• শনিবার, ১৪ জুন ২০২৫, ০১:৩০ পূর্বাহ্ন
সর্বশেষ খবর
কক্সবাজারে রামুর শীর্ষ ডাকাত শাহীন গ্রেফতার: সীমান্তে চাঁদাবাজি ও সন্ত্রাসের অবসানআশরাফ অর্জনে আলো ঝলমল এক পরিবার: ১৮তম NTRCA পরীক্ষায় “আরবি প্রভাষক পদে সুপারিশপ্রাপ্তমহেশখালীতে আধুনিকতার ছোঁয়ায় বদলে গেছে হাসপাতালে স্বাস্থ্য সেবাঅবশেষে কক্সবাজার থানায় সংবাদকর্মীর উপর হামলার ঘটনায় আদালতে মামলাঅফিস বন্ধের আগে প্রিপেইড মিটারে রির্চাজ করা ও জুনের মধ্যে বকেয়া বিল আদায়ের আহবান কক্সবাজার বিদ্যুৎ অফিসেরবাল্যবিবাহ প্রতিরোধে সচেতনতামূলক নাটক অনুষ্ঠিতযুবদের নিয়ে নাগরিক সাংবাদিকতা ও প্রচারণা বিষয়ক প্রশিক্ষণ সম্পন্নঅপরাধ দমনে কক্সবাজারের শ্রেষ্ঠ ওসি ইমন কান্তি চৌধুরীফরিদুল মোস্তফার ৬ মিথ্যা মামলা প্রত্যাহার চাই বিএমএসএফভুলন্ঠিত মানবতা বিচারের বাণী নিভৃতে কাঁদে ৬ বছরেরও প্রত্যাহার হয়নি নির্যাতিত সাংবাদিক ফরিদুলের ৬ মিথ্যা মামলা, পুলিশী ষড়যন্ত্রে আটকে আছে পাসপোর্ট

সাগরে মাছ ধরতে গিয়ে নিখোঁজ ১৭ জেলে।

ছৈয়দুল আমিন সাঈদ।
আপডেট : মঙ্গলবার, ২৪ অক্টোবর, ২০২৩


ছৈয়দুল আমিন সাঈদ।


সাগরে মাছ ধরতে গিয়ে নিখোঁজ ১৭ জন জেলে। জড়িত ফিশিং বোটের মালিক খোরশেদ বলে অভিযোগের তীর ছুটছেন নিখোঁজ জেলেদের পরিবার।

নিখোঁজ মাঝিমাল্লাদের মধ্যে রয়েছে কারো ছেলে, কারো বাবা, আবার কারো, ভাই।

গত ২০ সেপ্টেম্বর খুরুশকুল ইউনিয়নের ৪ নং ওয়ার্ডের বাসিন্দা ফিশিং ভোড়ের মালিক মো খোরশেদ আলমের এফবি রামিম নামীয় বোট যার রেজিষ্ট্রেশন নং- ১১১৭৫ , ইন্জিন নং- ১১১৮, বোট নিয়ে গভীর সাগরের মাছ ধরতে যায় খুরুশকুল এলাকার প্রায় ১৭ জন জেলে।

পরিবার পরিজনের রুজি রোজগারের তাগিদে সাগরে মাছ ধরতে পাড়ি জমায় এই ১৭ জন জেলে । স্বাভাবিকভাবে দশ থেকে বারো দিনের মধ্যে ফিরে আসার কথা থাকলেও এখনো পর্যন্ত ফিরে আসেনি ১৭ জন জেলে।

বিভিন্ন সুত্রে খবর আসে তারা নিখোঁজ হয়েছে, প্রায় একমাসের অধিক সময় পার হয়ে গেলেও এখনো খোঁজ মিলেনি সেই জেলেদের, ..

এখন পরিবারের একমাত্র উপার্জক্ষম ব্যক্তিকে হারিয়ে ১৭ টি জেলের পরিবার নি:শ্ব হয়ে পথে পথে দিন কাটাচ্ছে।
পরিবারের একমাত্র উপার্জনকারিকে হারিয়ে আজ চরম মানবেতর জীবনের মুখোমুখি অসহায় ১৭ টি পরিবার। একাধিক বার বোট মালিক খোরশেদের কাছে গেলেও কোন ধরনের খোঁজ বা সহযোগিতা মেলেনি এবং উল্টো হুমকি দিচ্ছে বলে জানান নিখোঁজ জেলেদের পরিবার।

ভুক্তভোগী জেলেদের পরিবার জানান, খোরশেদের কাছে ফোন করে এক জল জলদস্যু মুক্তি পন দাবী করেছিল তবে খোরশেদ টাকা দিতে রাজি হয়নি।বিষয়টি আমরা জানতে পারলে খোরশেদের কাছে যাই, আমাদের নিখোঁজ হওয়া স্বজনদের ফিরে পেতে জলদস্যু কর্তৃক দাবীকৃত টাকা আমরা দিবো বললেও খোরশেদ আমাদেরকে বিভিন্ন কিছু বলে উদ্ধারের ব্যাপারটি এডিয়ে যায় এবং বেশি বললে হুমকি ধমকি দিয়ে তাড়িয়ে দেয়।

মুক্তি পন আদায়ের বিষয়ে বোটের মালিক খোরশেদের সাথে ফোনে যোগাযোগ করা হলে খোরশেদ তা শিকার করে বলেন, আমার কাছে অপরিচিত একটি নাম্বার থেকে ফোন আসলে একলাখ টাকার মুক্তি পন চাওয়া হয় পরে সেই নাম্বারে কল দিলে আর কল যায়নি, এবং আর যোগাযোগ করা হয়নি, মুক্তি পন চাওয়া নাম্বারটি আছে কিনা জানতে চাইলে নাম্বারটি হারিয়ে গেছে জানান,, ফিশিং বোটের মালিক খোরশেদ,

তবে ভুক্তভোগী নিখোঁজ জেলেদের পরিবারের দাবি ১৭ জন নিখোঁজ জেলের খবর বোটের মালিক খোরশেদ জানেন। কিন্তু অদৃশ্য কারণে ব্যাপারটা এড়িয়ে যাওয়ার চেস্টা করছে।

এই বিষয়ে কক্সবাজার সদর মডেল থানার ওসি রুখুজামানের সাথে যোগাযোগ হর৷ তিনি জানান আমাদের কাছে নিখোঁজ জেলেদের বিষয়ে একটি সাধারণ ডাইরি করা হয়েছে, ইতিমধ্যে আমাদের বিভিন্ন টিম কাজ চালিয়ে যাচ্ছে, আমরা সেই বিষয়টি গুরুত্ব সহকারে দেখতেছি, সন্ধান না পাওয়া পর্যন্ত আমাদের উদ্ধার কাজ অবহ্যত থাকবে।

নিখোঁজ জেলেদের পরিবার তাদের একমাত্র উপার্জনকারিকে ফিরিয়ে পেতে প্রশাসনের বিভিন্ন দপ্তরে দফায় দফায় যোগাযোগ করেও না পেয়ে তাদের স্বজনদের ফিরে পেতে সরকারের উচ্চ মহলের হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন।।


আরো বিভন্ন নিউজ দেখুন