নিজস্ব প্রতিবেদক
কক্সবাজার চেম্বার অফ কমার্স সভাপতি আবু মোরশেদ চৌধুরীকে হুমকির ঘটনায় সদর মডেল তানায় সাধারণ ডায়েরি লিপিবদ্ধ করা হয়েছে।
পুলিশ তদন্ত করে ব্যাবস্থা নেওয়ার কথা জানিয়েছেন।
গত৯/১১/২০২৩ সালে চেম্বার সভাপতি আবু মোরশেদ চৌধুরী খোকা অভিযেগ করেন,স্বচ্ছ, নিরপেক্ষ অংশগ্রহণমূলক নির্বাচন এর লক্ষে কক্সবাজার চেম্বার অফ কমার্স এন্ড ইন্ডাস্ট্রি নিয়ম তান্ত্রিক পদ্ধতিতে নিরপেক্ষ নির্বাচন কমিশনার এবং আপিল বোর্ড গঠন করে ২০২৩-২০২৫ সালের নির্বাচন তপশিল ঘোষণার পর থেকে যে কয়জন সদস্য যথা সময়ে তাদের সদস্যপদ নবায়ন করতে ব্যর্থ হয়েছে এবং নির্বাচন কমিশন কর্তৃক প্রকাশিত ভোটার তালিকায় নাম আসে নাই।
তাদের কয়েকজন বিভিন্ন সময় প্রকাশ্যে এবং টেলিফোনের মাধ্যমে আমাকে এবং চেম্বার সহকারী আবদুল মালেক নাঈমকে চেম্বার নির্বাচন বানচালসহ প্রাণনাশের হুমকি-ধমকি দিয়ে আসছে।
পাশাপাশি তারা চেম্বার এর মালামাল লুট করে নেয়ার হুমকিও প্রকাশ্যে বিভিন্নজনকে দিয়ে আসছে। যদিও তা সম্পূর্ণভাবে নির্বাচন কমিশনের এখতিয়ার।
বিগত ১/১১/২০২৩ ইং তারিখ আমি কক্সবাজার এর বাইরে চট্টগ্রামে অবস্থান করা অবস্থায় পাশে উল্লেখিত ব্যক্তি সিবলুল করিম পিতা ডা: আবু বকর সিদ্দিক, পানবাজার সড়ক,বর্তমান বর্তমান ঠিকানা, রোড নং ৩, বাসা নং ৪১,হিলভিউ,পূর্ব নাসিরাবাদ, দামপাড়া, চট্টগ্রাম, মো: ইমদাদুল হক, পিতা ফরুক,কালুর সড়ক পূর্ব টেকপাড়া,কক্সবাজার এবং একজন বহিরাগত সন্ত্রাসীকে সাথে নিয়ে চেম্বার কক্ষে প্রবেশ করে চেম্বার অফিস সহকারী মালেক নাঈমকে লকারের চাবি দিতে বলে।
নাঈম তা দিতে অপারগতা প্রকাশ করলে তালা ভেঙ্গে বোর্ড রেজুলেশন, সার্টিফিকেট বই এবং হিসাবে খাতা নিয়ে যায় তরা। পরবর্তীতে এ বিষয়ে চেম্বারের অন্যান্য সদস্যদের অবহিত করলে তাদের পরামর্শে এবং চেম্বারের ভাবমূর্তি মাথায় রেখে সদর থানায় জিডি করা থেকে বিরত থাকি।
সদস্যগণ নিয়ে যাওয়া চেম্বারের জরুরী কাগজপত্র ফেরত নিয়ে আসার ব্যবস্থা করবেন বলে আমাকে আশ্বস্ত করেন।
পরবর্তীতে অফিস সহকারী কয়েকবার ফোনে সিবলুল করিম এর সাথে ফোনে যোগাযোগ করলে তারা ফেরত দেওয়ার কথা বলে। অপরদিকে মো: ইমদাদুল হক কক্সবাজার পৌরসভার ট্রেড লাইসেন্স জাল করে সদস্যপদ নবায়নের অফিস সহকারীকে হুমকি দিতে থাকে।
ফলে গত ৮নভেম্বর ২০২৩ দুপুর আনুমানিক ২ টার দিকে আমি অফিসে কর্মরত অবস্থায় আমাদের অফিস সহকারী আবদুল মালেক নাঈমকে সিবলুল করিম ফোন করে আমাকে উদ্দেশ করে অকথ্য ভাষায় গালাগালি আর আমাকে প্রাণনাশের হুমকি দিতে থাকে।
এ সময় তারা অপর প্রান্ত থেকে আমি কোথায় জিজ্ঞেস করতে থাকে।
যা আমি লাউড স্পিকার শুনছিলাম।
এর কিছুক্ষণ পর সিবলুল করিম মারমুখী অবস্থায় অফিসে এসে অফিস সহকারী নাঈমকে আমি কোথায় জিজ্ঞেস করতে থাকে । সিবলুল করিম কিছুক্ষণ অবস্থানের পর অফিস কক্ষ ত্যাগ করে। তখন আমি চেম্বার এর পাশে আমার নিজ অফিসে মিটিং এ থাকায় প্রাণে বেঁচে যাই।
বিষয়টি চেম্বার সিনিয়র সহসভাপতি সাবেদূর রহমান সুমু এবং সহসভাপতি আবদুল খালেককে অবহিত করি। ঐদিন রাতে লুন্ঠিত চেম্বার এর জরুরি কাগজপত্রের একটি কাপড়ের ব্যাগ একজন সিনিয়র সদস্যের মাধ্যমে ফেরত দিয়ে যায় যা বর্তমানে যাচাই-বাছাই চলছে। এই অবস্থায় আমি নিজের জীবনের নিরাপত্তা এবং চেম্বার এর মালামলের সার্বিক নিরাপত্তা বিবেচনা করে স্বপ্রনোদিত হয়ে থানায় জিডি করতে বাধ্য হলাম।