• শুক্রবার, ১৩ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ০৬:৫১ পূর্বাহ্ন
সর্বশেষ খবর
এখন থেকে কক্সবাজারে কোনো পুলিশকে ঘুষ দিতে হবে না: নবনিযুক্ত এসপি কুতুবদিয়ার শীর্ষ ডাকাত শাহরিয়া অস্ত্র সহ আটক ১০ম গ্রেডে বেতনের দাবীতে কক্সবাজার সার্ভে ডিপ্লোমা ইঞ্জিনিয়ারদের স্মারকলিপি প্রদান হুইপ কমলের বিরুদ্ধে মিথ্যা তথ্য প্রচার না করার দাবী অনুসন্ধানী সাংবাদিকতায় স্বর্ণপদকসহ চার সাংবাদিককে সম্মাননা দিবে বনেক ত্রিশালে অন্তঃসত্ত্বা নারীর ওপর হামলা কক্সবাজারের নতুন ডিসি সালাউদ্দিন আহমেদ বন্যার্তদের সেবায় নিঃস্বার্থ পেশাগত দায়িত্ব ও মানবিকতার দৃষ্টান্ত স্থাপনকারী দুই সেনা  সদস্যের সাথে সাক্ষাৎ করলেন সেনাবাহিনী প্রধান কক্সবাজারে নবাগত পুলিশ সুপারের যোগদান : ৪ থানার ওসিকে প্রত্যাহার সাংবাদিককে নির্যাতনের ঘটনায় অভিযুক্ত কর্মকর্তাকে পদায়নের পর প্রত্যাহার

মাতারবাড়ির জনসভায় আবারও নৌকায় ভোট দেওয়ার আহব্বান প্রধানমন্ত্রীর:কক্সবাজার  রেললাইন সহ ৮৮ হাজার কোটি টাকার প্রকল্পের বর্ণাঢ্য উদ্বোধন: এমপি কমলের চমক

ফরিদুল মোস্তফা খানঃ
আপডেট : শনিবার, ১১ নভেম্বর, ২০২৩


কক্সবাজার  রেললাইন সহ ৮৮ হাজার কোটি টাকার প্রকল্পের বর্ণাঢ্য উদ্বোধন: এমপি কমলের চমক


ফরিদুল মোস্তফা খান :


প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, তাঁর সরকার রেল যোগাযোগের মাধ্যমে সমগ্র দেশকে কক্সবাজারের সঙ্গে যুক্ত করার পাশাপাশি রেল পরিষেবা, গতি ও পরিবহনকে বিশ্বমানের করার জন্য কার্যকর পদক্ষেপ নেবে।

তিনি বলেন,‘আমরা সমগ্র বাংলাদেশ থেকে কক্সবাজার (রেল সংযোগের মাধ্যমে) যাত্রা সহজ করতে ব্যবস্থা নেব।’

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা শনিবার অপরাহ্নে নবনির্মিত রেল স্টেশনের ফলক উন্মোচনের মাধ্যমে আইকনিক কক্সবাজার রেলওয়ে স্টেশনের সাথে দোহাজারী-কক্সবাজার রেললাইন উদ্বোধন উপলক্ষে আয়োজিত অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির ভাষণে এ কথা বলেন।

এতে করে  ঢাকা-চট্টগ্রাম-কক্সবাজার সরাসরি রেল যোগাযোগ প্রতিষ্ঠিত হলো।

এসময় প্রধানমন্ত্রী আরও বলেন, তিনি নিজেসহ দেশবাসী এখন কক্সবাজার থেকে পঞ্চগড়, রাজশাহী, দেশের দক্ষিণাঞ্চল, সুন্দরবন পর্যন্ত রেলপথ দেখার জন্য অধীর আগ্রহে অপেক্ষা করছেন।

মজার সুরে তিনি বলেন, ‘কেন গোপালগঞ্জ ও টুঙ্গিপাড়াকে ছেড়ে দেওয়া হবে (রেল সংযোগ থেকে) তার মানে সারা বাংলাদেশ কক্সবাজারের সঙ্গে যুক্ত হবে।

’সরকার প্রধান বলেন, কক্সবাজারের সঙ্গে রেল যোগাযোগ স্থাপন করায় দেশের মানুষ এখন গর্ববোধ করছে।

‘আজকে কক্সবাজার রেল যোগাযোগের সাথে যুক্ত হয়েছে। এই দিনটি গর্বিত হওয়ার দিন।’প্রধানমন্ত্রী বলেন, দোহাজারী-কক্সবাজার রেললাইনের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে তিনি ব্যক্তিগতভাবে উপস্থিত থাকতে পেরে সত্যিই খুব খুশি হয়েছেন।

তিনি বলেন ‘আমি রেলপথ উদ্বোধন করে আমার প্রতিশ্রুতি রক্ষা করেছি।

 এটা এই অঞ্চলের দীর্ঘদিনের দাবি ছিল। আজ সেই দাবি পূরণ হয়েছে।

অনুষ্ঠানে বক্তৃতা করেন রেলমন্ত্রী মো. নূরুল ইসলাম সুজন, এশীয় উন্নয়ন ব্যাংকের (এডিবি) কান্ট্রি ডিরেক্টর এডিমন গিন্টিং এবং রেলপথ মন্ত্রণালয়ের সচিব ড. মো. হুমায়ুন কবীর।

এ সময় তথ্য ও সম্প্রচারমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদসহ বেশ কয়েকজন মন্ত্রী, আওয়ামী লীগের সিনিয়র নেতৃবৃন্দ এবং অন্যান্য গণ্যমান্য ব্যক্তিবর্গ উপস্থিত ছিলেন।অনুষ্ঠানে বাংলাদেশ রেলওয়ের কার্যক্রম এবং দোহাজারী-কক্সবাজার রেললাইন প্রকল্পের ওপর একটি ভিডিও প্রামাণ্যচিত্র প্রদর্শন করা হয়।

এর আগে প্রধানমন্ত্রী রেলস্টেশনে পৌঁছালে স্থানীয় শিল্পীদের ঐতিহ্যবাহী নৃত্য পরিবেশনের মাধ্যমে তাঁকে স্বাগত জানানো হয়।

ওই সময় শেখ হাসিনা বলেন, পঞ্চগড় থেকে কক্সবাজার অথবা রাজশাহী থেকে কক্সবাজার, দক্ষিণাঞ্চল সুন্দরবন থেকে কক্সবাজার এমনটি গোপালগঞ্জ-ফরিদপুর অর্থাৎ সমগ্র বাংলাদেশ থেকেই যাতে সহজে কক্সবাজার আসা যায় সেই পদক্ষেপও আমরা নেব।

এই যোগাযোগগুলো সম্পন্ন হলে আমাদের পর্যটনের ক্ষেত্রে একটা বিরাট পরিবর্তন আসবে বলে আমি বিশ্বাস করি।

তিনি ছোটবেলা থেকেই স্থানীয় একটি দাবি শুনে এসেছেন চট্টগ্রাম থেকে দোহাজারী পর্যন্ত রেললাইন ছিল।

কাজেই এই দোহাজারী থেকে কক্সবাজার কবে রেললাইন আসবে? সেকথা  উল্লেখ করে তিনি বলেন, আজকে এটা করতে পারায় তিনি খুবই আনন্দিত।

 এটা রামু পর্যন্ত করা হয়েছে এবং গুমধুম পর্যন্ত করার কথা।

এ জন্য আমরা আঞ্চলিক ও আন্তর্জাতিক যোগাযোগের মাধ্যমে আসতে চাই।

ট্রান্সএশিয়ান রেলওয়ের সাথে আমরা সংযুক্ত হতে চাই।

সেটা মাথায় রেখেই পরিকল্পনা নেওয়া হয়েছে।

শেখ হাসিনা বলেন, এই প্রকল্প বাস্তায়নের সময় ৩৯টি মেজর ব্রীজ করতে হয়েছে।

২৪৪টি ছোটও মাঝারি কালভার্ট নির্মাণ করা হয়েছে।

 ৯টি স্টেশন ও আধুনিক কম্পিউটার নিয়ন্ত্রিত সিগনালিং ব্যবস্থা ইনস্টল করা হয়েছে।

 একটি ওভারপাস ও দু’টি আন্ডারপাস ও নির্মাণ করা হয়েছে।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, এই রেললাইনটা চকোরিয়া থেকে মাতারবাড়ি গভীর সমুদ্রবন্দর ও পাওয়ার প্লান্ট এবং বিশেষ অর্থনৈতিক অঞ্চলের সাথে যাতে সংযুক্ত হয় তার ব্যবস্থাও আমরা করে দেব।

যাতে ব্যবসা-বাণিজ্য আরো উন্নত হয়।

তিনি বলেন, তাঁর সরকার ভারত সরকারের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর সঙ্গে মিলে সম্প্রতি খুলনা থেকে মোংলা পোর্ট পর্যন্ত ব্রডগেজ রেল চলাচলের উদ্বোধন করেছে। যে লাইনটা এক সময় খালেদা জিয়া বন্ধ করে দিয়েছিল।

পাশাপাশি ঢাকা- টঙ্গি-গাজীপুর ডুয়েল গেজ লাইনও নির্মাণ করা হচ্ছে।

রেলের যাত্রীসেবা ও পণ্য পরিবহনের মানোন্নয়নে আরো ৪৬টি নতুন ব্রডগেজ লোকামোটিভ, ৪৬০টি নতুন যাত্রীবাহী ক্যারেজ, ২০০টি নতুন মিটার গেজ যাত্রীবাহী ক্যারেজ, ১৩১০টি নতুন ওয়াগন সরবারহের উদ্যোগও তাঁর সরকার হাতে নিয়েছে।

শেখ হাসিনা বলেন, আগামী ৩/৪ বছরের মধ্যে বাংলাদেশ রেলওয়ের যাত্রী ও পণ্য পরিবহনের সক্ষমতা আন্তর্জাতিক পর্যায়ে যাতে উন্নীত হয় সেই পদক্ষেপই আমরা নিয়েছি এবং সেটা আমরা বাস্তবায়ন করবো।

বিগত ১৫ বছরের বাংলাদেশকে তাঁর সরকার অর্থনৈতিকভাবে স্বাবলম্বী করতে সক্ষম হয়েছে এবং প্রবৃদ্ধি বেড়েছে উল্লেখ করে তিনি বলেন, বিএনপি আমলে যেখানে ৬১ হাজার কোটি টাকার বাজেট ছিল সেখানে তাঁর সরকার এবার ৭ লাখ ৬১ হাজার ৮২৫ কোটি টাকার বাজেট দিয়েছে।

এমনকি দু’হাতে রিজার্ভের অর্থ ব্যয় করে করোনাকালিন জনগণকে বিনাপয়সায় ভ্যাকসিন দেওয়ার পাশাপাশি সকল শ্রেনী পেশার মানুষকে নগদ অর্থ সহায়তা ও প্রণোদনা দিয়ে ব্যবসা-বাণিজ্য সচল রেখেছে।

যা অনেক উন্নত দেশও পারেনি। ফলে সেখানে লাখ লাখ মানুষ মারা গেছে। এ সময় বিশ্বমন্দার প্রভাবে দেশে যেন কখনো খাদ্যাভাব না হয় সেজন্য দেশের প্রতি ইঞ্চি অনাবাদি জমিকে চাষের আওতায় নিয়ে আসার জন্য দেশবাসীর প্রতি তাঁর আহবান পুনর্ব্যক্ত করেন।

 

এ সময় এত উন্নয়নের পরও যারা উন্নয়ন দেখে না সেসব চোখ থাকতে অন্ধদের তাঁর সরকারের করে দেওয়া আধুনিক জাতীয় চক্ষু বিজ্ঞান ইনষ্টিটিউটে ১০ টাকার টিকিট কিনে চোখের চিকিৎসা করাবার পরামর্শ দেন।

তিনি বলেন, আসলে এটা তাদের চোখের দোষ নয়, মনের দোষ।

আজকে আগুন দিয়ে পুড়িয়ে পুড়িয়ে মানুষ হত্যা করা, বাসে, রেলে আগুন দেওয়া হচ্ছে। আমরা রেলের জন্য যেসব নতুন লোকামোটিভ এনেছিলাম সেগুলোও আগুন দিয়ে তারা পুড়িয়েছে।

যারা এত বীভৎস কাজ করতে পারে এই দুর্বৃত্তপরায়ণতায় যারা জড়িত তাদের চোখ নয় আসলে মনই অন্ধকার।

কাজেই এদের ব্যাপারে সকলকে সাবধান থাকতে হবে। কারণ, এরা ধ্বংস জানে সৃষ্টি করতে পারে না।

 আমরা সৃষ্টি করি, আর তারা ধ্বংস করে। কিন্তু এই ধ্বংস যেন আর করতে না পারে। মানুষকে পুড়িয়ে মারবে এটা সহ্য করা যায় না।

তিনি এই আধুনিক রেল যোগাযোগ ব্যবস্থাকে কার্যকরী এবং গতিশীল রাখতে ট্রেনের ক্যারেজ, প্লাটফর্ম, ষ্টেশনসহ আশাপাশে পরিস্কার-পরিচ্ছন্ন বজায় রাখার এবং এগুলো ব্যবহারে যত্নবান হওয়ারও আহবান জানান।

সরকার প্রধান বলেন,‘আপন সম্পদ মনে করে যত্ন নিয়ে এর ব্যবহার করবেন। সারা বাংলাদেশে অনেক রেলস্টেশন রয়েছে। কিন্তু কক্সবাজারের এই ৬ তলা রেলস্টেশনটি সবচেয়ে দৃষ্টিনন্দন ও সুন্দর।’

রেল লাইন উদ্ধোধনের পর প্রধানমন্ত্রী নিজেই টিকিট কেটে কক্সবাজার থেকে রামু যাওয়ার ট্রেনে চড়েন।

প্রধানমন্ত্রীর হুইসেল ও সবুজ পতাকা নেড়ে ট্রেন চলাচলের যাত্রা শুরু করেন।

টেনে চড়ে সংবাদ মাধ্যমের সাক্ষাৎকারে প্রধানমন্ত্রী বলেন, তার সরকার ভবিষ্যৎ প্রজন্মের জন্য একটি সুন্দর ও সমৃদ্ধ বাংলাদেশ নিশ্চিত করতে প্রতিটি মেগা উন্নয়ন প্রকল্প বাস্তবায়ন করছে।

তাঁর চাওয়া-পাওয়ার কিছু নেই। দেশ ও জনগণের উন্নয়নই তাঁর একমাত্র লক্ষ্য উল্লেখ করে সারাদেশে পর্যটন রেল ব্যবস্থা গড়ে তোলার মাধ্যমে দেশের পর্যটন শিল্পকে আরো বিকশিত করার পরিকল্পনাও তাঁর সরকারের রয়েছে বলে জানান প্রধানমন্ত্রী।

 

এর আগে শনিবার সকল জল্পনা কল্পপনার অবসান ঘটিয়ে প্রায় আটারো হাজার কোটি টাকায় নির্মিত দোহাজারী-কক্সবাজার রেললাইন প্রকল্প উদ্বোধন উপলক্ষ্যে বাংলাদেশ বিমানের একটি বিশেষ ফ্লাইটে কক্সবাজারে অবতরণ করেন।

 

এ উপলক্ষে শনিবার ভোর থেকেই নিজেদের প্রিয় নেত্রীকে বরণ করে নিতে কক্সবাজার আন্তর্জাতিক বিমান বন্দরে অপেক্ষা করেন জেলা আওয়ামীলীগের শীর্ষ নেতা,স্থানীয় সংসদ সদস্যগণ সহ সমারিক বেসামরিক উর্ধতন কর্তৃপক্ষ।

 রাজধানী ঢাকা থেকে ৯টা ৪৫ মিনিটে  বাংলাদেশ বিমানের বিশেষ ফ্লাইটে কক্সবাজারের উদ্দেশ্যে রওনা হয়ে কক্সবাজার এসে পৌঁছা মাত্রই প্রিয় নেত্রীকে সামনে পেয়ে আবেগাপ্লুত হয়ে অনেকটা সবাইকে চমকিয়ে দিয়ে পায়ে ধরে সালাম করেন কক্সবাজার সদর রামু ও ঈদগাও আসনের সংসদ সদস্য আলহাজ্ব সাইমুম সরওয়ার কমল এমপি।

 

এসময় প্রিয় নেত্রীকে বরন করে নিতে কক্সবাজার সদর রামু ঈদগাঁ আসনের এমপি কমল ছাড়াও দলের শীর্ষ নেতা এবং দায়িত্বরত কর্মকর্তা কর্মচারীগন বিমান বন্দরে উপস্থিত হন।

 

 জানা গেছে,একদিনে প্রধানমন্ত্রী রেললাইন ছাড়াও প্রধানমন্ত্রী যে ১৬টি প্রকল্প উদ্বোধন করেছেন।

তা হচ্ছে,বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ মন্ত্রণালয়ের অধীনে নির্মিত মাতারবাড়ী এক হাজার ২০০ মেগাওয়াটের কয়লাভিত্তিক তাপবিদ্যুৎকেন্দ্র, সাবমেরিন ক্যাবলের মাধ্যমে দ্বীপ উপজেলা কুতুবদিয়ায় জাতীয় গ্রিডের বিদ্যুৎ সংযুক্তি প্রকল্প। বেসামরিক বিমান পরিবহন ও পর্যটন মন্ত্রণালয়ের অধীনে বাঁকখালী নদীর কস্তুরাঘাটে ৫৯৫ মিটার পিসি বক্স গার্ডার ব্রিজ, কক্সবাজার সদরে খাল লাইনিং অ্যাপ্রোচ রোড ও ব্রিজ।

 

এছাড়া স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় মন্ত্রণালয়ের চারটি প্রকল্প, শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের চারটি, প্রবাসী কল্যাণ ও বৈদেশিক কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয়ের একটি প্রকল্প। এছাড়া রয়েছে জনস্বাস্থ্য, গণপূর্ত ও বেসামরিক বিমান চলাচল কর্তৃপক্ষ বাস্তবায়নাধীন তিনটি প্রকল্প উদ্বোধন করেন তিনি।

 

প্রধানমন্ত্রী প্রায় ৮৮ হাজার কোটি টাকার ২০টি প্রকল্পের উদ্বোধন ও ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন করেন। যার মধ্যে রেলসহ ১৬টি প্রকল্পের উদ্বোধন ও ৪টি প্রকল্পের ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন করছেন। সে লক্ষ্যে আগেবাগেই সার্বিক প্রস্তুতি সম্পন্ন করেছেন বলে জানিয়েছেন, কক্সবাজারের জেলা প্রশাসক মুহম্মদ শাহীন ইমরান।

 

উল্লেখ্য,বিমান থেকে নেমেই প্রধানমন্ত্রী ট্রেনে করে রামু সফরকালে উপস্থিত ছিলেন,কক্সবাজার জেলা পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান সংসদ সদস্য মোস্তাক আহমেদ চৌধুরী,সাবেক সংসদ সদস্য এ্যাথিন রাখাইন এমপি,কানিজ ফাতেমা মোস্তাক এমপি ও কক্সবাজার পৌর মেয়র মাহবুবুর রহমান চৌধুরী সহ অনেকেই।

 

পরে প্রধানমন্ত্রী বিকেলে মহেশখালীর মাতারবাড়িতে স্থানীয় আওয়ামীলীগ আয়োজিত বিশাল জনসভায় ভাষন দেন।

এতে প্রধানমন্ত্রী তার সরকারের সকল উন্নয়ন কর্মকান্ডের ফিরিস্তি তুলে ধরে আবারও নৌকায় ভোট দেওয়দর জন্য আহ্বান জানান।

 

কক্সবাজার জেলা আওয়ামীলীগের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি এড.ফরিদুল ইসলাম, কেন্দ্রীয় আওয়ামীলীগ নেতা এড.সিরাজুল মোস্তফা, স্থানীয় সংসদ সদস্য আশেক উল্লাহ রফিক এমপি সহ প্রধানমন্ত্রীর সফর সঙ্গীরা উক্ত জনসভায় উপস্থিত ছিলেন।

 

জানা গেছে,প্রধানমন্ত্রী কক্সবাজার সফরকে সফল করতে ব্যাস আগেবাগেই স্থানীয় প্রশাসনের সার্বিক প্রস্তুতির পাশাপাশি জেলা আওয়ামীলীগ ও অঙ্গ সংগঠনের নেতা কর্মীরা প্রস্তুত ছিলেন।

 

চকরিয়া পেকুয়া আসনের সংসদ সদস্য জাফর আলম এমপি, সাবেক জেলা আওয়ামীলীগ সাধারণ সম্পাদক সালাউদ্দিন আহমেদ সিআইপি,নৌকার মনোনয়ন প্রত্যাশী অব: জেলা জজ আমিনুল ইসলাম,জেলা আওয়ামীলীগের সাধারণ সম্পাদক  মুজিবুর রহমান চেয়ারম্যান,জেলা আওয়ামীলীগে যুগ্ন সাধারণ সম্পাদক মাহাবুবুল হক মুকুল,জেলা আওয়ামীলীগ সাংগঠনিক  সম্পাদক নাজনীন সারওয়ার কাবেরী,কক্সবাজার উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের সাবেক চেয়ারম্যান লে:কর্ণেল অব:ফোরকান আহমেদ,জেলা পরিষদ চেয়ারম্যান শাহিনুল হক মার্সাল,মিডিয়া কোটায় উখিয়া টেকনাফের নৌকার মনোনয়ন প্রত্যাশী মজলুম জননেতা নির্যাতিত সাংবাদিক ফরিদুল মোস্তফা খান সহ জেলার সকল সংসদীয় আসনের সম্ভাব্য নৌকার মনোনয়ন প্রত্যাশী এমপি প্রার্থীগণ বিভিন্নভাবে পুরো অনুষ্ঠান সফল করার জন্য শারীরিক মানসিক পরিশ্রম করেন।

 

র‌্যাপিট এ্যাকশন ব্যাটলিয়ন র‌্যাব-১৫’র অধিনায়ক লেফটেন্যান্ট কর্নেল এইচএম সাজ্জাদ হোসেন(এসজিপি,পিপিএম,পিএসসি), কক্সবাজারের পুলিশ সুপার মাহফুজুল ইসলাম, পদোন্নতি প্রাপ্ত পুলিশ সুপার রফিকুল ইসলাম, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (ট্রাফিক) জসিম উদ্দিন সহ আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর দায়িত্বশীলরা প্রধানমন্ত্রীর অনুষ্ঠানের সার্বিক নিরাপত্তা জোরদার করেন।


আরো বিভন্ন নিউজ দেখুন

ই-পেপার