এড:মিনারুল কবির আল আমিনঃ
দেশের আইনশৃঙ্খলা সহ যাবতীয় শৃঙ্খলা রক্ষা ও দেশের আইন কানুন সমুন্নত রাখতে বাংলাদেশ পুলিশের কার্যক্রম প্রশংসিত হলেও,সম্প্রতি রাজনৈতিক কার্যক্রম কে সামনে রেখে সারাদেশ ও কক্সবাজারে অসংখ্য মামলা ও অসংখ্য কর্মীদের গ্রেফতার কক্সবাজার জেলা পুলিশের নিরপেক্ষতা কে শুধু প্রশ্ন তুলে নি,প্রশ্ন তুলেছে তাদের চৌকশ কার্যক্রম নিয়ে।২৮ শে অক্টোবর ঢাকায় বিএনপির মহাসমাবেশের রেশ ধরে হলতাল কে সমর্থন করে বিএনপির ১৫ জন নেতা কর্মী মিছিল করলে,মামলা করা হয় অসংখ্য নেতাকর্মীর বিরুদ্ধে। যেখানে বিশেষ ক্ষমতা আইন ১৯৭৪ ১৫(৩) ধারা এবং দ্যা এক্সপ্লুসিভ এ্যাক্ট ১৯০৮ এর ৩ ধারায় মামলা করা হয়েছে।
এখন কথা উপরোক্ত ধারায় মামলা করার জন্য যে যে উপদান প্রয়োজন তা কি রয়েছে?
আমরা বিশেষ ক্ষমতা আইন ১৯৭৪ সালের ১৫(৩) ধারা বিশ্লেষণ করলে দেখতে পাই যে”অন্তর্ঘাতমূলক কাজ,যেমন-রেলপথ,ঝুলন্ত ব্রীজ,রাস্তা,খাল,সেতু,কালভার্ট,বাধঁ-সেতু,বন্দর,ডকইয়ার্ড,বাতিঘর,বিমান ঘাটি,টেলিগ্রাফ লাইন,বেতার বা টেলিভিশন সহ যাবতীয় সরকারি সম্পদের কার্যক্ষমতা ব্যাহত করা এবং এসব সম্পদ নষ্ট করার উদ্দেশ্য বেআইনি কাজ করা”
কিম্তু কক্সবাজারে ঘটে যাওয়া এসব মামলায় আমরা তেমন কোন লক্ষ্মণ দেখতে পাই নি,বিরোধী দলের মিছিল কে ১৯৭৪ সালের বিশেষ ক্ষমতা আইনে মামলা এবং দ্যা এক্সপ্লুসিভ সাবস্টেন্স এ্যাক্টের ৩ ধারা অনুযায়ী “মানবশরীরের জন্য ক্ষতিকর,এই রকম বিস্ফোরণ ঘটানোর অপরাধে মামলা রুজু করা হয়েছে,তা কতটা যৌক্তিক তা প্রশ্নবিদ্ধ এবং এসব মামলায় শত শত আসামী এবং অজ্ঞাত নামায় যাকে ইচ্ছা তাকে ধরে হাজতে পাঠানো শুধু পুলিশের কর্মকান্ডকে প্রশ্নবিদ্ধ করবে না,বরং তা মানবাধিকার লংঘনের শামিল হবে।কক্সবাজারের বর্তমান এসপি মাহফুজুর রহমান রাজনৈতিক চিন্তা ভাবনার উর্ধ্বে উঠে ভদ্রতা ও মানবিকতা নিয়ে সাধারণ জনতার মাঝে যথেষ্ট সুনাম ও খ্যাতি রয়েছে।কিন্তু বিভিন্ন উপজেলায় ৯/১০ টি মামলার অসংখ্য আসামী করা হয়েছে তাদের বেশিরভাগই ছাত্র,ফলে এসব ধারায় এসব মামলা কতটুকু গ্রহণযোগ্য তা প্রশ্নবিদ্ব,এবং রাত বিরাতে বিরোধী নেতাকর্মী দের বাড়ীতে পুলিশি অভিযান মানবাধিকার ও সংবিধান লংঘনের শামিল হওয়ার কারণে জনসম্মুখে পুলিশে বিরোধী দল নিধন নিয়ে প্রশ্ন উঠতে পারে,যা পুলিশের ভাবমূর্তি নিয়ে আন্তর্জাতিক অঙ্গনে প্রশ্নের সম্মুখিন হবে বলে মনে করি।