নিজস্ব প্রতিবেদক :
৫০ লাখ টাকার বিনিময়ে ধামাচাপা পড়ে গেছে কক্সবাজারের আলোচিত শালিক রেস্তোরাঁর পৈশাচিক কর্মচারী নির্যাতনের ঘটনা।
স্থানীয় কথিত মানবিক ব্যক্তি ও প্রতিষ্ঠানের তীব্র আন্দোলনের মুখে জ্বলে উঠা আগুন নিভে গেছে হঠাৎ।
এই ব্যাপারে কক্সবাজার সদর মডেল থানা পুলিশ একটি নিয়মিত মামলা রুজু করেলেও আসামি ধরা তো দুরের কথা রহস্য জনক কারণে নিরব রয়েছেন।
জানা গেছে,বর্বরোচিত এই ঘটনায় স্থানীয় যেই সব সংবাদ কর্মীরা গণমাধ্যমে সংবাদ পরিবেশন করেছিলেন তাঁরাও হঠাৎ করে চুপ হয়ে গেছেন।
খোজ নিয়ে জানা গেছে,থানার দালাল খ্যাত কয়েকজন চিহ্নিত সাংবাদিক নেতা পরিচয়ী চাঁটুকার পুরো বিষয়টি ধামাচাপা দিতে কয়েক লাখ টাকার গোপন সমঝোতা করেছেন।
এই চক্রটি কক্সবাজারে কোন ঘটনা ঘটলে সেটাকে রং মিশিয়ে সংবাদ পরিবেশন করে ক্ষান্ত হন না।
তারা কক্সবাজার ট্রাফিক পুলিশ এবং স্থল বন্দর থেকে শুরু করে জেলার গাছ, বাঁশ,লতা পাতা থেকে পর্যন্ত চাঁদা তুলেন।
দশ সহকর্মীর নাম দিয়ে হাতে গুণা দুই একজন সাংবাদিক নেতা পরিচয়ী চিহ্নিত অপরাধ সম্রাট এসপি ডিসির রুমে বসে মিষ্টি মিষ্টি কথা বলে অসৎ পরামর্শ দেয়।
বাইরে এসে এরা সর্প হয়ে দংশন করে ওঝা হয়ে ঝাড়ে।
কক্সবাজারে সৃষ্ট সকল ঘটন-অঘটন তারা শয়তানের মত নিযন্ত্রণ করে আড়ালে হাসে।সামনে গিয়ে কান্দে।
খোজ নিয়ে জানা গেছে,শালিক রেস্তোরাঁর এই ঘটনার পর যে মামলাটি মডেল থানা পুলিশ রেকর্ড করে সেই মামলাটি ধামাচাপার কথা বলে জেলা পুলিশের এক কর্মকর্তা রাজধানীতে অবস্থারত এক মন্ত্রী এবং ডিআইজির নাম ভাঙ্গিয়ে ও মিডিয়া নিয়ন্ত্রণ তথা আন্দোলন প্রতিরোধ সহ সৃষ্ট পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণের কথা বলে রাতের অন্ধকারে উল্লেখিত লেনদেন সমাপ্তি পূর্বক ভাগবাটোয়ারা করে।
এই ব্যাপারে স্থানীয় এক সংবাদকর্মী দিদারুল আলম সিকদার তার ফেসবুক আইডিতে স্টাটাস দিয়ে ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন।
তিনি বলেন,এত বড় জগন্য ঘটনাটির ধামাচাপা হওয়ায় ন্যায় বিচার থেকে বঞ্চিত হল নির্যাতিত কর্মচারী।
এদিকে কক্সবাজার শহরের আলোচিত উক্ত শালিক রেস্তোরাঁর এমডি নাসিরের বিরুদ্ধে রাজস্ব ফাঁকি, পর্যটকদের কাছ থেকে গলাকাঁটা বানিজ্য সহ নানা অনৈতিক এবং রাষ্ট্রদ্রোহী কর্মকান্ডের অভিযোগ আসছে।যা তদন্ত সাপেক্ষ ধারাবাহিকভাবে প্রকাশ করা হবে।
স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের দায়িত্বশীল এক কর্মকর্তা জানান,নারী ও শিশু নির্যাতনের কঠিন আইন থাকা সত্বেও মামলায় জড়িত আসামীদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা না নেওয়া দুঃখ জনক।
এই ঘটনায় বাদীপক্ষ বা অন্য কেউ লিখিত অভিযোগ দিলে আসামীদের পার পাওয়ার সুযোগ নেই।
উল্লেখ্য,উত্থাপিত অভিযোগের সত্যতা জানতে শালিক রেস্তোরাঁ কর্তৃপক্ষের সাথে যোগাযোগ করা হলে প্রতিষ্ঠানে কর্মরত পরিচয়ী এক ব্যাক্তি সংবাদটি প্রকাশ না করার জন্য প্রতিবেদককে সবিনয় অনুরোধ করেন।