডফাদার ও বটে।
গত ১৫ বছর ধরে টেকনাফ স্থল বন্দরে আমদানি রপ্তানির বৈধ ব্যবসার আড়ালে বদির ভাই আবদু শুক্কুর সিআইপি ও আবদুল আমিন সহ সিন্ডিকেট সদস্যরা টেকনাফ বন্দর, কায়ুকখালী খাল সহ সীমান্তের বিভিন্ন পয়েন্ট দিয়ে বড় বড় স্বর্নের চালান অবৈধ ভাবে বাংলাদেশে ঢুকালেও টেকনাফ থানা পুলিশ বদি চক্রের দেখিয়ে দেওয়া টুকটাক কিছু ইয়াবা চুনোপুঁটি ছাড়া একটা স্বর্নের চালান ও আটকের সক্ষমতা এখনো দেখাতে পারেনি বলে অভিযোগ ওঠেছে।
খোজ নিয়ে জানাগেছে , এসপি মাসুূদ প্রদীপএবং মাদক গডফাদার ইয়াবা বদির ১৫ বছরের দুঃশাসনে মরা এবং বিদেশে অবস্থানরত মানুষের বিরুদ্ধে থানায় মামলা রেকর্ড, আদালতে অভিযোগ পত্র দাখিল, ওয়ারেন্ট তামিল না করে আসামির সাথে গোপন সখ্যতা, জীবন বাঁচিয়ে দিয়ে ১০২ মাদক সম্রাট সহ ছোট বড় ইয়াবা ব্যবসায়ীদের সামাজিক ভাবে পুনর্বাসন, লোক দেখানো অভিযানে গডফাদার এন্ট্রি চুনোপুঁটি নিধন,অন্যন্য আইন শৃঙ্খলা বাহিনীর সোর্স হত্যা,বিভিন্ন বাহিনীর মাদক সহ আটক আসামিদের মামলা থেকে বাদ দিয়ে আদালতে ফাইনাল রিপোর্ট, থানার রেকর্ড পত্র পর্যালোচনা সিডিএমএস খারাপ করে দেওয়া এবং স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের তালিকা ভুক্ত মাদক সম্রাটদের সাথে গভীর বন্ধুত্ব এমনকি গোয়েন্দা সংস্থার তালিকা ভুক্ত পুলিশী পছন্দের মাদক সম্রাটদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা না নিয়ে উল্টো এদের লেলিয়ে দিয়ে তাদের পক্ষে পুলিশ সদর দপ্তরের মাধ্যমে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে ভালোবাসার চিঠি প্রেরন সহ কক্সবাজার কেন্দ্রীক ইয়াবা পুলিশ সদস্যদের কারণে টেকনাফ কক্সবাজার সহ সারাদেশের মানুষ এখন পুলিশের উপর আস্থা হারাতে বসেছে।
এদের কারণ টেকনাফের আইন শৃঙ্খলার চরম অবনতি ঘটেছে।
এতে করে গনতন্ত্রের মানসকন্যা শেখ হাসিনা ও তার সরকারের ভাবমূর্তি বরাবরই প্রশ্নবিদ্ব রয়ে গেছে।