মোঃ ফয়সাল
কক্সবাজারের মহেশখালীর কুতুবজোমে লবণ চাষের জমি দখলকে কেন্দ্র করে চাঞ্চল্যকর হত্যা মামলার এজাহারনামীয় ৩নং আসামী র্যাব-১৫ কর্তৃক গ্রেফতার
র্যাপিড এ্যাকশন ব্যাটালিয়নের প্রতিষ্ঠালগ্ন থেকে বাংলাদেশে অপরাধ নির্মূলে প্রতিনিয়ত অবদান রেখে চলেছে। ‘‘বাংলাদেশ আমার অহংকার’’ এই স্লোগান নিয়ে র্যাব-১৫, কক্সবাজার এর দায়িত্বপূর্ণ এলাকায় হত্যা, ধর্ষণ, অপহরণ, জঙ্গী দমন, অবৈধ অস্ত্র উদ্ধার, জলদস্যু, ডাকাত, চুরি-ছিনতাই, সন্ত্রাসী, চাঁদাবাজ, ও মাদকসহ দেশে বিরাজমান নানাবিধ অপরাধ নির্মূলে বিশেষ ভূমিকা পালন করে যাচ্ছে। এ সকল অপরাধ দমনে অত্যন্ত অগ্রণী ভূমিকা পালন এবং অপারেশনাল কার্যক্রম পরিচালনাসহ আন্তরিকতার সহিত নিরলসভাবে কাজ করছে।
র্যাব বলেন,গত ২০ অক্টোবর ২০২৩ তারিখ কক্সবাজারের মহেশখালী থানাধীন কুতুবজোম ইউনিয়নের কালামিয়া বাজার এলাকায় লবণ চাষের জমি দখল নিয়ে দীর্ঘদিন ধরে চলমান দ্বন্দ্বকে কেন্দ্র করে স্থানীয় দু’গ্রুপের সংঘর্ষে সোহেল (৩০) নামে এক যুবক নিহত হয়। সূত্রে জানা যায়, হত্যাকান্ড সংঘটিত হওয়ার আগের দিন ভিকটিমের পরিবারের লোকদের সাথে আসামিপক্ষের পরিবারের বাগবিতান্ড হয়। ঘটনার দিন অর্থ্যাৎ ২০ অক্টোবরে ভিকটিম তার নিজ টেইলার্স ও কাপড় ব্যবসার দোকানে কর্মরত ছিলেন। এ সময় রাত অনুমান সাড়ে সাতটার দিকে তার নিজ দোকানে অবস্থানকালে পূর্ব শত্রুতার জেরে ধারালো দা, কিরিচ, লম্বা বন্ধুক, ছুরি ও লোহার রডসহ মারাত্বক অস্ত্র-সস্ত্র নিয়ে অতর্কিত ১৫/২০ জনের একটি গ্রুপ তার দোকান ঘেরাও করে এবং দোকানে ঢুকে ভিকটিমকে এলোপাথাড়ি মারধর ও ধারালো অস্ত্র দিয়ে আঘাত করা শুরু করে। ভিকটিমকে বাঁচানোর জন্য আশেপাশের কয়েকজন এগিয়ে আসলে তাদেরকেও আঘাত করা হয়। সন্ত্রাসীদের অতর্কিত হামলায় ভিকটিম ঘটনাস্থলে মৃত্যুবরণ করেন। এ হত্যাকান্ড সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকসহ পত্র-পত্রিকায় প্রকাশ হওয়ার সাথে সাথে চাঞ্চল্যের সৃষ্টি হয়। একই সাথে এই হত্যাকান্ডের সাথে জড়িত আসামীদের গ্রেফতার ও হত্যার সুষ্ঠু বিচারের দাবীতে নেটিজেনরা অজস্র মন্তব্য করেন। বর্ণিত ঘটনায় ভিকটিমের পরিবার বাদী হয়ে এ সংক্রান্তে এজাহারনামীয় ১৩ জন এবং অজ্ঞাত ৭/৮ জনের বিরুদ্ধে মহেশখালী থানায় একটি মামলা দায়ের করেন, যার মামলা নং ১৯/১৮০, তারিখ-২৩/১০/২০২৩, ধারা-১৪৩/৩২৩/৩২৪/৩২৫/৩২৬/৩০৭/৩০২/৫০৬(২)/৩৪ দঃ বিঃ।উক্ত ঘটনার প্রেক্ষিতে র্যাব-১৫,
র্যাব আরও বলেন,কক্সবাজার মামলার আসামীদের গ্রেফতারের লক্ষ্যে চিরুনি অভিযান শুরু করে। এরই ধারাবাহিকতায় ২৭ অক্টোবর ২০২৩ তারিখ অনুমান ২০.০০ ঘটিকার সময় র্যাব-১৫ এবং র্যাব-৭ এর যৌথ অভিযানে উক্ত হত্যাকান্ডে অভিযুক্ত ও এজাহারনামীয় ৩নং আসামী হোসাইন মোহাম্মদ এরশাদ (৩৭), পিতা-অলি খান, মাতা-ফরেজা বেগম, সাং-লাল মোঃ সিকদার, ০৬নং ওয়ার্ড, কুতুবজোম ইউনিয়ন, মহেশখালী, কক্সাবাজার’কে চট্টগ্রাম জেলার চান্দগাঁও থানাধীন সিডিএ পাবলিক স্কুল এন্ড কলেজ এলাকা থেকে গ্রেফতার করতে সক্ষম হয়। জিজ্ঞাসাবাদে গ্রেফতারকৃত আসামী ঘটনার সাথে সম্পৃক্ততার কথা স্বীকার করে। উক্ত ঘটনায় জড়িত অন্যান্য আসামীদের গ্রেফতারের লক্ষ্যে র্যাবের আভিযানিক কার্যক্রম অব্যাহত রয়েছে।
র্যাব জানান,গ্রেফতারকৃত আসামী সংক্রান্তে পরবর্তী আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণের নিমিত্তে কক্সবাজার মহেশখালী থানায় হস্তান্তর করা হয়েছে।