ছৈয়দুল আমিন সাঈদ:
বঙ্গোপসাগরের গভীর নিম্নচাপটি আরও শক্তি সঞ্চয় করে ঘূর্ণিঝড়ে রূপ নিয়েছে ঘূর্ণিঝড় হামুন। আজ মঙ্গলবার দূপুরে এই তথ্য জানিয়েছেন আবহাওয়া অফিস।
কক্সবাজার আবহাওয়া অধিদপ্তরের সহকারী পরিচালক ইমাম উদ্দিন জানান,ঘূর্ণিঝড় হামুন বর্তমানে বঙ্গোপসাগরের পশ্চিম-দক্ষিণ- পশ্চিমে ২৯৫ কি:মি: দূরে অবস্থান করছে কক্সবাজার সমুদ্র বন্দর থেকে।
তিনি জানিয়েছেন বর্তমানে কক্সবাজার সমুদ্র বন্দরকে ৬ নং বিপদ সংকেত দেখিয়ে যেতে বলা হয়েছে।
ঘূর্ণিঝড় হামুন গতকাল সোমবার সন্ধ্যা ০৬ টায় চট্টগ্রাম সমুদ্রবন্দর থেকে ৬৭০ কি. মি. পশ্চিম-দক্ষিণ-পশ্চিমে, কক্সবাজার সমুদ্র বন্দর থেকে ৬৩০ কি:মি: পশ্চিম-দক্ষিণ-পশ্চিমে,মোংলা সমুদ্র বন্দর থেকে ৫৪০ কি:মি: দক্ষিণ-পশ্চিম এবং পায়রা সমুদ্র বন্দর থেকে৫৪০ কি:মি: দক্ষিণ-পশ্চিমে অবস্থান করছিল।
ঘূর্ণিঝড় হামুনের প্রভাবে বাতাসের সর্বোচ্চ গতিবেগ ঘন্টায় ১০০/১১০ কিঃমি বেগে দমকা বা ঝড়ো হাওয়া বয়ে যেতে পারে।
এ সময় ভারী অতি ভারী বর্ষণ বৃষ্টি হতে পারে।ঘূর্ণিঝড় কেন্দ্রের নিকটবর্তী এলাকার সাগর খুবই উত্তাল রয়েছে।
ঘূর্ণিঝড় হামুনের জন্য চট্টগ্রাম বন্দরকে ৭ নং, কক্সবাজার সমুদ্র বন্দরকে ৬ নং, মংলা সমুদ্র বন্দরকে ৫ নং এবং পায়রা সমুদ্র বন্দরকে ৭ নং বিপদ সংকেত দেখিয়ে যেতে বলা হয়েছে।
এছাড়া বঙ্গোপসাগরে অবস্থানরত মাছ ধরার নৌকা এবং ট্রলার গুলোকে পরবর্তী নির্দেশ না দেওয়া পর্যন্ত অতিদ্রুত নিরাপদ আশ্রয়ে যেতে বলা হয়েছে।
উপকূলীয় অঞ্চলে জ্বলোচ্ছাস বা জোয়ারের পানি উচ্চতা ৩/৫ ফুট বৃদ্ধি হতে পারে।
এটি আগামী বুধবার (২৫ অক্টোবর) ভোর সকাল ছয়টার দিকে শক্তি সঞ্চয় করে বাংলাদেশের উপকূলে আঘাত হানতে পারে।