পর্যটন ম্যাজিস্ট্রেট রানার চমক
মোঃ ফারুক হোসেন (ইমন )
কক্সবাজার দীর্ঘতম সমুদ্রসৈকত বিশ্বের মানুষের কাছে পরিচিত একটা স্থান। দেশ-বিদেশ থেকে নানা ধরনের মানুষের গন্তব্য থাকে কক্সবাজার সমুদ্র সৈকত। বাংলাদেশের বিভিন্ন দর্শন ও স্পট সবার উদ্দেশ্যে লক্ষ্য করে থাকে কক্সবাজার সমুদ্রসৈকত দেখার জন্য।
সমুদ্র সৈকতে বালিয়াটি পিল পিল হাঁটতে হাঁটতে পর্যটকদের সমুদ্র পাড়ে সময় কাটে।সে সুভায় সমুদ্র সৈকতে প্রতিবছরে লক্ষ লক্ষ মানুষের ভিড় জমতে থাকে ।
গতমাসে কক্সবাজারে বিশ্ব পর্যটন দিবস পালনের জন্য ৭ দিন ব্যাপী জমকালো অনুষ্ঠান আয়োজন করে কক্সবাজার জেলা প্রশাসকের উদ্যোগে। সে সময় কক্সবাজার বিভিন্ন স্পটে বিভিন্ন ভাবে সাজিয়ে তুলেছে কক্সবাজার জেলা প্রশাসক।যেমন : কক্সবাজার সকলের পরিচিতি মুখ সুগন্ধা পয়েন্টে নানা রকম রং এর ছাতা দিয়ে রঙিন করে তুলেন সুগন্ধা পয়েন্ট। হাজার হাজার মানুষ নানা রকম রং এর ছাতা গুলো বিশ্বের কাছে ছড়িয়ে দিয়ে দাগ লাগিয়ে দে, সোশ্যাল মিডিয়ার মাধ্যমে।
গত মঙ্গলবার হামুন এর ঘুর্ণিঝড়ে লন্ডবন্ড করে ফেলে পুরো কক্সবাজার শহর। হামুনের ঘুর্ণিতে কক্সবাজারে দর্শনীয় স্থান ও ক্ষয়ক্ষতি হয় তার মধ্যে সুগন্ধা বালিয়াড়িতে নানা রং এর ছাতা গুলো ও হামুন এর ঘুর্ণি দে তছনছ হয়।যার ফলে স্থানীয় ও পর্যটকদের চলাচল ও হাঁটাহাটির রাস্তাটি কষ্ট দায়ক হয়ে পড়ে।
সুগন্ধা বালিয়াড়িতে ছাতা গুলো তছনছ হওয়ার দৃশ্যটা দৈনিক কক্সবাজার বাণী নিজস্ব প্রতিবেদক ফারুক হোসেন ইমনের চোখে পড়লে তার নিজ ফেসবুক আইডি থেকে পোস্ট দেওয়ার পর পর্যটন ম্যাজিস্ট্রেট কক্সবাজার নামে একটা আইডি আছে সেখানে ছবি গুলো দিয়ে বিষয়টি দেখতে বলেন ।
কক্সবাজার পর্যটন ম্যাজিস্ট্রেট মোঃ মাসুদ পারভেজ ( রানা) সে বিষয়টি সাথে সাথে নজরে নিয়ে রাত পেরোতে সকাল হতে ছাতা পড়ে থাকা স্থানটি পর্যটকদের হাঁটাহাটির রাস্তাটা পরিষ্কার ও উপযোগী করে দেন। পর্যটন ম্যাজিস্ট্রেট মোঃ মাসুদ পারভেজ (রানা) মাত্র ১৫ থেকে ২০ দিনের মাথায় এমন উদ্যোগে সাধারণ মানুষের কাছে জনপ্রিয়তা ও ভালোবাসা ব্যক্তি হয়ে উঠেছে।
সাধারণ মানুষ ও বিচের ব্যবসীয়ারা বলেন এই রকম একটা ম্যাজিস্ট্রেট আমরা অনেক দিন ধরে চাচ্ছি ।যে কিনা আমাদের দীর্ঘতম সমুদ্রসৈকত কে বিশ্বের কাছে পরিষ্কার ও ক্লিন স্থান নামে পরিচিতি করেন